পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د دvو ststq4ه $8S அக সম্পূর্ণ অধিকার জম্মিল। তাহ বলিয়। এইরূপ মনে করা যাইতে পারে না যে, আমার নিজের বলে—নিজের চেষ্টায় আমি লাভবান হইলাম। কিন্তু ব্ৰহ্ম লাভের মূলে ব্রহ্মকৃপা বর্তমান । র্তাহার কৃপা না হইলে আমরা ব্ৰহ্ম লাভ করিতে পারি না । আর ব্রহ্মকে লাভ করিলে অপর কোন লাভকেই লাভ বলিয়। মনে হইবে না। এই ব্রহ্মলাভের অবস্থাকে সমাধির অবস্থা বলিলেও বলা যায় । ঋষির ব্রহ্মলাভ করিয়াছিলেন, তাহার বিশেষ প্রমাণ উপনিষদাদি গ্রন্থে আছে । আমরা ইতিপূর্বে ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মউপাসনাকে পৃথক পৃথক রূপে নির্দেশ করিয়াছি । কিন্তু তাহ বলিয়া ব্ৰহ্ম জ্ঞানীরা যে ব্রহ্ম-উপাসক হইতে পারেন । নাই বা পারেন না, তাহা নহে। প্রত্যুত ইহ দেখা যায় যে, অনেক সময় ব্রহ্মজ্ঞানীর জ্ঞান-মাগে ভ্রমণ করিতে করিতে ব্রহ্মের প্রকৃত তত্ত্ব নির্ণয় করিয়া ব্ৰহ্মস্বরূপ সাগরে ডুবিয়া গিয়াছেন ও ব্রহ্মকে লাভ করিয়া কৃতকৃতাৰ্থ হইয়াছেন। অা বার ইহাও দেখা যায় যে, উপাসকদের । মধ্যে কেহ কেহ বিশ্বাস-বলে ব্রহ্মদর্শন করিয়া অবশেষে ব্রহ্মজ্ঞানে জ্ঞানী হইয়াছেন। সার কথা এই যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানীও ব্ৰহ্ম-উপাসক হইতে পারেন এবং ব্রহ্মউপাসকও ব্রহ্মজ্ঞানী হইতে পারেন। তবে ব্ৰহ্মজ্ঞান ব্ৰহ্ম-উপাসনা নহে এবং ব্ৰহ্ম-উপাসনা ব্ৰহ্ম-জ্ঞান নহে। ইহার জন্যই আমরা প্রাচীন ঋষিদিগকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছি । - এইত গেল প্রাচীন কালের ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্ম-উপাসনা । বর্তমান সময়ে ব্রাহ্ম সমাজ ব্ৰহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্ম-উপাসনার বিষয় আলোচনা করিতেছেন। ইহঁাদের উপা সন-প্রণালী যদিও প্রাচীন ঋষিদের উপাসনা-প্রণালীর অনুরূপ নহে, ইহঁাদের ব্ৰহ্মজ্ঞান যদিও প্রাচীন ঋষিদের ন্যায় গভীর ও গবেষণাপূর্ণ নহে, তথাপি প্রাচীন ঋষিদিগের উপাসনা-প্রণালীর মূল লইয়া” ইহঁাদের উপাসনা-প্রণালী, ও প্রাচীন ঋষিদিগের ব্রহ্মজ্ঞানের ছায়া লইয়। ইহঁাদিগের ব্ৰহ্মজ্ঞwণর মূলভিত্তি পত্তন হইয়াছে। তবে ইহার মধ্যে যে বৈদে শিক ভাব নাই, তাহাও মনে করি না । সে যাহা হউক, আমরা প্রায় প্রত্যেক ব্রাহ্মসমাজেই দেখিতে পাই যে, সামা জিক উপাসনার দিন প্রত্যেক সভ্যই “সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্ৰহ্ম’ এই মহা-বাক্য উচ্চারণ করিয়া ব্ৰহ্ম-উপাসনায় প্রবৃত্ত হন। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, ব্রাহ্ম ! তুমি যখন ‘সত্যং’ এই মহাবাক্য উচ্চারণ কর, তখন কি সত্যস্বরূপ ঈশ্বরকে হৃদয়স্থ করিয়া দেখ ? না সামান্য বাক্যের ন্যায় এই মহা-বাক্য উচ্চারণ কর ? যদি সত্যং’ বলিতে বলিতে ঈশ্বরের সত্তা অনুভূত না হয়, তাহা হইলে আর এই মহা বাক্য উচ্চারণ করিয়া ঈশ্বরের অবমাননা করিও না। ধীর হও, শান্ত হও, শ্রবণ কর! বাক্য ব্ৰহ্ম নয়। বাক্যের উপাসনা ব্রহ্মের উপাসনা নয়। বাক্যনিম্পাদিত সত্যই ব্ৰহ্ম । হৃদয়ে ব্রহ্মানুভূতিই ব্ৰহ্ম-উপা সনা । প্রত্যেক উপাসক সম্প্রদায়ের মধ্যেই দেখা যায়, তাহাদের উপাস্য দেবতার একটা মূল-মন্ত্র বা বীজ-মন্ত্র আছে। র্তাহারা শান্ত ও সমাহিত-চিত্ত হইয়া সেই মন্ত্র সহকারে স্বকীয় ইষ্ট দেবতার পূজা করিয়া থাকেন । র্তাহাদের মন্ত্র গোপনীয় ও অতি আদরের বস্তু। আমরা ব্রাহ্ম, আমরাও একটা উপাসক সম্প্রদায়। আ- ,