পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_ _ k us fäEEMI লেন যে অস্বরনাথে ইহারা যায়। যাইয়া কি দর্শন করে। অম্বরনাথ নাম জ্যোতিঃস্বরূপ ঈশ্বরের। র্তাহার কখন হ্রাস বৃদ্ধি হয় না। তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ পরিপূর্ণ আছেন। সেই অম্বরনাথ জ্যোতিঃস্বরূপকে দর্শন করিলে জীব অমর হয়, মৃত্যু ভয় থাকে না। আপনি সদা আনন্দরূপ থাকে। সেই সার অম্বরনাথ তীর্থ। তাহাকেই দর্শন করা জীবের সার্থক । শিবনারায়ণ এই রূপ ভাবিয়া মনে মনে স্থির করিলেন, যখন এই সকল সাধু এবং গৃহস্থ অস্বরনাথ দর্শন করিতে যাইতেছে, আমিও যখন এখানে আসিয়াছি, উহাদের সঙ্গে যাইয়। দেখি উহারা কি দর্শন করে ও কি অবস্থা ঘটে । এবং ইহাও পরব্রহ্ম মাতা পিতার লীলা, দেখিয় যাওয়া চাই। সকলে যখন চলিল শিবনারায়ণও তাহাদের সঙ্গে । চলিলেন। মটন গ্রামে আসিয়া যাত্রীরা । বাসা করিয়া সেইখান হইতে ছয় সাত দিনের জন্য খাদ্য সামগ্ৰী সংগ্ৰহ করিয়া লইল এবং সকলে আম্বরনাথের রাস্তা ধরিয়া চলিল । যেখানে রাত্রি হইত সেইখানে বিশ্রামের জন্য জঙ্গলের মধ্যে আডডা করত। পাণ্ডারা যাত্রিদিগকে দর্শন করাইবার জন্য সঙ্গে সঙ্গে থাকিত এবং অগ্ৰে যাইয়া স্থানে স্থানে জলের ঝরনার নিকট একটা কুও খুলিয়। পুষ্প দিয়া সাজাইয়া রাখিত এবং যাত্রিদিগকে বলিত যে এই কুণ্ডে যে ব্যক্তি আড়াই আনা হইতে পাচ । সিকা পর্যন্ত দিবেন তাহার ফলের কোন সীমা নাই। তাহার কৈলাস বৈকুণ্ঠ শীঘ্র প্রাপ্তি হইবে । এইরূপ অনেক অনেক স্থানে পাণ্ডারা করিত । যাত্রিদিগকে পশু বানাষ্টয়া পাণ্ডারা পয়সা উপায় করিত । এবং একস্থানে পাহাড়ে যাইয়া পাণ্ডার একটা প্রস্তর তুলিয়া অন্য একট প্রস্তরের ১৮৪ n . তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা - o - ১২ কল্প, ১ ভাগ উপর চাপাইয়া বলিত যে, যে ব্যক্তি এইরূপ mĻmu LE প্রস্তর খণ্ডের উপর প্রস্তর খণ্ড তুলিয়া এই স্থানে ইহাতে পয়স টাকা দিবে তাহার কৈলাস বৈকুণ্ঠ লাভ হইবে। এমন দানের ফল আর কোন স্থানে নাই । এই ফলের কথা শুনিয়া গৃহস্থ এবং সাধু যাত্রীরা দুই আড়াই হাজার মনুষ্য পাথরের উপর পাথর তুলিয়। এবং টাকা পয়সা দিয়া যাহার যেরূপ : শক্তি পাণ্ডাদিগকে সেইরূপ দান করিতে লাগিল । দান করিয়া সেখান হইতে অগ্রসর হইল। পাণ্ডারা মনে মনে এই বলিয়া খুসি হইল যে যাত্রদিগকে বেশ পশু পাইয়াছি । কাশ্মীর হইতে দুই চারি জন ইংরাজ ঘোড়৷ চড়িয়া সঙ্গে সঙ্গে যাইতেছিল। যাত্রির। গিয়। কি দেখে ইংরাজদের ইহাই দেখিবার ইচ্ছা। অম্বরনাথে কতকগুলি মুসলমানও যাত্রিদের সঙ্গে ছিল। তাহারা দেখিয়া দেখিয়া হাসিত ও পরস্পর বলাবলি করিত যে হিন্দুর নায় অবোধ আর কোন দেশেতে নাই । কেন না পাণ্ডারা ইহাদিগকে ফাকি দিয়া ঠকাইয়। টাকা পয়সা লইতেছে। ইহারা বুঝিতেছে না, ইছারা সরল লোক, ইছাদের ছল কপট নাই। পরে যাত্রির এক পাহাড়ের উপর অt সিল । সে স্থানে একটা পুষ্করিণীর ন্যায় একটু স্থান আছে। সেইখানে চারিদিকে পাহাড়, মধ্যে জল । জঙ্গলেতে টোড়া ঢেমূনা সাপ অনেক থাকে। পড়িয়া থাকিতেও দুই একটা দেখা যায়। ঐ পাণ্ডাবা যাত্রিদিগকে বলে যে এখানে শিব আছেন । ঐ দেখ মাথ। লাচির করিয়৷ আছেন । শীঘ্র টাকা পয়সা এখানে দিয়া দর্শন কর । এখানকার তুল্য ফল কোন খানে নাই । সাপ যেখানে মাথা বাহির করিয়া আছে সেই খানে দেখাইয়। দেয়। শিব সাপের রূপ ধরিয়া মাথা তুলিয়। আছেন, শীঘ্র দর্শন কর, নতুবা জলে মাথ৷ ডুবাইয়া লষ্টবেন । সাধু গৃহস্থ যাত্রির তৎকালে সেই কথা শুনিয়া সাপ দেখিয়া