পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

باز و د ، « ch۱۹ চিন্তু কণিকা ᎼᏩᏄ প্রদর্শন দ্বারা সেই অবিদ্যাকে নাশ করি- অজরাগরণ বুদ্ধি হয় না। অতএব বৎস বার জন্য বেদে স্বস্ট্যাদি বাক্যের অবতারণা করা হইয়াছে। অর্থাৎ যখন এক আত্মা ভিন্ন দ্বিতীয় কিছুই নাই তখন আর উৎপত্তি ও প্রলয়ের অধিকার কোথায় ? যা কিছু দেখিতেছ সমস্তই অবিদ্যা-বিজম্ভিত । অবিদ্যার নাশে ইহারও নাশ । এক আত্মা ভিন্ন দ্বিতীয় কিছুই নাই এই | | | অদ্বৈত জ্ঞানে উৎপত্তি ও প্রলয়ের নাম । গন্ধও আসিতে পারে না। দ্বৈত প্রতিপত্তি অবিদ্যানিষ্ঠ । সংসারমূল সেই অবিদ্যা নিরাসের জন্য স্বষ্টি প্রলয়ের উল্লেখ করা হইয়াছে। স্বষ্টি প্রলয়ের অবতারণা করিয়া বলা হইয়াছে এই যা কিছু দেখিতেছ ইহা অবিদ্যার ঘোর, বাস্তব । এইরূপ জ্ঞানকাণ্ডকেও ৷ শ্ৰুতি স্মৃতি । ও ন্যায় দ্বারা এই অবিদ্যা উন্মলিত । শালী শক্তিতে বিশ্বাস না করে । বিশ্বাস ঈশ্বরজ্ঞানের অঙ্কুর, সেই জন্য কিছুই নয়। সুতরাং বৎস সিদ্ধান্ত সত্তে তুমি অপ্রমাণ বলিতে পার না । হইলে অদ্বিতীয় পরমাত্মাতে একমাত্র প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠিত হয় । যে ব্যক্তি এইরূপ প্রতিষ্ঠিতপ্রজ্ঞ ও পরমার্থদশী তাহার পক্ষে সাধ্য সাধন ও উৎপত্তি প্রলয় প্রভৃতি । বিশেষ বুদ্ধি তার জন্মাইতে পারে না । এ | স্থলে কৰ্ম্মকাণ্ড যে এরূপ লোকের পক্ষ অপ্রমাণ ইঙ্গিতে ইহাও বুঝিবে । যিনি পরমার্থ দর্শন লাভের ইচ্ছুক তিনি বর্ণাশ্রমাদি অভিমানকৃত পুত্র বিত্ত ও স্বর্গাদি লোকৈষণাতে নিস্পৃহ হইবেন। অভেদবুদ্ধিই সম্যক জ্ঞান । যিনি তল্লাভের অাকাঙ্ক্ষা করেন তিনি তদ্বিরুদ্ধ অভিমানের আস্পদ যা কিছু তৎ সমস্তই পরিত্যাগ করিবেন। আত্মা অসংসারী এই বুদ্ধি শাস্ত্র ও যুক্তি দ্বারা উৎপন্ন হইলে তদ্বিপরীত বুদ্ধি কদাচ জন্মিতে পারে না। অগ্নিতে শীতৃত্ব বুদ্ধি হয় না। শরীরে যাগ যজ্ঞাদি ও তৎসাধন যজ্ঞোপবীতাদি অবিদ্যারই কাৰ্য্য ! যিনি পরমার্থদশী হইবেন এই সমস্ত র্তাহার পরিত্যাগ করাই কর্তব্য । চিন্ত কণিকা । (>) কোন মানুষই যে নাস্তিক নহে তাহার প্রমাণ এই যে সকলেই জগতে আপন । অপেক্ষ একটা অধিকতর ও মহত্তর অদৃশ্য ক্ষমতাশালী শক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাস করিয়া থাকে। হিন্দু অহিন্দুকে নাস্তিক বলিয়া থাকে, খ্ৰীষ্টীয়ান অখ্ৰীষ্টীয়ানকে 'নাস্তিক বলিয়। থাকে, মুসলমান অমুসলমানকে নাস্তিক বলে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে নাস্তিক সেই ব্যক্তি যে এক অদৃশ্য মহত্তর ক্ষমতা এই ঈশ্বরের সুন্দর নিয়মানুসারে মানুষের হৃদয় হইতে ঐ বিশ্বাস টুকু বিচ্ছেদ্য নহে। (R) ঈশ্বরকে আমরা অবলম্বন করিয়া আবস্থিতি করিতেছি ইহা বুঝিবার জন্য ইহাই বুঝ। অবশ্যক যে ঈশ্বর সকল বস্তুর স্রষ্ট। ও নিয়ন্ত । আমাদিগের অস্তিত্বের জন্য যাহা কিছু প্রয়োজন, সকলই ঈশ্বরকৃত, সুতরাং তাহার অবলম্বন ভিন্ন আমাদের স্থিতির সম্ভাবনা কোথায় ? (9) বিবেক বৃত্তি সংসারের ধূলিতে বড় শীঘ্র অপরিস্কার হইয়া যায়। প্রতিক্ষণে উছাতে ধূলি পড়িবার সম্ভাবনা । সৰ্ব্বদা যদি আমরা উহা পরিষ্কার রাখিবার জন্য যত্নবান না থাকি তাহা হইলে উহা ধূলি ।