পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

نام داد تا دch হইতেই জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসার অফ ট ধ্বনি বাহির হইতেছে । কিন্তু সাধারণ ভাবে দেখিতে গেলে দেখা যায় যে, প্রত্যেক মনুষ্যের মনই ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসার বিশেষ চিহ্নে চিহ্নিত। ‘ধৰ্ম্ম কি ? ঈশ্বর কি ?’ এই জিজ্ঞাসা লইয়াই মানব-প্রাণ আকুল । এই ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা যাহাদের হৃদয়কে অনুবিদ্ধ করে, তাহাদের আর কিছুতেই তৃপ্তি নাই, কিছুতেই আরাম নাই । বিষয় তাহাদের নিকট বিষ, সংসার কারাগার, পৃথিবী শূন্য । যহাদের ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা গভীর ও ওজস্বী তাহারা প্রত্যক্ষ- । বাদী । ভাবুকতায় মন গলেনা, শাস্ত্রের সারগর্ভ উপদেশে প্রাণ স্পর্শ করে না, বাহ্যিক ধৰ্ম্মাড়ম্বরে তৃপ্তি হয় না, ধৰ্ম্মানু চায় ঈশ্বরকে স্পর্শ করিতে, প্রাণের মূলে অনুভব করিতে। এই ভাবটী প্রাচীন লক্ষিত হইয়া থাকে, আর র্তাহাদের অবলম্বিত সাধনপ্রণালীও পূৰ্ব্বোক্ত কথার সাক্ষ্য প্রদান করে । যখন মানব মনে গভীর ও ওজস্বী ব্রহ্মজিজ্ঞাসার উদয় হয়, তখন আর সে স্থির থাকিতে পারে না। স্বার্থপরতার শৃঙ্খল বা সঙ্কীর্ণতার প্রাচীরে আর তাহাকে আবদ্ধ রাখিতে পারে না, ভাবের আবিল অথবা হাকে ব্রহ্মের দিকে লইয়া যায় । ইহাতে নানা বিঘ্ন ও বিপদ আছে । মনুষ্য স্বভাবতঃ ভাব-প্রবণ। বিশেষতঃ ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসুদিগের ত কথাই নাই । ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসার সঙ্গে সঙ্গে ধৰ্ম্মভাবের উদয় হইয়া থাকে। এই ভাব ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসাকে অধিকতর তেজস্বীও প্রখর করিয়া জিজ্ঞাস্থকে আশ্রয় লইলাম। ব্ৰহ্ম-উপাসকদিগের জীবনে উজ্জ্বলরাপে ব্ৰহ্মপূজা r 't్ఫ নিরন্তর ব্রহ্ম-সন্তাবের দিকে যাইবার জন্য কঠোর রূপে তাড়ন করত জিজ্ঞাসাকে পরিপুষ্টও সতেজ করিয়া থাকে। এইরূপ সতেজ জিজ্ঞাসাপূর্ণ ও ভাবানুবিদ্ধ আত্মা— ব্রহ্ম লাভের অধিকারী । আমার হৃদয় শূন্য, এই শূন্যতা পূর্ণ করিবার উপকরণ সংগ্ৰহ করিতে অনেক চেষ্টা করিয়াছি, কিন্তু কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারি নাই। বাল্যকাল হইতেই প্রকৃতি আমার প্রিয় দেবতা। প্রকৃতির মধ্যে নানা শোভা ও সৌন্দর্য্য দর্শন করিয়া হৃদয়ের শূন্যতা পূর্ণ করিতে চেষ্টা করিতাম। ক্রমে দিন চলিয়া গেল, শৈ শব যৌবনে লীন হইল, যৌবন প্রৌঢ় অবস্থায় উপনীত হইল ; আমি এখন মোদিত কার্ষ্যেও প্রীতি হয় না । তাহার প্রৌঢ়, এই অবস্থায়ও আমার হৃদয় শূন্য! এই শূন্যতা পূর্ণ করিতে আবার প্রকৃতির প্রকৃতির শোভা ও সৌন্দর্য্যের মধ্য হইতে এক বিচিত্রত আসিয়া আমার মনকে বিদ্ধ করিল। ঈশ্বর-পিপাসা আমার প্রাণে প্রবল হইল । আর কিছুই ভাল লাগে না । আমি ধা স্মিক নই, আমি প্রেমিক নই, আমি ভক্ত নই, এই বলিয়া আমার বন্ধু বান্ধবের আমাকে ভৎসনা করিতেন । আমি বন্ধু বান্ধবদিগের সহবাস পরিত্যাগ করিয়া আমার বাল্য-সখী প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে ভ্রপ্ররোচনার সৌন্দর্য্যে আর সে মুগ্ধ হয় না, । তাহার আত্মার গভীর ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা তা- ৷ কিন্তু । মণ করিতে লাগিলাম। অনেকদিন পর প্রকৃতিও আমাকে ভৎসনা করিতে প্রবৃত্ত হইল । একদিন রজনীতে চন্দ্রালোকে নদীতটে ভ্রমণ করিতেছিলাম, চন্দ্রালোক • যেন আমাকে বলিয়া উঠিল, তুই অবি শ্বাসী, তুই আমার স্বষ্টিকৰ্ত্তাকে বিশ্বাস করিস্ না, আমার আলোকে ভ্রমণ করিবার তোর অধিকার নাই । তারপর হইতে সুমিষ্ট ফল যখন রসনাতে প্রদান করিতাম, .