পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

." כ 3 שני, סוזה ব্ৰহ্মপূজা פף ל to to (- un নায় একনিষ্ঠ, সন্তানের মাতৃচিস্তার ন্যায় | ভাবিতেছেন আমার ব্রহ্ম কোথায় ? হুঁাহার অমিয়, কবির প্রকৃতিচিন্তার নায় আরাম ও উত্তেজনাপূর্ণ। ঐ পৰ্ব্বত কন্দরের স্বন্দর ও মনোহর মুখ-পানে চাহিলে না ? সে অফ টু দ্বনিতে কি যেন বলিয়৷ কল কল রবে চলিয়। গেল । আমি কর্ণ পাতিয়া শুনিলাম, তাহার রব বড় মধুর, কিন্তু অর্থগ্রহ হইল না; কি করি, তাহার মধ্যে প্রবেশ করিলাম, প্রবেশ করিয়া দেখি, সে বড় শীতল, আরও অগ্রসর হইলাম, যাইয়। দেখি সে বড় দয়ালু মনে করিলাম, ইনি বুঝি সেই, স্পর্ণ করিয়া দেখি নেদম । কিন্তু বুঝলাম, ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসার শক্তি এই প্রস্রবণের অনুরূপ হওয় চাই, নতুবা এই মোছ, কাম ক্রোধাদি পাষাণকে বিপর্যস্ত করিয়৷ সেই অনন্ত সত্তাসাগরে আত্ম সমপণ করিতে পারিব नी । তবে, প্রস্রবণ দাড়াও, আমিও তোমার সঙ্গী হইব । হৃদয়-পৰ্ব্বতজাত ব্রহ্ম জিজ্ঞtলারুপ প্রস্রবণ বেগে মোহ ও কাম ক্রোধাদি পাষাণের সঙ্গে তোমার নায় ক্রীড়া করিতে করিতে লোষ্ট্রবং দূরে নিক্ষেপ করিব ও আমার নিজের পথ পরিস্কার করিয়া চলিয়া যাইব । ধরাধাম নিদ্রিত, আশা নাই, ভরসা নাই, এমন কি জীবনের চিন্তু মাত্রও নাই । তরু রাজি নিস্তব্ধ, আকাশ গম্ভীর, বায়ু স্পন্দহীন, তবে বায়ু মধ্যে মধ্যে নিশ্বাস প্রশ্বাস ছাড়িয়া সজীবতার পরিচয় দিতেছে, আর তাচার ছির শত্রু বৃক্ষ-রাজিকে স্বখে নিদ্রা যাইতে দেখিয়া তাহাদিগকে ভীত করিতেছে । তর রাজিও তাচ্ছলা ভাবে একবার মাথ৷ উঠাইয়৷ এদিক ওদিক দেখিয়া আবার ঘুমের ঘোরে অচেতন হইতেছে । বিহগগণ আtশ্রয় তরুর বিপদাশঙ্কায় একবার ডানা নাড়িয়৷ উঠিল, তাহার পরক্ষণেই আবার পূর্ববৎ অচেতন হুইয়া পড়িল। ব্রহ্ম জিজ্ঞামুর চক্ষে নিজ নাই। তিনি এই দৃশ্য দেখিতেছেন আর আমার চক্ষের উপর ধরিল। জিজ্ঞাসা শেষ হইতে না হইতেই তরু-রাজি নড়িয়া উঠিল, বিহগগণ কুলায়ও তরুকোটর হইতে স্বযখুর সঙ্গীতে জগৎ পুলকিত করিল, সেই আনন্দ ধ্বনিতে ফুল হালি-মুখে গন্ধ বাহির করিল,সমীরণ স্বগন্ধ লইয়। গৃহে গৃছে উপহার দিতে চলিল,মনিবও চেতনা পাইয়। সজীবতার পরিচয় দিতে ব্যস্ত হইল। জিজ্ঞাস্থ প্রকৃতির এই পরিবর্তন দেখিয় তাহার কারণ অনুসন্ধানে ব্যতিব্যস্ত হুইয়া দাড়াইলেন । দণ্ডায়মান হইয়া দেখেন, পূর্বদিকে কি উঠিতেছে। যাহার একবারমাত্র সঞ্জীবনী-নিশ্বাসে অন্ধকার পলাইল,প্রকাশ দেখা দিল, যাহার একবার মাত্র সঞ্জীবনী-নিশ্বাসে পশু পক্ষীর নিদ্র। ভাঙ্গিল, মনুষ্য সজীবতার পরিচয় দিল, যাহার একবার মাত্র সঞ্জীবনীনিশ্বাসে সরোবরে পদ্ম ফুটয়া সরোবরকে হাসাইল, অরণ্যে অরণ্য ফুল ফুটিয়া অরণাকে শোভার ভাণ্ডার করিল, এক কথায় বলিতে গেলে বোধ হইল যে, কে যেন বিশাল অন্ধকার সাগর হইতে উদ্ধার করিয়া শোভার ভাণ্ডার, বিস্ময়ের আকর, চিন্তার খনি, কল্পনার প্রসুন ও প্রেমের নিদর্শন বিশ্বকে তবে কি সুর্ধ্য তুমি আমার হৃদয়ের ফুল ফুটাইতে পার ? মনের আঁধার দূর করিতে পার ও শূন্য হৃদয় পূর্ণ করিতে পার ? তবে দাড়াও, আমি তোমার সঙ্গী হই । এইরূপ চিন্ত করিয়া সূৰ্য্যকে স্পর্শ করিলাম, হৃদয় “নেদমূ" বলিয়। উপেক্ষার সহিত ফিরিয়া আসিল, কিন্তু কে যেন এক তুড়তে সুৰ্য্যকে উঠাইয়। ধরাকে বাচাইল, ফুলকে হাসাইল, মানুষকে জাগাইল,আর আমাকে কাদাইয়া সেই দিকে যাইতে ইঙ্গিত করিল। বুঝিলাম কে যেন এক ভূড়িতে বলিয়া দিল, সংসার আসার পৃথিবী অসারের অসার। আরও বুঝিলাম ।