পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ====moo " - বিধান ও সুখ সম্পাদন জন্য কত আয়োজন করিয়াছেন, সন্তান শাবক প্রভৃতির রক্ষার জন্য জনক জননীর মনে অদ্ভুত স্নেহের সঞ্চার করিয়াছেন । তিনি সৰ্ব্বকালে সকলের প্রয়োজনীয় অর্থ সকল প্রদান করিতেছেন। তিনি জীবদিগকে আকস্মিক উৎপাত দ্বারা । কখন কখন বিনাশ করেন বটে কিন্তু সেই বিনাশ হইতে ও আপন গুঢ় মঙ্গল উদ্দেশ্য কি প্রকারে সংসাধন করেন তাহা অামাদিগের বুদ্ধির অগোচর। এই পৃথিবীতে তাহার জীব স্বজন পালন প্রণালী দেখিলে রূপে কল্যাণ বিধান করিতেছেন । র্তাহার মহিমা দুরবগাহ্য, অগম্য, অপার । র্তাহার জ্ঞান প্রেম শক্তি মঙ্গল ভাবের শেষ নাই । এই জন্য উক্ত হইয়াছে যে যদিও কোন কালে পৃথিবীর ধূলি শিশিরকণা বা সূৰ্য্য চন্দ্র তারকাদির কিরণাবলীর গণনা বা পরিমাণ করা ও সম্ভব হয়, তথাপি ঈশ্বরের অনন্ত গুণের পরিমাণ বা ধারণ করা কদাপি সম্ভব নহে । זיוס e . סף א כ ঈশ্বর যে কত অযাচিত সুখ আমাদিগকে প্রদান করেন, পুষ্প সকল তাহার সাক্ষী । মনুষ্যের শারীর জীবনের জন্য পুষ্পের প্রয়োজন হয় না, কিন্তু তাহার আধ্যাত্মিক জীবনে পুষ্পের উপযোগিতা আছে যে হেতু সে পুষ্পের সৌন্দর্য্য পান করিতে করিতে যিনি শিব সুন্দর, পুষ্পের কান্তি, ' তাহার দিকে তাছার চিত্ত ধাবিত হয় । শুধু পুষ্পেতে কেন—পৰ্ব্বতের গাম্ভীর্যা, নদীর লহরীলীলা (উমার কমনীয়তা) সন্ধ্যার সুস্নিগ্ধ মাধুর্য্য, জগতের প্রত্যেক শোভাঅবশ্যই বোধ হয় যে তিনি অন্যান্য । লোকে তত্তংবাসী জীবগণের অনিৰ্দ্দেশ্য- । যাহার এই মহিমা ভূলোকে ও ছ- , লোকে, প্রথমতঃ তাহার মহিমাময় বিরাট রূপ একবার ভাবনা করি । তিনি কোথায় ? তিনি আপনার মহিমাতেই স্থিতি করিতেছেন । এই স্বষ্টিই তাহার বিরাট রূপ । এই স্বষ্টিতে তিনি ওতপ্রোত রূপে বর্তমান । চন্দ্র তারকার জ্যোতিতে র্তাহার মঙ্গল জ্যোতি । তিনি “চন্দ্র তারকে থাকিয়৷ চন্দ্র তারককে নিয়মে রাখিতেছেন, চন্দ্র তারক তাহাকে জানে না, চন্দ্র তারক যাচার শরীর।” নবরাগে কুস্থমিত কাননে তাহার প্রীতি । পুষ্প সকল বাযুকে স্থবাসিত করিয়া কেবল আমাদিগের স্রাণের তৃপ্তিসাধন করে এমত নহে। তেই আমরা তাহার প্রেমরূপ দেখিতে পাই । শিশুর হাস্যে নরনারীর কণ্ঠ সঙ্গীতে, পক্ষাদিগের কাকলীতে সেই প্রেমের পরিচয় পাই । তিনি মৃন্দর প্রেমময়, তাই কত নরনারী পশু পক্ষী । সুন্দর রূপ ধারণ করিয়াছে। যে ভাবুক র্তাহার সুষমা পরিপূরিত এই স্বষ্টিকে প্রাণ ভরিয়া দেখে, সে যথা তথা তার প্রেম সুন্দর রূপ দেখিয়া কৃতাৰ্থ হয় । তিনি আপনার এই স্বষ্টিতে কেমন সম্মোহনরূপে প্রকাশ পাইতেছেন। ক্রমশঃ । পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের জীবন চরিত্র। কিন্তু এমনি ঈশ্বরের দৈব ঘটনা যে তৎকালে একটা ভয়ানক ঝড় উঠিয়। সেই বিবাহের বাগানের ঝাড় লণ্ঠন ইত্যাদি ও খাদ্য সামগ্রী প্রভূতি যাহা প্রস্তুত হইতেছিল সে সমস্ত নষ্ট হইয়া গেল এবং গাছের ডাল পালা ভাঙ্গিতে লাগিল ও বরকর্তা এবং কন্যাকর্তা অত্যন্ত ব্যস্তসমস্ত হইল। শিবনারায়ণ । সেখান হইতে এক ক্রোশ তফাতে এক