পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चर्थशच।। १४१० {__>= - - -o-o-o- - حت -تحت=== مجمع ع-ص=== সমস্ত জগত cڼا গিয়াছে ; চন্দ্র নাই, সূৰ্য্য নাই, আকাশ নাই, পাতাল নাই, কেবল র্তাহার সত্তা, উtহার জ্ঞান ; পর্বত নাই, সমুদ্র নাই, পৃথিবী নাই, শূন্য নাই, কেবল র্তাহার সত্তা ও জ্ঞানের অনন্ত বিস্ত তি ; র্তাহার আদিও নাই, অন্তও নাই, তিনি অনন্তম্। এইরূপ আমাদের মন্ত্রস্থ স্বরূপগুলি সাধন না করিলে প্রকৃত উপাসনা হইতে পারে না । যতদিন ব্রহ্ম-স্বরূপে ব্রাহ্মের প্রাণ প্রতিষ্ঠিত না হইবে, ততদিন ব্রাহ্মের প্রাণ প্রতিষ্ঠ হইতে পারে না । তিনিই উপাসকের প্রাণ প্রতিষ্ঠার স্থান। আর সত্যং জ্ঞানমনন্তং ইত্যাদি মন্ত্রই ব্রাহ্মের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল মন্ত্র। এই মূলমন্ত্র ভিন্ন আছে । সেই প্রণালীটী চারি ভাগে বিভক্ত। উদ্বোধন, আরাধনা, ধ্যান ও প্রার্থনা । উদ্বোধন—নিদ্রিত আত্মাকে জাগ্রত করা, অচেতন আত্মাকে সচেতনে আনা, অস্থির চিত্তবৃত্তিকে আত্মস্থ করার নাম উদ্বোধন | আরাধনা—সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম। অনন্দ রূপমমৃতং যদ্বিভাতি । শান্তং শিবমদ্বৈতং। শুদ্ধমপাপবিদ্ধম্। এই মন্ত্রস্থ অথবা মহাবাক্যস্থ প্রত্যেক স্বরূপকে আত্মস্থ হইয়া প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করার নাম আরাধনা ৷ ধ্যান—পূর্বোক্ত মহাবাক্যস্থ সমস্ত স্বরূপের একীকৃত স্বরূপে আত্মবিসর্জনের নাম ধ্যান । অর্থাৎ সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্মেতে আত্মবিসর্জন । প্রার্থনা—ঈশ্বরকে সত্যং জ্ঞানংরূপে প্রত্যক্ষ করিয়া হৃদয়ের অভাব জ্ঞাপন ও তাহার প্রতিবিধান ভিক্ষার নাম প্রার্থনা । যথা—“আসতোম। সদগময় তমসোম৷ জ্যোতিৰ্গময় মৃত্যোর্মামমৃতং গময়। অtবিরাবীর্ঘএধি। রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং ব্ৰহ্মপূজ{ - ১৪৩ ৷ র্তাহার জ্ঞানের মধ্যে ডবিয়া | তেন মাং পাহি নিত্যং ।” অসত্য হইতে আমাকে সৎস্বরূপে লইয়া যাও, অন্ধকার হইতে আমাকে জ্যোতিঃস্বরূপে লইয়া যাও মৃত্যু হইতে আমাকে অমৃত স্বরূপে লইয়। যাও, হে স্বপ্রকাশ ! আমার নিকট প্রকাশিত হও । রুদ্র ! তোমার যে প্রসন্ন মুখ তাহা দ্বারা অামাকে সৰ্ব্বদ। রক্ষা কর । আমি অসত্যেতে ভূমি আছি, অসারের দাস হইয়া সৰ্ব্বদা দিন কাটাইতেছি, আমার স্বরূপ অসত্য, তোমার স্বরূপ সত্য, ছে সত্য স্বরূপ ! আমাকে তোমার স্বরূপে লইয়া যাও । আমি নিজে অন্ধকার, অহং- । জ্ঞান আমাকে আরও অন্ধকারে লইয়। যাইতেছে, অবিশ্বাস সৰ্ব্বদা আমার হৃদয়ে আমারজনী কঙ্কিা রাখিয়াছে, তুমি জ্যোব্ৰহ্ম-উপাসনার একটী বিধিবদ্ধ প্রণালী । তিঃস্বরূপ, এই অন্ধকারকে জ্যোতিঃস্বরূপে লইয়া যাও, আমার হৃদয়ের অন্ধকার বিদূরিত হউক। আমি মৃত্যুর মধ্যে পড়িয়া রহিয়াছি, মায়া মোহ ও পাপ আমাকে চেতন হইতে দেয় না, আমি অচেতন, আমি মৃত, হে অমৃত স্বরূপ ! আমাকে অমৃতেতে লইয়া যাও, তোমাতে লইয়া যাও । আমার তপস্যা আমার নিয়ম অামার সাধন ভজন তোমাকে প্রকাশ করিতে পারিল না, হে স্বপ্রকাশ ! তুমি আপনি প্রকাশিত না হইলে কেহই কিছুতেই তোমাকে প্রকাশিত করিতে পারে না, তুমি প্রকাশিত হও । হে রুদ্র । আমি দুর্বল, তোমার কঠোর দৃষ্টি সহ করিতে পারিব না, তোমার প্রসন্ন মুখ দেখিতে চাই, তোমার প্রসন্ন মুখ দ্বারা অামাকে সৰ্ব্বদা রক্ষা কর । এইত গেল বিধিবদ্ধ উপাসনা প্রণালী । তার পর সাধক নিজের ধৰ্ম্মবুদ্ধি অনুসারে তাহার স্বরূপ অবলম্বন করিয়া প্রণালী বহিভূত সাধনও অবলম্বন করিতে পারেন। কিন্তু ।