পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s१० মুক্তি । “তমেব বিদিত্বাতিমৃত্যুমেতি नॉन73 পস্থা বিদ্যতে হয়নায় ।” একমাত্র তাহাকে জানিয়াই মানব মৃত্যুকে অতিক্রম করেন, তদ্ভিন্ন মুক্তির অার পথ নাই। সত্যং জ্ঞানমনন্তং ত্রশ্নের জয়ঘোষণাতেই সকল বেদ সকল শাস্ত্র পরিপূর্ণ। বৈদিক ঋষিগণ সূর্য চন্দ্র ইন্দ্র বরুণ প্রভৃতি দেবতার উদেশে যাগযজ্ঞ করিতেন, কিন্তু সকল পদার্থে তাহারা ব্রহ্মকেই দেখিতেন । উপনিষৎকালে ব্রহ্মজ্ঞানী ঋষিরা বিশুদ্ধজ্ঞানযোগে অবগত হইলেন একমাত্র অদ্বিতীয়

  • २ कन्न, ०.छात्र

দ্বারা তিনি কিরূপে উপলব্ধ হইবেন। পরমেশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস, র্তাহাতে আত্মনির্ভরের ভাব মানবাত্মার স্বাভাবিক । “অস্তীত্যেবোপলব্ধস্য তত্ত্বভাবঃ প্ৰসীদতি ।” যাচারা পরমেশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন, তাছাদের তত্ত্বজ্ঞান আপনা হইতেই প্রস্ফটিত হয়। ক্ষুদ্র মানব অনন্ত অপার বাকামনের অতীত পরমেশ্বরকে কি প্রকারে বৃদ্ধির আয়ত্ত করিবে ? মানুষ নিজের শক্তিতে সাধন বলে তাহাকে প্রকাশ করিতে পারে পরমাত্মাই সৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্ম।। “স যশ্চায়ং : পুরুষে যশ্চাসাবাদিত্যে স একঃ ” সেই যিনি এই পুরুষে, সেই যিনি এই আদিত্যে তিনি এক । “ভয়াদ স্যাগ্নিস্তপতি ভয়াত্ত পতি সুৰ্য্যঃ” ইহঁার ভয়ে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত । হইতেছে, ইহার ভয়ে সুর্য্য উত্তাপ দিতেছে । এই একমাত্র আনন্দস্বরূপ পরব্রহ্ম হইতেই সমুদায় উৎপন্ন হইয়াছে। “আনন্দাদ্ধ্যেব খদ্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে । আনন্দেন জাতানি জীবন্তি । আননাং প্রয়স্তাভিসংবিশন্তি ।” আনন্দ স্বরূপ পরব্রহ্ম হইতে এই ভূত সকল উৎপন্ন চয়, উৎপন্ন হইয়া আনন্দ- । স্বরূপ ব্রহ্ম পর্তৃক জীবিত রহে, এবং প্রলয়কালে আনন্দস্বরূপ ব্রহ্মের প্রতি গমন করে ও তাহাতে প্রবেশ করে । এই ব্রহ্ম বিষয়ক নানা রূপ তর্ক করেন । কিন্তু “নৈষ। তর্কেণ মতিরাপনেয়া” তর্কেতে এই ব্রহ্মতত্ত্ব লাভ হয় না । ঋষিরা বলিয়াছেন, তিনি এক মাত্র আত্ম প্রতায়ের দ্বারা লভ্য, “একমাত্মপ্রত্যয়সারং ।” “অস্তীতি ক্ৰবতোহন্যত্র কথং তদুপলভ্যতে" | d যে সাধকের বলেন তিনি আছেন ত দ্ভিন্ন অন্যের দ্বারা অর্থাৎ সংশয়বাদীর ন, সূৰ্য্য চন্দ্র গ্রহ তারকামণ্ডলী যাহাকে প্রকাশ করিতে পারে না, ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র মানুষের কি সাধা সেই পূর্ণ পুরুষকে প্রকাশ করিবে । তিনি স্বপ্রকাশ । “যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যস্তসৈাষ আত্মা বৃণুতে তনুং স্বাম’ যে সাধক তাহাকে প্রার্থনা করে সেই র্তাহাকে লাভ করে, তাহার নিকটে পরমেশ্বর আত্ম-স্বরূপ প্রকাশ করেন । আমরা যদি যথার্থ ব্যাকুল ভাবে তাহাকে প্রার্থন করিতাম, তবে অবশ্যই এতদিন তাঁহাকে লাভ করিতে পারি তাম । ভক্ত প্ৰহলাদ বলিয়াছেন “কোনুপ্রয়াসোইমুরবালক হরে কুপাসনে স্বে হৃদিছিদ্র বৎসতঃ” হে অস্থর বালকগণ ! হরি সর্বদা আ কাশের ন্যায় আপনি হৃদয়ে বিদ্যমান, তাহার জ্ঞান অতান্ত তরূহ মনে করিয়া অনেকে ' উপাসনাতে আর প্রয়াস কি ? ভক্তের হৃদয়েই তিনি চির প্রকাশিত। আমরা যখন আপনার প্রতি দৃষ্টি করি, আমাদের পাপ দুৰ্ব্বলতা মলিনভাব আলোচনা করি তখন মনে হয় আমার এমন কি সৌভাগ্য যে নরকের কীট হইয়। শুদ্ধমপাপবিদ্ধ পরম প্রভুকে প্রাণে উপলব্ধি করিতে সক্ষম হইব । তবে যে কখনও কখনও এই মলিন । হৃদয়ে বিদ্যুতের ন্যায় তাহার আবির্ভাব