পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1_ _ m»zmagsim = == ച : ബജ - - 8 داده و rsratinه দাড়াইতে দেয় তাহা হইলে জিজ্ঞাসা করে তুই কি গৃহস্থ না সাধু ? যদি বলি যে আমি সাধু তাহা হইলে সেই গৃহস্থ বলে তুমি কোন ঔষধ জান ? অথবা আশীৰ্ব্বাদ কর, যাহাতে আমার পুত্র হয় ও ধন হয় । ধন হইলে তোমাকে সেবা করিব। শিবনারায়ণ মনে মনে বলিতেন যে সকলের বুদ্ধি একবারে অসৎ পদার্থে ভ্ৰষ্ট হইয়। গিয়াছে । সকলেই ধন, রাজ্য, পুত্র ইত্যাদি স্থখ আকাঙক্ষ করে এবং চাহে। কিন্তু পূর্ণ পর ব্রহ্ম জ্যোতিঃস্বরূপ গুরু আত্মা মাতা পিতাকে কেহ পাইবার জন্য তাকাঙক্ষা করে না ও চাহে না । সুর নর মুনির এই রীতি। স্বার্থ লাভের জন্য করেন প্রাতি। শিবনারায়ণ মনে মনে বিচার করিয়া বলিলেন যাহা হউক এখন যেখানে যাইতেছি সেই খানেই তো এইরূপ ঘটিতেছে এখন ক্ষত্রিয় কুলে যাই দেখি ইহঁরা কি করেন। কেন না ইহঁরাই চিরকাল সত্য ধৰ্ম্ম পালন ভাবিয়া কাশী হইতে পূর্ব মুখে ডুম্‌রাওর নিকট চৌগাই গ্রামের বাবুর নিকট গেলেন। বিবাহ করিতে আসিয়াছিল। এক বাগান তাহারা আশ্রয় করিল। শিবনারায়ণ দ্বারেতে যাইয়া দেখিলেন বাবুর বাহিরে দাড়াইয়া আছেন। শিবনারায়ণ বলিলেন, যে আপনারা বিবাহের জন্য এখন ব্যস্ত আছেন, তাহার জন্য সত্য ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে কোন কথা হইল না । কিন্তু আমি বাগানের অমুক স্থানে যাইয়া বসিতেছি যখন তোমাদের সাবকাশ হয় আমার সহিত সাক্ষাৎ করিও । দুই চারি কথা বলিয়া আমি শীঘ্র এখান হইতে চলিয়া ਕੀਤਕ ਕਿ S8ፃ যাইব । আমি অধিক দিন এখানে থাকিব না । চৌগায়ের বাবু বলিলেন বেটা, যাব কি না যাব জানি না, তুই যা। তোর মতন পাগল এখানে অনেক আছে। শিবনারায়ণ সেই বাগানে যে সকল বরযাত্রিগণ আছে সেই সকল দেখিয়া বেড়াইতে লাগি লেন । বনের পিতা -যখানে বসিয়াছিলেন সেইখানে দুই চারি জন মহাত্মা লোক কাশী হইতে আসিয়া বসিয়া ছিলেন । র্তাহাদের মধ্যে একজন মহাত্ম। শিবনারায়ণকে এদিকে ওদিকে বেড়াইতে দেখিয়া বরকর্তা বাবুকে বলিলেন যে ও বেটা ঘুরিয়া বেড়াইতেছে ও বেটা চোর, কিছু সোনা রুপার দ্রব্য গহনা কিম্ব আর কিছু লইয়া পলাইয়া যাইবে । উহাকে এখান হইতে বাহির করিয়া দেওয়া উচিত। তখন মহাত্মার কথা শুনিয়া বাবু দুই জন দ্বারবানকে হুকুম দিল যে ঐ ব্যক্তি ঘুরিতেছে, উহাকে ধরিয়া এখানে আন। দুইজন দ্বারবান করিয়া আসিতেছেন । শিবনারায়ণ এই ৷ তখনি শিবনারায়ণের দুই হাত ধরিয়া ঠে লিতে ঠেলিতে বাবুর নিকট লইয়া গেল । বাবু বলিলেন যে তুই কে ? শিবনারায়ণ চৌগায়ের বাবুর কন্যার সেই দিবস বিবাহ বলিলেন আমি মনুষ্য—আদমি। বাবু বলিল ছিল। পশ্চিম হইতে এক বাবু অত্যন্ত । ধুম্‌ধামে হাতি ঘোড়া ইত্যাদি লইয়া । বেটা তুই সত্য সত্য বল, নতুবা তোর হাড় চূর্ণ করিব। দ্বারবানকে হুকুম দিলেন যে বেটা যদি না বলে তাহা হইলে তরবাল আনিয়া ইহার হাত পা কাটিয়া লও। তখন একজন মহাত্মা বলিলেন যে বাবু চোরকে আর কি জিজ্ঞাসা করিতেছেন, বেটাকে দুই চারি থাবড়া মারিয়া বাহির করিয়া । দেন। সেই কথা শুনিয়া বাবু দ্বারবানদের হুকুম দিলেন। দ্বারবানরা সেই হুকুম শুনিয়া শিবনারায়ণকে গলাধাক্কা দিতে দিতে অধি ক্রোশ দূরে তাড়াইয়া দিল । ক্রমশঃ ।