পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

أن أمير ب 1 لا حالإ דו") سحـصـ- سكسسصطس - صحسسسسس i নিজের দোষ ক্ষমা করা কুত্ৰাপি কৰ্ত্তব্য নহে । (>6) যদি তোমার রাজত্ব করিবার ইচ্ছা থাকে, তাহা হইলে তোমার রিপুগণের উপর রাজত্ব কর, সৰ্ব্বতোভাবে তাঁহাদিগকে শাসন কর । রায় রামানন্দের সহিত শ্রীচৈত ন্যের সাধ্য সাধন বিষয়ে কথোপকথন । ভক্তচূড়ামণি চৈতন্যের জীবন ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বৃন্দাবন দাস বিরচিত চৈতন্য ভাগবত, লোচনদাস প্রণীত চৈতন্য মঙ্গলও ক্লষ্ণদাস কবিরাজ প্ৰণাত চৈতন্য চরিতা- নানা স্থান পরিভ্রমণ করি। -warn. মৃত অতি সুন্দর গ্রন্থ। রূপ রস লীলা এই তিন গ্রন্থের প্রধান বর্ণিত বিষয় । চৈতন্য ভাগবতে চৈতন্য লীলা, চৈতন্য মঙ্গলে রূপ এমন সময়ে দেখিলেন, বাদ্যধ্বনি ও লোক রামানন্দের কথোপকথন $4న no on বৈষয়িক বাহ্যাড়ম্বর দেখিয়া তাহাকে অবজ্ঞা করিও না । “তবে সাৰ্ব্বভৌম কহে প্রভুর চরণে । অবশু পালিবে প্ৰভু মোর নিবেদনে ॥ রামানন্দ রায় আছে গোদাবরী তীরে । অধিকারী হয়েন তিহেঁ বিদ্যা নগরে ৷ শূদ্র বিী জ্ঞানে অপেক্ষা করিবে। আমার বচনে ত’র অবশ্য মিলিবে । তোমাব সঙ্গের যোগ্য তিছে। একজন। পুথিবীতে রসিক ভক্ত নাহি তার সম ॥ পাণ্ডিতা আর ভক্তিরল দুহের তিহেঁ সীমা । সস্তাষিলে জানিবে তুমি তাহার মহিমা ॥” রামানন্দ তৎপ্রদেশের একজন ধনাঢ্য, পণ্ডিত এবং প্রধান ভক্ত বলিয়া পরিচিত । র্তাহার জীবনে গভীর জ্ঞান ও ভগবদ্ভক্তি একাধারে মিলিত হইয়াছিল। . ভট্টা চার্ষ্যের মুখে রামানন্দের বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া চৈতন্য আনন্দিত হইলেন ; এবং তটে উপস্থিত হইলেন । নদীতে স্নান করিয়া নির্জনে নাম সংকীৰ্ত্তন করিতেছেন, এবং চৈতন্য চরিতামৃত রস অর্থাৎ প্রেম- ; ভক্তির গৃঢ়তত্ত্ব ও চৈতন্যের ধৰ্ম্মজীবনের জ্ঞাতব্য বিষয় বাহুল্যরূপে লিখিত হইয়াছে। আমরা “চৈতন্য চরিতামৃত” অব লম্বন করিয়া রামানন্দের সহিত চৈতন্যের । সাধ্যসাধন বিষষে কথোপকথন বিবৃত করিতেছি । শিষ্যগণ পরিবৃত হইয়া চৈতন্য নীলাচলে বাস করিতেছিলেন, একদিন বলিলেন আমি বিশ্বরূপের উদ্দেশে এবং তীর্থ ভ্রমণে দাক্ষিণাত্যে গমন করিব । অতঃপর তিনি শিষ্যদিগকে প্রবোধিত করিয়া দক্ষিণদেশ গমন করিতে উদ্যত হইলে সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন, গোদাবরী নদী তীরে মহাজ্ঞানী ও ভক্ত রামানন্দ আছেন, তিনি শূদ্র ও বিষয়ী লোক, তাহার সমারোহ সহকারে দোলারোহণে রামানন্দ আসিতেছেন। রামানন্দ যুবা সন্ন্যাসীর প্রদীপ্ত মুখশ্ৰী দর্শন করিয়া ভক্তিপ্ন তন্ত্ৰদয়ে সন্ন্যাসী নিমাইকে প্রণাম করিলেন । দর্শনমাত্রে উভয়ে উভয়কে চিনিতে পারি লেন । তথাপি চৈতন্য বলিলেন,— “তথাপি পুছিল তুমি রায় রামানন্দ। তিহেঁ কহে হঙ মুঞি দাস শূদ্র মন্দ ” রামানন্দের বিনয় মধুর বচন শ্রবণ করিয়া চৈতন্য প্রেমভরে রামানন্দকে অালিঙ্গন করিলেন। র্তাহাদের অশ্রু পুলক কম্প ও ভক্তি গদগদ ভাব দর্শন করিয়া নদীতীরস্থ ব্রাহ্মণের কিছুই বুঝিতে পারিলেন না । তাছারা পরস্পর বলাবলি করিতে লাগিলেন, অগ্নির ন্যায় এই সন্ন্যাসীর তেজ, শূদ্রকে আলিঙ্গন করিয়া এ |