পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ कछ, २ छनं \O3

  • - "r= _

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক সৰ্ব্বশেষে বক্তব্য এই যে, আত্ম-জ্ঞানের উপদেষ্টা আত্মাকে স্বীয় অন্তরে অনুভব করেন কি না ? যদি করেন——তবে তিনি বলিতে পারেন না যে, “বিদ্যতে | নানুভাব্যতা” আত্মা অনুভব-যোগ্য নহে ; যদি না করেন—তবে তাহার উপদেশ মূলেই অনুভবাত্মক নহে, তাহ শুদ্ধ কেবল বিতণ্ডা ও শবদাড়ম্বর মাত্র । তবে আর বিপিন বাবুর এ কথা কোথায় রহিল যে “আমরা ভরসা করি যে, সকলে তর্কের জঞ্জাল-ময় পথ পরিত্যাগ-পূর্বক শ্রুতি ও অনুভবাত্মক মীমাংসা মাত্র গ্রহণ করিবেন ?” তিনি আমাদিগকে যে পথে লইয়া যাইতেছেন – সমস্তই তো তর্কের জঞ্জাল-ময় পথ–তাহার ত্রিসীমার মধ্যে ও ! তো অনুভবাত্মক কিছুই খুজিয়া পাওয়া যায় না । মনে কর যেন ব্যাঙ্কের তহবিলে নগদ এক পয়সা ও নাই—তাহ। নিতান্তই অজ্ঞেয় শুন্যাকার, অথচ ব্যাঙ্ক হইতে হাজার হাজার টাকার বাঙ্ক নোট বাহির হইয়! দেশময় ছড়াইয়া পড়িতেছে ; এরূপ ব্যাঙ্ক নোটের কি কোন মূল্য আছে ? যিনিই ব্যাঙ্কে নোট ভাঙাইতে যাইবেন তিনিই অজ্ঞেয় শূন্যাকার দেখিবেন—অন্ধকার দেখিবেন, ও শূন্য অনুভূতিকে ছাটিয়া ফেলিয়া অনুভবাতীত অজ্ঞেয় অন্ধকারে ইচ্ছা করিয়া নিপতিত হন, তাহার সেরূপ পতনের কারণ আর কিছু নয়—যে শাখায় উপবেশন সেই শাখার মূলোচ্ছেদ—অনুভবাত্মক সত্য ংস্থাপন করিতে গিয়া অনুভবের মূলো চেচ্ছদ । শিক্ষা । আমি কে, কোথা হইতে আসিলাম, কেন আসিলাম, ইত্যাদি রূপ আমি-তত্ত্বের জন্য আমরা জগতে মহান ভিক্ষুক হইয়। রছিয়াছি । এই সকল ভিক্ষার তরে আমরা জগতের দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছি । জগত এই সকল ভিক্ষা দিয়| কি আমাদের হস্তে গৃহে প্রত্যাগমন করিয়া মাথায় হাত । দিয়া বসিবেন । প্রদীপ যদি আপনাকে আপনি প্রকাশ না করে, নিজেই যদি কিরূপে প্রকাশ করিবে ? জ্ঞান যদি আপনাকে আপনি না জানে, আপনার নিকট আপনি অজ্ঞেয় হয়, তবে তাহ অন্য বস্তুকে কিরূপে জানিবে ? এই জন্যই আমরা বলি যে, যিনি ‘অনুভবাত্মক’ সত্যের প্রয়াসী, অথচ "আমি জানি’ এমন একটি সুনিশ্চিত অপরোক্ষ তৃপ্তি সাধন করিবে ? করিতে পরিবে ? পারবে, যদি জগত ধনী হয়, তাহার এত ধন থাকে যে আমাদের দিয়া তাহার প্রচুর থাকিতে পারে। কিন্তু জগত এত ধনী নয় তাই আমাদের ভিক্ষার কাছে জগত দুবৰ্বল হইয় পড়ে —কছে “আমার তোমাদের ভিক্ষা যোগাহবার সামথা নাই ।” তখন জগতের দরিদ্র্য বুঝা যায়, আমাদের ভিক্ষার কাছে তাহার হীনতা উপলব্ধ করা যায়,তখন তাড়াতাড়ি ক্ষুৎপিপাসু পথিকের ন্যায় ছট ফট করিতে করিতে জগতের নিকট হষ্টতে অপ্রকাশ হয়, তবে তাহ অন্য বস্তুকে । ফিরিয়া আসি এবং জগতের অতীত দেশে যাইতে চেষ্টা করি কিন্তু সহসা পারি না। সেখানে অমুল্য অসীম ধনাগার স্থাপিত আছে ; বিশুদ্ধবেশে অনবরতঃ জাগরূক রহিয়া পাহার দিতেছে। এই নিয়মকে করায়ত্ত করিতে না পারিলে জগতের অদেশে আমরা পছিতে পারিব না সুতরাং সেথায় জ্যোতিস্মান ধনীর জ্যোতি তীত