পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

κτή" ... b د ー。 : ۸پ . هيEliz_t =مسييه هي= a বেদন্তিমত | sta ബ=ബം == **** ভাই বলিলেই ভাইয়ের প্রতি কর্তব্য আসিয়া উপস্থি ত হয় । এই কর্তব্য বোধে নিজের সুখ দুঃখ স্বার্থ গণনা না করিয়া ংসারের সেবা করা আমরা তাহার প্রিয়কার্য্য মনে করি । প্রিয় কার্য্য ভিন্ন প্রীতির কোন মূল্য নাই। পরমেশ্বর অামাদিগকে কার্য্যসাধনোপযোগী ইন্দ্রিয় ও বুদ্ধিবল দান করিয়াছেন, এবং সৰ্ব্বোপরি আত্মাকে অজেয় ধৰ্ম্মবলে বলায়ান করিয়া পৃথিবীতে পাঠাইয়াছেন । তিনি আমাদের ক্ষুদ্র আত্মাতে এমন এক শক্তি নিহিত করিয়া দিয়াছেন, যাহার বলে আমর সমুদায় বাধাবিঘ্ন বিপত্তি বিমাদ অতিক্রম করিয়া তাহার ধৰ্ম্মনিয়মকে জয়যুক্ত করিতে পারি । সংসারে জন্মগ্রহণ করিয়া আমাদের হৃদয়মনের সমুদায় শক্তিকে যথোপযুক্ত রূপে কার্য্যে নিয়োগ করাই ধৰ্ম্ম | ব্যাপী আধ্যাত্মিক সংগ্রাম । হে মানব চিরকালের অাশ্রয়দাতা প্রেমময় পিতাকে যদি সংসারে দেখিতে চাও, তবে সরল ব্যাকুল ও প্রীতিযুক্ত হৃদয়ে দেখ, সৰ্ব্বত্রই দেবাদিদেবের মহিমা ও কৃপা জীবন্তভাবে দেখিতে পাইবে । সেই করুণাময় মঙ্গলময় প্রাণের প্রিয়তম পরমেশ্বরকে পরিত্যাগ করিলে সংসার নরক, পাপের অালয়, আর র্তাহাকে প্রাণে রাখিয়া তাহার প্রেরিত শুভবুদ্ধি অনুসারে কৰ্ত্তব্য প্রতিপালন করিলেই সংসার স্বর্গের সোপান । “স সেতুৰ্ব্বিস্তৃতিরেষাং লোকানামসম্ভেদায়” তিনি এই লোকভঙ্গ নিবারণার্থে সেতু স্বরূপ হইয়া সমুদায় ধারণ করিতেছেন। প্রতি মুহুর্তে র্তাহার কৃপা ভোগ করিবার সময় তাহার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। স্ত্রী পুত্র পরিবারে বেষ্টিত হইয়া পবিত্রান্তঃকরণে প্রতিদিন দয়া ধৰ্ম্ম এক কঠোর পরীক্ষা, জীবন mm. Ensimust L D ময়ের চরণ প্রান্তে বসিয়া তাহার আরাধনা কর, শোকসন্তাপ দূরীভূত হইবে, বিমলানন্দে হৃদয় পরিপূর্ণ হইবে, সংসারেই স্বগের সৌন্দর্য্য উপভোগ করিবে, সংসারই তোমার ব্রহ্মলোক হইবে । * বেদান্মমত । পূর্বের অনুবৃত্তি । রূপাদি সংস্কার কি আশ্রয় করিয়া থাকে ? ইহা কামাদির ন্যায় সমান-আশ্ৰয় | কণমাদিই বা কোথায় থাকে ? কাম সংকল্প ও সংশয় বুদ্ধিতেই থাকে । এই বুদ্ধিতেই রূপাদি সংস্কার থাকে। আত্মা অসঙ্গ ও অবিকারী । ইচ্ছা দ্বেষ প্রভৃতি য। কিছু সমস্তই ক্ষেত্রের—বিষয়েরই ধৰ্ম্ম ; অশুদ্ধি-সম্বন্ধ মাত্রই বুদ্ধিস্থ কখন আত্মস্থ হয় না । অতএব বৎস ! রূপাদি সংস্কার প্রভৃতি অশুদ্ধি দ্বারা অসংস্পৃষ্ট বলিয়া তুমি পরমাত্মা হইতে অভিন্ন । এখন শিষ্য যদি জিজ্ঞাসা করে, ভগবন! বাস্তবিকই এক ব্রহ্ম ভিন্ন দ্বিতীয় কিছুই নাই ইহাই যদি ঠিক হয় তবে সাধ্য সাধন ও সাধক এই তিনটির গতি কি । দেখা যাইতেছে লোকে অর্থাদির নিমিত্ত । যুদ্ধ বিগ্ৰহাদির আশ্রয় লইয়া থাকে, স্বর্গাদি সুখের নিমিত্ত যাগ যজ্ঞাদি উপায় সকল অবলম্বন করিয়া থাকে। লোকে এইরূপ কত শত সাধ্য সাধনাদি ব্যবহার চলিতেছে যদি এক ব্রহ্ম ভিন্ন আর কিছুই নাই তবে এই যে ত্রিক—সাধ্য সাধন ও সাধক— যাহা আবহমান কাল শত শত বাদির বিবাদের বিষয় হইয়া আছে এবং শ্রুতি স্মৃতি ও লোকে যাহা বিশেষ প্রসিদ্ধ ইহার গতি কি হইবে। শিষ্যের এই বাক্যে আচার্য্য কহিবেন, বৎস, এই যা কিছু দৃষ্ট ও শ্রুত হইতেছে ।