পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ' , r ১৩৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

===ـح ----- - - ०६ कन्न, ७ छ?" কেন ক্রন্দন করিতেছে ? এবং মহারাজ মহাপণ্ডিত ও গম্ভীর প্রকৃতির লোক, ইনিই বা সন্ন্যাসীর স্পর্শে অস্থির হইয়। পড়িলেন কেন ? ব্রাহ্মণের। ইহঁাদের আন্তরিক ভক্তিভাব হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া আপনাদের সংস্কার অনুরূপ চিন্তা করিতে লাগিলেন । রামানন্দ ও চৈতন্য পরস্পরের প্রশংসা করিয়া বিদায় হইলেন। সন্ধ্যার সময় শ্রীচৈতন্য এক বৈষ্ণব ব্রাহ্মণের আশ্রমে উপবিষ্ট আছেন, এমন সময় বিনীত দান বেশে রামানন্দ আসিয়া মিলিত হই লেন । এই সময় রামানন্দের সহিত চৈত- ' বল । ন্যের ভূক্তিযোগ সম্বন্ধে অতি উচ্চ উচ্চ কথা হয় । চৈতন্য বলিলেন, হে রামানন্দ ! ভক্তি প্রেম এবং সাধন বিষয়ে কিছু বল, আমি শ্রবণ করি ।

  • প্রভু কহে পড় শ্লোক সাধ্যের নির্ণয় । রায় কহে স্বধৰ্ম্মাচরণ বিষ্ণু ভক্তি হয় ।”

রামানন্দ কহিলেন, বিষ্ণুভক্তিই শ্রেষ্ঠ । । বিষ্ণুপুরাণে কথিত হইয়াছে বর্ণাশ্রমাচারবিশিষ্ট ব্যক্তিই পরম পুরুষ বিষ্ণুর আরা ধনা করিতে পারেন, বিষ্ণুপ্রীতির অন্য । পথ নাই । চৈতন্য বলিলেন, ইহা বাহিরের কথা, আরও আগে বল । “প্ৰভূ কহে এই বাহ্য অাগে কহ আর । রায় কহে কৃষ্ণ কন্মাপণ সৰ্ব্ব সাধ্যসার ॥’ রামানন্দ বলিলেন, ঈশ্বরে সমুদায় সম- । পণ করাই শ্রেষ্ঠ । ভগবদগীতাতে শ্ৰীকৃষ্ণ বলিতেছেন, “যৎ করোষি যদপ্লাসি যজুহোসি দদাসি যৎ । যত্তপস্যসি কৌন্তেয় তৎকুরুম্ব মদৰ্পণং ॥” “হে অৰ্জুন ! তুমি যা কিছু অনুষ্ঠানকর এবং যা কিছু আহার, হোম, দান এবং তপস্যা করিয়া থাক, তৎসমুদায় ঈশ্বরেতে আপণ কর।” -ജ്ജ-ബ চৈতন্য বলিলেন, ইহাও বাহিরের কথা, আরও শ্রেষ্ঠ সাধন বল । রামানন্দ । শাস্ত্রবিহিত সমুদায় ধৰ্ম্মামুষ্ঠান পরিত্যাগ করিয়া কেবল ভক্তি সাধন করাই সার । শ্ৰীকৃষ্ণ গীতাতে বলি য়াছেন, “সৰ্ব্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ । অছংত্বাং সৰ্ব্ব পাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচ ॥** অর্থাৎ শাস্ত্রবিধি বিহিত ধৰ্ম্মাচরণ পরিত্যাগ করিয়া আমার শরণাপন্ন হও, আমি তোমাকে সমুদায় পাপ হইতে মুক্ত করিব । চৈতন্য । ইহাও বাহ্য, আরও আগে রামানন্দ । জ্ঞানমিশ্র ভক্তিই শ্রেষ্ঠ । গীতাতে কথিত হইয়াছে, “ব্রহ্মভুত: প্রসন্নাত্মা ন শোচতি ন কাজক্ষতি । সম: সৰ্ব্বেষু ভূতেষু মদ্ভক্তিং লভতে পরাং ।” সৰ্ব্বভূতে যাহার সমজ্ঞান এবং যে পূহাশূন্য ও অনুশোচনাশুন্য সেই প্রসন্নাত্মা ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্যক্তিই ঈশ্বরেতে পরাভক্তি লাভ করেন । চৈতন্য । ইহাও বাহ্য, ইহা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ সাধন বল । রামানন্দ । তবে জ্ঞানশূন্য ভক্তিই উত্তম । ভাগবতে আছে, “জ্ঞানচর্চা না করিয়া ষাহারা কেবল তোমার গুণ কীৰ্ত্তনে রত থাকে তাহারা ত্ৰিলোক বিজয়ী হয়।” স্বধৰ্ম্মাচরণ, স্বধৰ্ম্মত্যাগ, জ্ঞানমিশ্র ভক্তি ইত্যাদি সমুদায় সাধন বাহিরের কথা, চৈতন্যের ভক্তিময় প্রাণ তাহাতে শান্ত হইল না। শুষ্ক জ্ঞা নালোচনা পরিত্যাগ করিয়া কেবল হরি গুণ কীৰ্ত্তনের কথা শুনিবা মাত্র বলিলেন, “প্ৰভু কহে, এই হয় আগে কহ আর ।” # ইহাও হয়, কিন্তু আরও উচ্চ সাধনবল ৫ , - القصصي يص------ aصصيد - • চৈতন্য নিজে মহাজ্ঞানী ছিলেন, लानब्रच