পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ג גשג. הוויל “মহাভাব চিন্তামণি রাধার স্বরূপ । ললিতাদি সখী তার কায়ব্যুহ রূপ। রাধা প্রতি কৃষ্ণ স্নেহ সুগন্ধি উদ্বর্তন। তাহে সুগন্ধ দেহ উজ্জল বরণ ॥ লাবণ্যামৃত রাধার তদুপরি স্নান । . নিজ লজ্জা শ্যাম পট্টসাটি পরিধান ॥ সৌন্দর্য্য কুঙকম সখী প্রণয় চন্দন । ম্মিতকান্তি কৰ্পর অঙ্গে বিলেপন। রূষ্ণের উজ্জল রস মৃগমদ ভর। সেই মুগমদে বিচিত্র কলেবর ॥ ধীরাধাপাত্মক গুণ অঙ্গে পট্রবাস ॥ রাগ তাম্বুল রাগে অধর উজ্জল । প্রেম কৌটিল্য নে✉ যুগলে কজল ॥ সুদীপ্ত সাত্বিক ভাব হর্যাদি সঞ্চারী। এই সব ভাব ভূষণ সব অঙ্গে ভরি ॥ গুণ শ্রেণি পুষ্পমালা সৰ্ব্বাঙ্গে পূরিত ॥ সৌভাগ্য তিলক চারু ললাটে উজ্জ্বল । প্রেম বৈচিত্র রভু হৃদয় তরল ॥ কৃষ্ণ লীলা মনোবুক্তি সখী অাশ পাশ ॥ নিজাঙ্গ সোর ভালয়ে গৰ্ব্ব পর্যাঙ্ক । তাতে বসি আছে সদা চিন্তে কৃষ্ণসঙ্গ ॥ কৃষ্ণকে করায় সোমরস মধুপান । নিরস্তর পূর্ণ করে কৃষ্ণের সর্বকাম ॥ কৃষ্ণের বিশুদ্ধ প্রেম রত্বের অাকর । অনুপম গুণগণ পূর্ণ কলেবর ॥ চৈতন্যচরিতামৃত মধ্যখণ্ড । রাধা কৃষ্ণের স্বরূপ ও প্রেমরসাদির ব্যাখ্য' শ্রবণ করিয়া চৈতন্য বলিলেন, রাধাকৃষ্ণের প্রেমতত্ত্ব অবগত হইলাম, এখন ইহঁাদের বিলাস মহত্ত্ব বর্ণনা কর । রামানন্দের বা ক্যাবসানে চৈতন্য আবার জিজ্ঞাসা করিলেন ।

  • প্রভু কহে এই হয়, আগে কহ আর । রায় কহে এই বই বুদ্ধি নাই আর ॥

cযব। প্রেম বিলাস বিবৰ্ত্ত এক হয় । তাহা গুনি তোমার মুখ হয় কি না হয় ॥” রায় বলিলেন, আরত আমার বুদ্ধি রামানন্দের কথোপকথন | ১৩৩ নাই, আর যে এক প্রেমবিলাসবিবর্ত আছে তাহা শ্রবণ করিয়া তোমার সুখ হয় কিনা বলিতে পারি না। এই বলিয়া রামানন্দ প্রেমভক্তিরসপূর্ণ স্বরচিত এক গান করিতে লাগিলেন, গানের ভাব সহ্য করিতে না পারিয়া চৈতন্য স্বহস্তে রামান ন্দের মুখ আচ্ছাদন করিলেন । চৈতন্য বলিলেন, সাধ্য বস্তু সমুদায়ত জানিলাম, সাধন বিনা ইহা লাভ হয় না, লাভ করি বার উপায় বলিয়া দাও । লেন, সখীভাবই সাধনার সার । রামানন্দ বলিসখীভাব ভিন্ন তার কোন উপায়েই ইহ লাভ হয় না । সখীভাব চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থে বিস্তারিতরূপে বর্ণিত হইয়াছে । তাহার স্থল তাৎপর্য্য এই যে, সখীগণের প্রেম | নিঃস্বার্থ, সখীগণ রাধিকাকে কৃষ্ণসঙ্গ করাইয়া{সন্তুষ্ট হয়। অর্থাৎ মনোবৃত্তিরূপ। সখীগণ প্রেমাধীর হৃদয়কে পবিত্রস্বরূপ ঈশ্বরের সহবাস করিতে দিয়া আপনার পরস্পর বিশুদ্ধ প্রেমে পরিপুষ্ট হয় । ঈশ্বরপ্রেম কল্পলত সদৃশ, দয়া শ্রদ্ধা অনুরাগাদি মনোবৃত্তি সকল পল্লব পুষ্পলভী স্বরূপ। লতার মূলে জলসিঞ্চন করিলে যেমন পুষ্পপত্র প্রফুল্লিত হয়, সেই প্রকার প্রাণ যখন বিশুদ্ধ প্রেমযোগে প্রেমস্বরূপ পরমেশ্বরে মিলিত হয়, তখন বুদ্ধি জ্ঞান শ্রদ্ধা ভক্তি প্রভূতি মানসিক বৃত্তি সকল অধ্যাত্মভাবে পরিপূর্ণ হইয়া উঠে। এই প্রকারে নিস্পৃহ স্বার্থশূন্য হইয়া স্বাভাবিক অনুরাগ ভরে ভাবরসে মগ্ন হইয়া যে পবিত্র স্বরূপ ঈশ্বরের শরণাপন্ন হয়, তাহার মনো বৃত্তি সকল ধৰ্ম্মের অনুকূল হয়, সমুদায় ইন্দ্রিয় মধুময় ও পবিত্র হইয়া যায়। পবিত্র স্বরূপ ভগবানের সংস্পর্শে মনোবৃত্তি সকল পবিত্র হইয়া বিশুদ্ধ প্রেমে পরমাত্মাতে রমণ করে । ইহাই সর্থী