পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MMDMT LSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSDD AMS নিতে পারিতেছি আপনি কি না করিতে পারেন, কিন্তু আমি আমার গাত্রের লোম একটা আপনাকে উৎপাটন করিয়া দিতেছি অগ্রে তাহাকে ভষ্ম করুন, তবে পশ্চাতে আমাকে ভষ্ম করিবেন । আপনি এতদিন পর্যন্ত কি কাহাকেও ভষ্ম করিয়াছেন ? হে মহাত্মন! ভয় হইবার পুরুষ কি কেহ আছেন ? ভষ্ম কি কেহ কাহাকে করিতে পারেন ? তবে কেন মিছা ভ্রমে পতিত হইয়া আছেন । অগ্নি কি কখন অগ্নিকে ভষ্ম করিতে পারেন । হে মহাত্মন! শাস্ত্রের পঠিত অহঙ্কার পরিভ্যাগ করিয়া পূর্ণ পরব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ গুরু আত্মার শরণাপন্ন হউন, যাহাতে অহস্কার নিবৃত্তি হইয়া সদ। আনন্দরূপ থাকিবেন । সৎ পথে যাইলে সকল ভ্রম কন্ট নিবারণ হয় । তখন সেই সন্ন্যাসী মহাত্মা বলিলেন যে, মহাশয় ভাপনি কে ? আপনি যে এত জ্ঞানের কথা বলিলেন আপনি কে ? আপনি সাধু না পরমহংস, আপনার তো কোন চিহ্ন দেখিতে পাইতেছি না । শিবনারায়ণ বলিলেন যে, আমি কে এবং তুমি যে কে আমি কি বলিব, যাহা অাছি তাচাই । কেবল বলিতে গেলে, আমিও মনুষ্য তুমি ও মনুষ্য । তখন সেই মহাত্মা শিবনারায়ণকে বলিলেন যে, আপনাকে চিনিতে না পারিয়া অনেক কটু কাটব্য বলিয়াছি। আপনি অনুগ্রহ করিয়া আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করিবেন । আমি তাপনাকে শুঁ নমঃ নারায়ণায় নমঃ বলিয়া প্ৰণাম করিতেছি । মনে মনে বলিলেন যে যত রাজা প্রজ পণ্ডিত এবং সাধুদিগের তো এই গতি । হুইয়াছে। পরব্রহ্ম সম্বন্ধে কেহ কোন কথাই জিজ্ঞাস করেন না । যে যে স্থানে যাই সেই সেই স্থানেতে যদ্যপি কোন প তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १२ कछ, ७ छांज , তখন শিবনারায়ণ আপনার । ইবারও কোন প্রয়োজন নাই । ণ্ডিতের সহিত দেখা হয় তাহা হইলে সেই পণ্ডিত জিজ্ঞাসা করেন তুমি শাস্ত্র পড়িয়াছ, এই কথার শব্দ অর্থ জান ? যদি বলি জানি, তাহা হইলে সেই পণ্ডিত যাহাতে আমি পরাজয় হই তাছার জন্য ও যাহাতে আপনার মান বৃদ্ধি হয় তাহার জন্য চেষ্টা করেন কিন্তু যদি বলি যে পড়ি নাই, তাহ হইলে সেই পণ্ডিত বলেন যে তুই মূখ, এই বলিয়। তাড়াইয় দেন। কোন সাধুর নিকট যদি যাই, তাহা হইলে সেই সাধু জিজ্ঞাসা করেন যে তুই কোন মঠের এবং কোন সম্প্রদায়ের সাধু ? তুই কি কি জানিস, তুই কিছু ভয় টয় করিতে পারিস, সোনা, রূপা, কিমিয়া ? যদ্যপি বলি আমি কিছু জানিনা,আমি কোন সম্প্রদায়ের সাধু নহি। এই কথা শুনিয়া তাহারা বলে যে এ তে৷ আমার সম্প্রদায়ের সাধু নয়, বেটীকে তাড়াইয়া দেও। যদ্যপি রাজার নিকট সৎউপদেশ দিবার জন্য যাই তাহা হইলে কোন রাজা তো আমার সম্মুখে আসেন না, পাছে কিছু যাচঞা করি। যদ্যপি কেহ আসেন তাহা হইলে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কোন বিষয়ে সিদ্ধ হইয়াছ ? সিদ্ধ হইয়া থাক তো আমাকে আশীৰ্ব্বাদ কর যাহাতে আমার পুত্র হয় ও রাজ্য বৃদ্ধি হয়। কেহ শিবনারায়ণকে এইরূপ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিতেন আমি কি আগে অসিদ্ধ ছিলাম যে এখন সিদ্ধ হইব, যাহা আগে ছিলাম তাহা এখন ও আছি, সিদ্ধ ও হই নাই, অসিদ্ধও হই নাই, যাহা তাহাই আছি । সিদ্ধ অসিদ্ধ হ রাজার ইহা শুনিয়া তাড়াইয়া দেয়, যে তুমি কিছু জানন, যাও । যদি প্রজার নিকট যাই তাহা হইলে প্রজারা তো দ্বারের সম্মুখে দাড়াইতে দেয় না। যদ্যপি কেহ কেহ