Տ8Տ মাদেরও মূলমন্ত্র আছে, কিন্তু মন্ত্র গোপনীয় নহে। সেই মন্ত্র এইঃ– “সত্যজ্ঞানমনন্তং ব্ৰহ্ম । श्रांनमाक्रशशभू७१ यदिङांऊि ।
- ांख्९ लियभटेदउ१ ।।
শুদ্ধমপাপবিদ্ধম্।” இ. এই মূল মন্ত্র সহকারে আমাদের উপাস্ত দেবত ব্রহ্মের পূজা করিয়া থাকি । কিন্তু দেখিতে হইবে, যখন আমরা মন্ত্রোক্ত মহাবাক্যগুলি উচ্চারণ করি, তখন পারি কি না ? এবং সেই সত্তাতে জীবন ঢালিয়া দিয়া ব্ৰহ্ম-সাক্ষাত লাভে কৃতকৃতাৰ্থ হইতে পারি কি না ? যদি না পারি, তবে এই মন্ত্র সাধন করিতে হইবে। তত্ত্ববোধিনী পত্রিক লাহল બુર્જ নগরীও অামার একাকীত্ব घूत्र | | \ | করিতে পারে না, কারণ আমার হৃদয় শূন্য । হৃদয়ের এই শূন্যতা পূর্ণ না হইলে সঙ্গের সঙ্গী মেলে না । ঈশ্বরের জ্ঞান স্বরূপই সেই সঙ্গের সঙ্গী। “সজন নগরে, বিজন গহনে, যথায় যাই, তথায় তুমি কর বসতি ।” ঈশ্বরের জ্ঞান স্বরূপ সাধন হইলে, তাহাকে অন্তর্যামীরূপে অনুভব করিয়া হৃদয়ের পূর্বোক্ত অভাব দূরীভূত হয় । সুমহা পণ্ডিত হইলেও সে অচেতন, মন্ত্রপ্রতিপাদ্য সত্তাতে উপনীত হইতে । | যে গভীর সত্যং—“ঈশ্বর আছেন? এইটীকে হৃদয়স্থ । করিতে চেষ্টা করিতে হইবে। যদিও জড় পদার্থের ন্যায় ঈশ্বরের আকার নাই, তথাপি র্তাহার স্বরূপ আছে । সত্যই র্তাহার স্বরূপ । তিনি সত্য-স্বরূপ । এই জগৎ পরিবর্তনশীল । আমরা যাহা দেখিতেছি তাহা সত্য নহে । যাহার বিনাশ আছে, যাহার উৎপত্তি আছে, যাহার বিকৃতি আছে, অথবা যাহার ক্রমবিকাশ অাছে, তাহা সত্য পদের বাচ্য নহে । এই সংসার পরিবর্তনশীল, চন্দ্র সূৰ্য্য পরিবর্তনশীল, ইহা অসার । মানব-দেহ ক্ষণ-ভঙ্গুর, তাহা তা সারের আসার । মানব-আত্মা পরিবর্তনশীল, তাহাও আসার । এই আসারত। পূর্ণ পৃথিবীতে একমাত্র সত্য-স্বরূপ ঈশ্বরই সার। তিনিই সত্যং, যিনি সার, অপরিবর্তনীয়, অনাদি । জ্ঞানং—মনের কথা, প্রাণের ব্যথা কেহই জানে না, কেছই বোঝে না । আমি একা থাকিতে ইচ্ছা করি না, তাহার জন্য সৰ্ব্বদা জনাকীর্ণ নগরীতে বাস করি, কিন্তু জনকো নীতি-বিশারদ, দেশ-হিতৈষী হইলেও সে জড়, দেশের জন্য আকুলিত প্রাণ হই লেও সে অপদার্থ, কারণ তাহার চেতনা নাই, সে জাগ্রত নহে। জাগ্রত কে ? অন্ধকারেও পাপ করিতে পারে না, যে গিরিগুহায় বা সমুদ্রগর্ভে অবস্থান করিয়াও কুচিন্তা করিতে অক্ষম, আর যে সকল অবস্থাতেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত, সেই চেতনা । এই চেতনা প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে সেই চৈতন্য-স্বরূপ জ্ঞানময় পুরুষের শরণাপন্ন হইতে হইবে । সুতরাং জ্ঞানমূ? ঈশ্বরের এই স্বরূপ সাধনা করা নিতান্ত কর্তব্য । অনন্তমূ—ঈশ্বরের সত্তা ও জ্ঞান সকল জগতে পরিপূর্ণ। হিমালয়ে কুজবটিক হইলে যেমন সমস্ত পৰ্ব্বত একে একে কুজৰাটিকার মধ্যে ডুবিয়া যায়, জল, স্থল, অন্তরীক্ষ, সকলই কুজুকটিকাময়; আকাশ নাই, পাতাল নাই, কোন বস্তুর চিচুমাত্র নাই, সকলই কুজ্যাটিকাময় ; কুজবটিকার অনন্ত প্রসারণে সমস্ত হিমাচল কুজবটিকাময় ; অনন্ত কুজবটিকার ক্রীড়া ভূমিমাত্র ; আদি নাই, অন্ত নাই, কেবল কুজবটিক, সেইরূপ যখন উপাসক ঈশ্বরের সত্য স্বরূপ ও জ্ঞান-স্বরূপ, সাধনা করিয়া সিদ্ধ হইলেন, তখন দেখিলেন, সমস্ত জগত তাহার সত্তার মধ্যে ডুবিয়া গিয়াছে । १९ कछ, ७ छाँगं*;
