পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जबशत्र१ ****. প্রকৃতির পরিচায়ক লক্ষণ $రిపి ميخ=nيسيومختصs রূপে হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে, যথা ;—গোড়াকে অবলম্বন না করিয়া আগা থাকিতে পারে না—স্বাধীনকে অবলম্বন না করিয়া পরাধীন থাকিতে পারে না—নিরালম্বকে অবলম্বন না করিয়া সাবলম্ব থাকিতে পারে না—ইত্যাদি । আমরা বলিতেছিলাম এই যে, সত্ত্ব রজ স্তমোগুণের সাম্যাবস্থা সত্ত্ব রজ স্তমোগুণকে অপেক্ষা কমে সুতরাং তাহা আপেক্ষিক সত্য ; এ কথাটি আরএকটু খুলিয়া না বলিলে হয় তো প্রভাত বাবু মনে করিবেন যে, আমরা শুধু কেবল সংক্ষেপে সারিবার জন্য শাস্ত্রের দোহাই দিতেছি । জীবের জীবনে প্রথম জাগ্ৰদবস্থা ; জাগ্রদবস্থার মাত্রা পূরণ হইলে তাহা নিদ্রাবস্থাকে আকাঙ্ক্ষা করে এবং নিদ্রাবস্থার মাত্র-পূরণ হইলে তাহ জাগ্রদবস্থাকে আকাঙ্ক্ষা করে ; এইরূপ দোহে দোহাকে চায়—দোহা ভিন্ন দোহে থাকিতে পারে না—দোহে দোহাকে অপেক্ষা করে ; আবার, জীবের জীবন উভয়কেই অপেক্ষ করে—জাগ্ৰদবস্থা এবং নিদ্রাবস্থা দুইই পৰ্য্যায়-ক্রমে উদয়াস্ত না হইলে জীবন থাকিতে পারে না ; জাগ্রৎ এবং সুপ্তি দুয়ের মাঝখানে স্বপ্নের একটা সঁাকে রহিয়াছে—এটাও যেন মনে থাকে ;—অতএব ইহা অতীব স্বম্পষ্ট যে, জাগ্রৎ—স্বপ্ন-সুষুপ্তিকে অপেক্ষা করে ; স্বপ্ন—জাগ্রৎ এবং স্বপ্তিকে অপেক্ষা করে ; মুপ্তি—জা গ্রৎ এবং স্বপ্নকে অপেক্ষ করে; আবার, জীবের জীবন তিনকেই অপেক্ষা করে ; জীবের জীবনকে বলা যাইতে পারে যে তাহা স্বপ্ন জাগ্রৎ এবং স্বপ্তির সাম্যাবস্থা ; কেননা তিনের সামঞ্জস্য ভগ্ন হইলে জীবন টেকিয়া থtকিতে পারে না; জীবনের উপরে যদি নিদ্র। বা অনিদ্রা বা স্বপ্ন, তিনের কোন-টি অতি بصيصبح حجيجتمع রিক্ত মাত্রায় আধিপত্য করে তবে তখনি বুঝিয়াছি যে, জীবনের শেষ দশা উপস্থিত। এখন বক্তব্য এই যে, জীবদেহে জাগ্ৰং । স্বপ্ন, সুপ্তি এবং জীবন, এই চারিটি ব্যাপার যেমন পরম্পর-সাপেক্ষ, তেমনি, সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে সত্ত্ব রজ তমো এবং মূল-প্রকৃতি—এই চারিটি ব্যাপার পরস্পর সাপেক্ষ ; দিনের উদয়ান্ত যেমন ংসরের শীত গ্রীষ্মের সহিত উপমেয়, সেইরূপ জীবের জীবন ব্রহ্মাণ্ডের প্রকৃতির সহিত উপমেয় । ইহাতে অগত্য এইরূপ দাড়াইতেছে যে, মূল প্রকৃতি আপেক্ষিক—তাহ। আপনাতে আপনি পর্যাপ্ত নহে ; সুতরাং তাহার মূলে পরিপূর্ণ স্বাধীন স্বয়ম্ভ পুরুষ खक्षिणॆां न' द्विতেছেন এবং র্তাহাকে অবলম্বন করিয়াই প্রকৃতি স্বকার্য্যে প্রবৃত্ত হইতেছে। তবুও যদি প্রভাত বাবু বলেন যে, “প্রকৃতি দ্বারাই যখন জগতের সমস্ত কাৰ্য্য চলিতেছে — তখন ঈশ্বরের থাকা কেবল বিড়স্বন-মাত্র’ তবে তাহার সহজ উত্তর এই যে, পটের এ-পিটেই ছবি আ কো—ওপিট তে। ক্রমাগতই ঢাকা থাকে—ওপিট্‌ কেবল একটা বিড়ম্বন-মাত্র, অতএব ওপিঠে আগুণ জ্বালাইয়া দেও ! ওপিট না থাকিলে যে, এ পিটু থাকিতে পারে না, এ কথাটা তাহার মন হইতে একেবারেই অস্তধান করিয়াছে ! প্রকৃতি দ্বারা জগতের সব কাজই চলিতেছে—প্রকৃতি জগতের সাক্ষাৎ কারণ ইহা আমরা অস্বীকার করি না। প্রকৃতি-দ্বারা যেন জগৎ চলিতেছে— কিন্তু প্রকৃতি নিজে কিসের দ্বারা চলিতেছে ? প্রকৃতি কি আপনা-দ্বারা আপনি চলিতেছে ? প্রকৃতি কি আর কিছুকে অপেক্ষ করে না—প্রকৃতি কি স্বাধীন স্বতন্ত্র এবং আপনাতে আপনি পৰ্য্যাপ্ত ? স্বাহ