পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د د بهNfrn: আমার মূলে রস আছে, তাই ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসার ফলফুল ও শসোতে আমার ও অপরাপর জিজ্ঞাস্থর হৃদয়ের বাহ্যিক অবয়ব শোভাপূর্ণ। তাছার জন্যই জ্ঞানী গম্ভীর, প্রেমিক উন্নত, যোগী শান্ত, আর ভক্ত বিনীত । তাছার জন্যই বিশ্বাসী স্থির ও নিরাপদ, অনুরাগী কৰ্ম্মঠ, পিপাস্থ বাতিবাস্ত । সে যাহা হউক, এখন বুঝিলাম, আমি মাটি, ছাই আর ভস্ম । মৃত্তিকার সোহাগ রস, ছাই আর ভস্মের সোহাগ ঈশ্বর, সেই রস-স্বরূপ তৃপ্তি হেতু । আমি অসতোর মধ্যে দুবিয়া আছি, সেই সোহাগ পাই কি করিয়া ? আমি মৃত্যুর মধ্যে পড়িয়া রহিয়াছি, ত মৃতের দ্বারে যাইবার উপায় কি ? আমি ঘোর আমারজনীর অন্ধকারে মিশিয়া গিয়াছি, আলোক রাজ্যের সন্ধান কে বলিয়া দেয় ? যাহার স্পর্শের জন্য বাস্ত হইয়াছি, কে র্তাহাকে প্রকাশ করিতে পারে ? আর কেহ না, আর কেহ না ! “অসতো মা সদগময় তমসোম৷ জ্যোতির্গময় ।” অসত্য হইতে আমাকে সত্যেতে লইয়া যাও, অন্ধকার হইতে আমাকে জ্যোতিতে লইয়া যা ও প্রাণের এই আকাঙক্ষণ জানাইয়া কিঞ্চিৎ শান্ত হইলাম। আশা হইল, পাইব, তাহাকে স্পর্শ করিয়া হৃদয় শীতল झझे व्ल । ধৰ্ম্ম জগৎ প্রহেলিকাময় স্থান । কিসেতে যে কি হয়, তাহ নির্ণয় করা দুষ্কর । সাধন ভজন, জপ তপস্যা, ইহা দ্বারা আত্মার নিৰ্ম্মলতা সম্পাদিত হইতে পারে । কিন্তু তাহাও এই প্রহেলিকার দ্বার উদঘাটন করিতে পারে না। একমাত্র সরল প্রার্থনাই এই প্রহেলিকার দ্বার উদঘাটন করিবার প্রকৃষ্ট যন্ত্র । সরল প্রার্থনীর অনেকে অনেক প্রকার অর্থ করেন। কিন্তু আমি এই ব্ৰহ্মপূজা । دمطلا জানি আমার শক্তিতে যখন কুলায় না, অথচ তাঙ্গাকে না পাইলে দিনপাত হওয়া দুঃসাধ্য, সুখের মুখ দেখা অসম্ভব, জীবন মৃত্যুতে পরিণত, তখন প্রাণ হইতে যে याज्रनिएबन्न बांश्ब्रि श्ब्र, उiशद्र नागई প্রার্থনা । - - যাহা কিছু দেখ্রিস্তার ছিল, দেখিলাম, আশ। মিটিল না | র্যাছা স্পর্শ করিয়া মুখ পাইবার অাশ। ছিল, তাহা গ্রহণ করিলাম, স্পর্শ করলাম, আত্ম-স্পশী হইল না । জ্ঞানী ও ধাৰ্ম্মিক বর্ণনা করিয়া ব্রহ্মের যে লক্ষণ নির্ণয় করিয়াছিলেন, তাহার অনুসরণ করিলাম, লক্ষণ আমাকে লক্ষ্যের দিকে লষ্টয়া যাইতে কৃপণতা করিল। চিন্তু করিয়া দেখিলাম, চিন্তা ঠাই না পাইয়া ফিরিয়া আসিল । তার পর আপনার সঙ্কীর্ণ জ্ঞানকুপ হইতে উঠিয়া অপরের জ্ঞানসাগরের উপরে ভাসিতে লাগিলাম । তথায় যাইয়া দেখি, যে পৃথিবীকে খণ্ড খণ্ড ও ভাঙ্গ ভাঙ্গ। ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ভাবে দেখিয়াছিলাম, তাছা একটা পূর্ণ অভঙ্গ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কবিত। এ কবিতার মধ্যে মহাকবির জ্ঞান, প্রেম ও মঙ্গলভাবের জীবন্ত স্রোত নিরন্তর প্রকা চিত । | ক্ষুদ্র পরমাণু স্ববৃহৎ সূর্যোর জন্য বদ্ধ রছিয়াছে। রস পৃথিবীর জন্য, পুথিবী রসের জন্য। উদ্ভিদ, রসও পুথিবীর জন্য, পৃথিবী ও রস উদ্ভিদের জন্য। পরস্পর ইছারা সকলেই পরস্পরের জন্য । ক্ষুদ্র মছতের জন্য, মহৎ ক্ষুদ্রের জন্য । ছোট বড়র জন্য, বড় ছোটর জন্য । ইহ দেখি লাম, বুঝিলাম ও আনন্দিত হইলাম । কিন্তু সেই দেখা, সেই বোঝা ও সেই আনন্দ আমার প্রাণস্পর্শী হইল না। প্রকৃতি জড়ময় হইলেও তাহার মধ্যে । চেতনের উচ্ছাস, জ্ঞানের আভা, প্রেমের জীবনী ও মঙ্গলের জীবন্ত উৎস দেখিতে ।