পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כצף צ १२ कछ, e ऊांच चाब्रा जग्गाशउहे उtश श्एउ श्वथ वाइब्र१ করিবার জন্য বাতিবাস্ত রহিয়াছে, তত্ৰাচ তাহা কোনও কালেই নিঃশেষিত হইবার নহে । মনুষ্যের স্বখের আশা যেমন বলবতী, এমন আর কিছুই নছে । মনুষ্য সুখ লাভের প্রত্যাশায় অসাধ্য সাধনে প্রবৃত্ত হইয়া যেরূপ কষ্ট ক্লেশ সহ্য করে, এমন আর কিছুতেই করে না । সেই অসীম স্থখভাণ্ডারে মনুষ্যের জন্য কি প্রকার স্থখ সংস্থিত রহিয়াছে, তাহা যদি একবার বিজ্ঞানচক্ষে পর্য্যালোচনা করা যায়, তবে দেখিতে পাই, যে পার্থিব সুখে সে ভাণ্ডারের এক কোণ মাত্র পরিপূর্ণ। সে ভাণ্ডারের এক কোণে অর্থ ও কাম্য বস্তু সঞ্চিত রহয়াছে বটে, কিন্তু তাহা ধৰ্ম্ম ও মোক্ষজনিত সুখ | তত্ত্ববোধিনী পত্রিক দ্বারা সেই মুখ-স্বরূপ ঈশ্বর মনুষ্যের জন্য । পরিপূর্ণ করিয়া রাখিয়াছেন। দুঃখের বিষয় এই, যে অসীম স্থখ ভাণ্ডারের এক কোণে যে অর্থ-কায-জনিত ক্ষুদ্র অনিত্য সুখ সঞ্চিত রহিয়াছে, তাহারই প্রতি অধিক । ংশ মনুষ্যের অত্যন্ত আসক্তি। ধৰ্ম্ম ও মোক্ষজনিত অমুল্য শাশ্বত সুখ দ্বারা যে সুখ-ভাণ্ডার পরিপূর্ণ, যে মুখভাগুর আত্ম-প্রসাদ প্রদান করিবার জন্য সৰ্ব্বক্ষণ প্রস্তুত রহিয়াছে, যে মুখ-ভাণ্ডার অক্ষয় ব্ৰহ্মানন্দের আলয়, যাহা আত্মার উপজীবিকা হইয়া অনস্ত কাল তাছাকে পোষণ করিবে, তাছার প্রতি তাছাদের তদৃশ অনুরাগ নাই । আমাদের সুমহান আর্য্যশাস্ত্রে ধৰ্ম্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ এই চতুৰ্ব্বগের ফলের বিষয় যাহা দেখিতে পাওয়া যায়—তাছাই শারীরিক মানসিক এবং আধ্যাত্মিক সুখ । এই চতুৰ্ব্বগের ফল প্রাপ্ত হওয়া অথবা শা বীরিক মানসিক এবং আধ্যাত্মিক স্বখ উপ- { ভোগ করা একই বস্তু। যিনি সামঞ্জস্যরূপে এই ত্ৰিবিধ মুখ উপভোগ করিতে পারেন, স্থখ-দুঃখের র্তাহার ন্যায় ভাগ্যবান ব্যক্তি আর দ্বিতীয় নাই। এইরূপ সুখই মনুষ্যের নিতান্ত প্রার্থনীয়। এইরূপ সুখই মুখ স্বরূপ ঈশ্ব- । রের অসীম সুখভাণ্ডার হইতে হস্তগত হইয়৷ থাকে। যদি সৌভাগ্য ক্রমে ঈশ্বরের আশীবর্বাদে সেই সুখ উপভোগ করিতে পাই,তবে তাহাই করব, যদি দুর্ভাগ্য বশতঃ তাহ। উপভোগ করিতে না পাই, তবে সুখ দাতা ঈশ্বরের নিকট তাহা নিয়তই প্রার্থনা করিব । কামনা পরিত্যাগ করিয়া অর্থবান হইলে এবং মোক্ষাথী হইয়া ধৰ্ম্ম সাধন করিলে যদি এই চতুৰ্ব্বগের ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়, তবে তাছাই কর। কর্তব্য । নতুব কামনার বশীভূত হইয়া অর্থবান হইতে হইলে দরিদ্রত। ও দুঃখ কখনই ঘুচিবে না। এই পৃথিবী রূপ প্রকাও নাট্যশালায় প্রতিনিয়ত ষে অভিনয় হইতেছে, তাহ। যেমন আশ্চর্য্য এমন আর কিছুই নহে । ভেদ করিতে নিতান্ত অসমর্থ । স্থখের পর দুঃখ দুঃখের পর সুখ এইরূপ উপযুপিরি এই নাট্যশালায় ক্ৰমাগতই অভিনয় হইতে দৃষ্ট হইতেছে । আজ যাহাকে মহা ঐশ্বর্য্যবান দেখি, কাল তিনি দরিদ্র, আজ যাহাকে পৃথিবীর অধীশ্বর দেখি, কাল তিনি নিরাশ্রয়, আজ যাহাকে সুস্থ ও সবল দেখি, কাল তিনি রোগ-শষ্যায় শয়ান । আজ যাহাকে জীবিত দেখি, কাল তিনি শ্মশানে ভস্ম হইতেছেন । অতএব তত্ত্বজ্ঞানপরায়ণ হইয়। এই সুখ দুঃখের অত্যাশ্চর্য্য অভিনয়ের মৰ্ম্মভেদ কর । যাহার কেবল অর্থ-কামের সাধন করিয়া এই সুখ দুঃখের অভিনয় দেখে, তাহারা ইহার মৰ্ম্ম কেননী যখন স্বগের অভিনয় হয়, তখন তাহারা অচঙ্কারে স্ফীত হইয়া সকলই বিস্মৃত হয়, তখন হাস্য পরিহাসের এমনি কোলাহল । উথিত হয় যে তাছাতেই তাহার উন্মত্ত ।