পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫ত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা »२ कछ, ७ efन ইহা অবিদ্যাকৃত । বস্তুত এক আত্মা बाउँौऊ अश्रद्र ८कांन किछूहे नाहे । मृछैिদোষে যেমন এক চন্দ্র বহুরূপে দৃষ্ট হয় সেইরূপ অবিদ্যা দৃষ্টিতে এই একমাত্র আত্মা অনেকবৎ অবভাসিত হইয়া থাকেন। বাস্তব পক্ষে দ্বৈত কেবল অবিদ্যাকৃত । ७क डिन्न बिउँौग्न किछूहे माझे । दिला বা তত্ত্বজ্ঞানের অবস্থাতে এই অদ্বৈত । প্রতিপত্তি হয় । আর অবিদ্যার অবস্থাতে । যখন দ্বৈত—দ্রষ্টা দৃশ্য ও দর্শন এই অবাস্তর ভেদের প্রতীতি হয় তখন দ্রষ্টা চক্ষু দ্বারা দৃশ্য দেখে । ফলত যাহা ভেদ দৃষ্টিতে পাওয়া যায় তাহা পরিচ্ছিন্ন। যাহা পরিচ্ছিন্ন তাহা মরণশীল। যাহা মরণশীল তাহ সৎ—সত্য নহে। অসতের আবার সত্তা কি ? ফলত দ্বৈত একটা কথা মাত্র। বেদে এই ভেদদৃষ্টির বহুতর নিন্দাবাদ আছে । এস্থলে শিষ্য যদি কহে, ভগবন, যদি দ্বৈত মিথ্যা হইল তবে বেদের কৰ্ম্মকাণ্ড অপ্রমাণ, কারণ তাহাতে সাধ্য সাধনাদির ভেদ নির্দিষ্ট হইয়াছে। আর জ্ঞানকাণ্ডও ! অপ্রমাণ, কারণ তাছাতে উৎপত্তি ও প্রল- দ্বারা জীবের অজ্ঞান নিবৃত্তি করিবার জন্যই য়ের কথা আছে । দ্বৈত মিথ্যা হইলে সেই উৎপত্তি ও প্রলয়ের বিষয়—আশ্রয় আর কি থাকে। সুতরাং আপনার বাক্যে আর প্রামাণ্য থাকিল না । এই আপত্তি খণ্ডন করিবার নিমিত্ত গুরু কহিবেন, বৎস, শুন, অবিদ্যার অবস্থায় বেদের সার্থকতা আছে । জীবের স্বভাব অনাদি অবিদ্যায় আবৃত। সে শরীর ইন্দ্রিয় , মন ও বুদ্ধিতে আত্মভাব আরোপ করিয়া অাছে এবং আপনাকে এতৎসংক্রান্ত সমস্ত ইষ্টানিষ্টভাগী বুঝিয়া আছে। তাহার পুরুষাৰ্থ অনাত্ম-বিষয়-সংস্থষ্ট । _ _ সেই পুরুষাৰ্থ লাভের জন্য সে যত্নবান, তাহার উপায়াম্বেষণে সে বিব্রত । আত্মতত্ত্ব যে সাক্ষাৎ পুরুষাৰ্থ ইহা বুঝিবার শক্তি আদৌ তাহার নাই। এরূপ স্থলে শাস্ত্র তাহার কি সাহায্য করে বলি শুন । যাগযজ্ঞ যে স্বর্গাদি সুখসাধন যাহা প্রমাণান্তর দ্বারা অজ্ঞাত ছিল শাস্ত্র উহাকে তন্মাত্র বুঝাইয়া দেয় এবং বিধি নিষেধ পালনে তৎপর করিয়া তুলে । পরে বিধির অনুষ্ঠান ও নিষিদ্ধ পরিহার দ্বারা ক্রমশ যখন আত্মশুদ্ধি হইয়া উঠে, যখন পাপ আর আশ্রয় না পায়, এই অশুচি দুঃখরূপ সং সার ভোগ কেবল কাম্য কৰ্ম্ম দ্বারাই হইয়। থাকে এই বুঝিয়া যখন কাম্য কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করে, অত্যাবশ্যক ব্ৰহ্মারাধনাতে যখন বলবতী নিষ্ঠা হয়, এবং অন্তঃকরণ অতিমাত্র পরিশুদ্ধ ও নিৰ্ম্মল হইয়া উঠে, সেই সময় তাহার সূক্ষ্য বস্তুতত্ত্ব বুঝিবার শক্তি জন্মে। তখন পরম পুরষার্থসাধন আত্মতত্ত্ব যাহা এত দিন তাহার অজ্ঞাত ছিল শাস্ত্র উক্তরূপ প্রণালী দ্বার। তাহাই বুঝাইয়া দেয় । ফলত জ্ঞানের উদ্বোধন শাস্ত্র। কিন্তু এরূপ বুঝিও না যে শাস্ত্ৰ সাধ্য সাধনাদির একটা ভেদ বিধান করিয়া দিতেছে। এই সংসার অনিষ্টরূপ। অজ্ঞা বেদের কৰ্ম্মকাণ্ড ও জ্ঞান কাণ্ড উভয়েরই তার্থের অববোধন দ্বারা এই সংসার-নিৰ্ব ত্তিতেই তাহার তাৎপৰ্য্য, কদাচ ভেদের বাস্তবতা বোধনে নহে । সুতরাং তুমি কৰ্ম্মকাণ্ড অপ্রমাণ বলিও না। আর তুমি দ্বৈত মিথ্যা হইলে উৎপত্তিও প্রলয় নির্বিষয় হইয় পড়ে এই যে একটি আপত্তি তুলিয়াছ তদ্বিষয়েও বক্তব্য আছে শুন। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি সাধ্য সাধনাদি ভেদ-দৃষ্টি অবিদ্যাকৃত । অবিদ্যাই হইল সংসারের মূল । । উৎপত্তি ও প্রলয়ের একত্বে—অদ্বৈতে যুক্তি