পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ(8 প্রলোভন কি বিপদ ও যন্ত্রণ র্তাহার হৃদয়কে স্পর্শ করিতে সমর্থ হয় না। র্তাহার প্রাণ এমন এক সুদৃঢ় ভিত্তির উপরে স্থাপিত যে অতি গুরু দুঃখেও তাহাকে বিচলিত করিতে পারে না। “যস্মিন স্থিতোন দুঃখেন গুরুণাপি বিচাল্যতে ।” | প্রেমাস্পদ পরমাত্মাকে পুত্র হইতে প্রিয় বিত্ত হইতে প্রিয় এবং আর আর সকল প্রিয়তর বস্তু হইতে প্রিয়তম জানিয়া তিনি তাহাতেই জীবন সমর্পণ করেন । । করি, তখন সৃষ্টির প্রত্যেক কার্য্যেই আমরা তাঙ্গর মহিমা উপলব্ধি করিয়া অতুল আনন্দে নিমগ্ন হইয়া যাই । র্তাহাকে অবলম্বন করিলে যদি পুত্র পারবার ত্যাগ করিতে হয়, সংসারে অতিহীন ভাবে বাস করিতে হয়, তাহাতে তিনি কিছু মাত্র দুঃখিত হয়েন না । তাহার আত্মার 'নিৰ্ম্মল আনন্দ ও শান্তি সংসার কিছুতেই হরণ করিতে পারে না । “সোহশুতে সৰ্ব্বান কামান সহ ব্রহ্মণা বিপশ্চিত,” তিনি সেই সৰ্ব্বজ্ঞ পরমেশ্বরের সহিত কামনার সমুদায় বিষয় উপভোগ করেন । তাহার প্রকৃতি অতি বিনীত ও শান্ত । সকল মানবের প্রতি র্তাহার অকৃত্রিম প্রেম দেখিতে পাওয়া যায় । সংসারের সংকীর্ণতা ও সাম্প্রদায়িক ভাব র্তাহাকে স্পর্শ করে না । আপনার মত বিরুদ্ধ কথা শুনিলে তিনি শক্রর ন্যায় । কাৰ্য্য মনে করি, কিছুষ্ট সম্পন্ন করা যায় ' न्म'1 ।। কাহাকে ও আক্রমণ করেন না । কাহার ও প্রতি অন্যায় দোমারোপ করিয়া, কাহারও নিন্দ ঘোষণা করিয়া তাহার আনন্দ বোধ হয় না, তিনি আপনার হৃদয়ের সদ্ভাবে সকলকে অক্লিন্ট করেন । র্তাহার প্রাণে এমন এক বিশ্বব্যাপী প্রেম আছে, যাহাতে তনি মানবসংসারকে আপনার জ্ঞান করিয়া জগতের দুঃখ দূর করিতে চেষ্টান্বিত হন । এরূপ লোক নির্জনে স্বার্থপরের ন্যায় অালস্যে দিন কাটান না, জীবনের জলন্ত ধৰ্ম্মশক্তিতে সংসারের পাপ তাপ দূর করেন । তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ०२ कछ, ७ छाँगं ঈশ্বরপ্রীতি ও র্তাহার প্রিয় কার্য্যসাধনই ঈশ্বরোপাসনা । ঈশ্বরের প্রীতি যাহার হৃদগত প্রীতি হইয়াছে, তিনি র্তাহার আদেশ প্রতিপালন করিবার জন্য । প্রাণপণে পরিশ্রম করিয়া আপনাকে কুতাৰ্থ বোধ করিবেন । এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের স্বষ্টিকৰ্ত্ত করুণাময় পরমেশ্বরের প্রতি যখন আমাদের হৃদয়ের গভীর বিশ্বাস ও নির্ভর উপস্থিত হয়, যখন মানসপটে র্তা হার অনন্ত মঙ্গলভাব আমরা অবলোকন এই নির্ভর ও আনন্দের অবস্থায় সংসারের প্রতি আর আত্মার কিছুমাত্র আসক্তি থাকে না । প্রাণ বিষয়া কর্ষণ ছিন্ন করিয়া, মোহমায়া কাটা ইয়। নিরন্তর পরমেশ্বরের সহবাসে বাস করিতে ইচ্ছা করে। ইহাই প্রকৃত সংসারবৈরাগ্যের অবস্থা । এই বৈরাগ্যে ও ভগবৎপ্রেমে প্রাণ মন পূর্ণ না হইলে, সংসারের সুখাসক্তি ও যশোলালসার শান্তি না হইলে, স্বদেশের শ্ৰীবৃদ্ধিসাধন, ধৰ্ম্মনীতির সংস্কার, সামাজিক ও রাজনৈতিক অত্যাচার নিবারণ, মানবকুলের মঙ্গলজনক সৎকাৰ্য্য, যাহা কিছু আমরা ঈশ্বরের প্রিয় যাহার প্রাণ পৃথিবীর ক্ষুদ্রতাতে, রিপুর অত্যাচারে, বাহ্য সভ্যতার স্রোতে ঘূর্ণমান, তাহার পক্ষে স্বাৰ্থ ভুলিয়। ঈশ্বরের নামে পরার্থে জীবন বিসর্জন করা অসার কল্পনা মাত্র, তাহার পক্ষে কোন উচ্চতর বিষয়ের চিন্তা করা ও একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার । প্রেমাম্পদের প্রিয় কার্য্যের জন্য আত্ম বিসর্জনই প্রীতির লক্ষণ । ঈশ্বরকে পিতা বলিলেই মানবকে ভ্রাতা বলিতে হয়, এবং