পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳ8 -- তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • २' कन्न, ७ छात्र

একদিকে শরীর মনের অধিপতি জ্ঞানধৰ্ম্ম সমন্বিত আত্মা, আর একদিকে আত্মার অধিপতি সৰ্ব্ব শক্তিমান পরমাত্মা, মধ্যে যোগাকর্ষণ শক্তি। এই ত্ৰিবিধ যোগাকর্ষণ শক্তি দ্বারা মনুষ্য সুখের জন্য নিয়তই ভ্ৰাম্যমান হইতেছে সত্যবটে কিন্তু সেই যোগাকর্ষণশক্তির সাম্যভাব রক্ষা করিতে না পারিলে পাত করিয়া থাকেন। এই জন্য সেই মহান পুরুষ ঈশ্বরকে স্থখ-স্বরূপ জানিয়া তাহাকেই অনুসন্ধান করেন । বর্তমান কালে যে একদল বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতের অভু্যদয় হইয়াছে, তাহদের মধ্যে এই যোগাকর্ষণ-শক্তির সীমাভাব নাই বলিয়া র্তাহারা আধ্যাত্মিক সুখভোগে বঞ্চিত । ইন্দ্রিয়গণের ও মনোবৃত্তি সকলের সঙ্গে মনুষ্য প্রকৃত স্থখলাভ করিতে কখনই সমর্থ স্বখের উপকরণের সংষোগ যেমন র্তাহারা হয় না। এইজন্য ভ্রান্ত মনুষ্য স্বখের পরি- স্বখে স্বীকার করেন, আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার বর্তে দুঃখকেই আলিঙ্গন করিতে যায়। এই যোগাকর্ষণ শক্তির সাম্যভাব রক্ষা করিতে হইলে বুদ্ধি ও বিবেকের কর্তৃত্ব প্রকাশ করা নিতান্ত প্রয়োজন । বুদ্ধি ও বিবেক দ্বারা এই যোগাকর্ষণ-শক্তি নিয়মিত হইলেই সেই মহান পুরুষ ঈশ্বরের ইচ্ছানুযায়ী সৰ্ব্বপ্রকার সুখ অবাধে সন্তোগ করা যায়। গন্ধ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়গণের সঙ্গে সংযোগ হইয়া যখন শারীরিক সুখ লিধান করে, কাম্য বস্তু সকল মনোবৃত্তিগণের সঙ্গে সংযোগ হইয়া যখন মনস্কামনা সকল সিদ্ধ করে, জ্ঞেয় বিষয়ীভূত পদার্থ সকল জ্ঞানের সঙ্গে সংযোগ হ চয় এবং কর্তব্য কার্যা সকল নায় সত্য দয়। প্রভূতির সঙ্গে সংযোগ হইয়৷ যখন আধ্যাত্মিক মুখ প্রদান করে, তখন বদ্ধি ও বিবেক্ষের কর্তৃত্ব যদি প্রকাশ করা না হয়, তবে উল্লিখিত ত্ৰিবিধ মুখ ভোগের মধ্যে মহা বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হইয়া শরীর মন আত্মাকে কোনও রূপেই প্রকৃতিস্থ ও পবিত্র রাখিতে পারা যায় না। এইজন্য সুক্ষবুদ্ধি ধার ব্যক্তির। এই যোগাকৰ্ষণশক্তির সাম্যাবস্থা প্রাপ্ত হইতে প্রাণপণে চেষ্ট্র। করিয়া থাকেন । এই জন্য র্তাহার। শরীরকে মনের অধীন, মনকে আত্মার অধীন, আত্মাকে পরমাত্মার অধীন রাখিয়া সুখ হইতে উচ্চতর মুখের প্রতি, ঐহিক ক্ষুদ্র সেরাপ সংযোগ স্বীকার না করায় তাচারা এই অসংগত যুক্তি প্রদর্শন করেন, যে মনুষ্য পরমাত্মাকে জানিতে একেবারেই অসমর্থ ; কিন্তু ইন্দিয়গণের সঙ্গে ও মনোবৃত্তি সকলের সঙ্গে তাছাদের স্বখের উপকরণের সহ রূপ রস ; যোগ যেমন স্বাভাবিক, আত্মার সঙ্গে পরমা ত্মার যোগও তেমনি স্বাভাবিক । একদিকে শরীরস্থিত ইন্দ্রিয়গণ এবং মনোরক্তি সকল, আর একদিকে তাছাদের সুখের উপকরণ সকল, মধ্যে যোগাকর্ষণ শক্তি যেমন প্রবল, তেমনি একদিকে আত্মা, আর একদিকে পরমাত্মা মধো মোগাকর্ষণ শক্তি ও তদপেক্ষ অধিকতর প্রবল। ইন্দ্রিয়গণ ও মনোবৃত্তি সকল সম্বন্ধে যোগাকর্ষণ-শক্তি যেমন অপরিহার্ষ্য, আত্মা এবং পরমাত্মা সম্বন্ধে যোগাকর্ষণ-শক্তি তদপেক্ষা অধিকতর অপরিচার্য্য । ইন্দ্রিয়গণ ও মনোবৃত্তি সকল সম্বন্ধে যোগাকর্ষণ-শক্তি যেমন বুদ্ধিবলে উত্তরোত্তর বৰ্দ্ধিত হইলে নূতন নূতন শারীরিক ও মানসিক সুখের উৎপত্তি হয়, আত্মা এবং পরমাত্মা সম্বন্ধে যোগাকর্ষণ-শক্তি সাধন প্রভাবে যতই বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে, ততই শাশ্বত স্বগীয় আধাত্মিক সুখভোগে আত্মা উন্নত হয়। উল্লিখিত বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতেরা যে বিজ্ঞান কৌশল প্রদর্শন করিয়া আত্মার । মুখ হইতে শাশ্বত স্বগীয় মুখের প্রতি দৃষ্টি- { সঙ্গে পরমাত্মার স্বাভাবিক যোগাকর্ষণ-শক্তি