পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

༤། 8bー _- = تی۹ = نقشه কোজাগর পূর্ণিমার দিন দেবগৃহে ব্রহ্মোপাসনা । উপদেশ । “অদ্য ভ্রম বশতঃ আঁমাদিগের দেশের লোকেরা কল্পিত লক্ষ্মী দেবীর উপাসনা করিতেছেন ; আমরা সেই প্রকৃত লক্ষ্মী দেবী পরমেশ্বরের উপাসনা করিতেছি। তিনিই ঐশ্বর্য্যের স্বামী, তিনিই ঐশ্বর্য্যের প্রদাতা, তিনিই ঐশ্বর্য্যের নিয়স্ত। তিনিই বসুন্ধরাকে । ধনধান্য দ্বারা পূর্ণ করিয়াছেন। ধনধান্যভরা রমণীয় ধরা তাহারই দ্বারা প্রতিপালিত হইতেছে । গৃহস্থ ব্রাহ্ম যদি বলেন ধনকে তুচ্ছ করি তাছা হইলে তিনি মিথ্যা বলেন,তাহার কার্য্য পদে পদে তাহার কথার অযথার্থতা প্রদর্শন করে। কোন জ্ঞানী ব্যক্তি বলিয়াছেন “বিনা ধনেন সংসারঃ নয়নেন বিনা বপুঃ । যেমন শারীরিক কার্য্য নয়ন বিনা চলে না তেমনি সংসার ধন বিনা কোন রকমে চলে না কিন্তু ধনোপাজ্জন জন্য বৈধ চেষ্টা অবলম্বন করা কৰ্ত্তব্য । কোন অবৈধ উপায় অবলম্বন করা কর্তব্য নহে। বৈধ উপায় দ্বারা সম্যক চেষ্টা করিয়া যদি ধনোপার্জন না করিতে পারা যায় তবে সস্তুষ্ট চিত্তে কালযাপন করা কর্তব্য, যেহেতু যিনি তোমাকে ধনী করেন নাই তিনি তোমার কুশল তোমা হইতে ভাল জানেন । যখন ধৰ্ম্মের সহিত বিষয়ের বিরোধ হয় তথন অসঙ্কুচিত চিত্তে বিষয় ত্যাগ করা উচিত। উত্তরোত্তর যত ধন বুদ্ধি হয় লোকে উত্তরোত্তর তত গৰ্ব্বিত হয় কিন্তু ধাৰ্ম্মিকের সে প্রকার হওয়া উচিত হয় না । যেমন ধন উত্তরোভর বৃদ্ধি হয় তেমনি তাহার নম্রতাগুণ উত্তরোস্তুর ' বৃদ্ধি হওয়া উচিত। ধন সম্বন্ধে আপনাকে ঈশ্বরের খাতাঞ্জ মনে করা কৰ্ত্তব্য । পরিবার প্রতিবেশী স্বদেশীয় লোক পৃথিবীস্থ লোকের উপকারের জন্য । ধন ব্যয় করা কৰ্ত্তব্য ; আপনার সুখ সাধনের জন্য । করা কৰ্ত্তব্য নহে । এরূপ ভাবে ধনের ব্যবহার করলে ধনের সার্থকতা হয় । ঈশ্বর যেমন পার্থিব ধনের নিয়ন্ত তেমনি পারত্রিক ধনের নিম্ন স্ত।। অধ্যাত্মিক ধনের সহিত কি পার্থিব ধনের তুলনা হ হতে পারে ? পবিত্রতা, শাস্তি, প্রেম ও ব্রহ্মানন্দ তা ধ্যাত্মিক ধন । যেমন কিছু ধন উপার্জন করিলে তাহা অধিকতর ধন উপার্জনের সহকারী হয় তেমনি এক আধ্যাত্মিক ধন উপার্জিত হইলে তাহা অার এক জলধ্যাত্মিক ধন লাভের উপায় হয় । পবিত্রতা লাভ ম:ন্তি লাভের উপায় হয়, শান্তি লাভ ঈশ্বরপ্রেমলাভের উপায় হয়, ঈশ্বরপ্রেম ব্ৰহ্মানন্দ লাভের উপায় হয় । রিপু দমন না করিলে, চিত্তকে পবিত্র না করিলে, ঈদয়ের অভদ্র জিনিষ সকল বিনষ্ট না করিলে, শান্তি লাভ করা যায় না। যেমন স্থির ও নিৰ্ম্মল আকাশেই সুর্য্যকিরণ দীপ্তি পায় তেমনি স্থির ও নিৰ্ম্মল চিত্তেই প্রেমস্বর্য্য প্রকাশ পায়, মোহমেঘ দ্বারা আচ্ছন্ন, রিপুরূপ ঝটিকা দ্বারা আন্দোলিত আত্মাতে ঈশ্বর প্রকাশ পায়েন না । ঈশ্বরপ্রেম না | পত্রিকা হঃালে ব্রহ্মান নদ লাভ করা যায় না।” 》 कन्न, ७ चाण of on _ _ _ প্রার্থনা । “आलाकांद्र cछाॉ९न्नां भग्न ब्रछन्नैौ कि यूरनमव्र । कि নিৰ্ম্মল ! কি প্রশান্ত ! কি সুধাময় ! হে পরমাত্মন । চন্দ্রের যেমন নিজের আলোক কিছুই নাই স্বর্ঘ্যের আলোকে আলোকিত হয় তেমনি আমাদিগের | আত্মার নিজের কোন আলোক নাই কেবল তোমার আলোকে আলোকিত, কেবল তোমার ভাতির অমৃভাতি মাত্র। যখন সংসার তোমার ও আমাদিগের আয়ার মধ্যে আইসে তখন আত্মার গ্রচণ উপস্থিত হয় । তোমার নিকট প্রার্থন যে আমাদিগের আত্মা সংসাররূপ রাহু দ্বারা কখন গ্রস্ত না হয় । আদ্যকার রজনী যেমন সংসারের লোকের আনন্দদায়ক তোমার নিকট প্রার্থনা যে আমাদিগের আত্মা তোমার সুধাময় কিরণে উজ্জল হইয়া জগতের আনন্দদায়ক হয়” । তৎপরে সকলে বাটীর সম্মুখস্ত বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র স্থিত চবুতরার উপরে;গোলাকারে দণ্ডায়মান হইয়া “গাওরে আনন্দে সবে জয় ব্রহ্মের জয়” উচ্চৈঃস্বরে গান করিলেন। ফুল ঈশ্বরের পৃথিবীস্থ সকল ঐশ্বৰ্য্য অপেক্ষা শোভনতম, কোমলতম, মধুরতম। এই বোধে ত্রাহ্মের। তৎপরে বাটীর পুষ্পোদ্যানে সেই চন্দ্রালোকে দাড়াইয়া নিম্নে লিখিত গানটি গাছিলেন । “ফুটন্ত ফুলের মাঝে দেখরে মায়ের হাসি । दिद भूझ भन्न श्रशांशंझ ঝরে তাহে রাশি রাশি ! অরূপ রূপের ছটা বিচিত্র বরণ ঘটা, রসালে ঘোরালো, করে দিক আলো, শোভ। হেরে মন উদাসী । কুসুমে প্রাণ পাগল করে, পরশে ত্রিতাপ হরে, মা হাসে ফুলের ভিতরে, তাই ফুল এত ভাল বাসি । তর কুঞ্জ পুষ্পবনে, নিরখিয়ে নিরঞ্জনে, ভাসে যোগানন্দে, হাসে প্রেমানন্দে, যোগী ঋষি তপোবন বাসী” । বিজ্ঞাপন । আগামী ৫ পৌষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার পর সারস্বত আশ্রমে বলুহাটী ব্রাহ্মসমাজের দ্বাত্রিংশ সাম্বৎসরিক ব্রহ্মোপাসনা হইবে । শ্ৰীযোগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্পাদক ।