১৮২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক
- २ कन्न, ०छात्र
সাগরে ভূইয়াছেন এই দৃশ্যমান জড়প্রকৃতি মহাকবি মহান ঈশ্বরের কবিতার ভূমিকা মাত্র, আর এক একটা মানবাত্ম র্তাহার কবিতার এক একটী অক্ষর বিশেষ । এই অক্ষরগুলি অনন্ত উন্নতিশীল । সেই আদি কবির সঙ্গে পরিচয় করিতে হইলে, র্তাহার বিষয় কিছু জানিতে হইলে প্রথমতঃ প্রকৃতি আলোচনা করিয়া প্রকৃতির মধ্যে র্তাহার অভিপ্রায়ের পরিচয় পাওয়া যাইতে পারে। আবার এই প্রকৃতি আলোচনা করিতে হইলে জ্ঞানীদিগের মস্তিক, কবিদিগের হৃদয় ও ধাৰ্ম্মিকদিগের আত্মার মধ্যে প্রবেশ করা প্রয়োজন । অর্থাৎ জ্ঞান বি জ্ঞানপূর্ণ পুস্তক, কবিদিগের কবিতা পুস্তক । ও ধাৰ্ম্মিকদিগের রচিত ধৰ্ম্ম পুস্তক ও তাহাদের জীবনী একান্ত মনোযোগের সহিত পাঠ কর। কর্তব্য । এইরূপ করিয৷ চলিলে দুষ্টট উপকার হইবে । প্রথমতঃ–এই জগতের মধ্যে ভগবানের আশ্চর্ম্য ও অনিবর্বচনীয় জ্ঞান, শক্তি, প্রেম ও মঙ্গল ভাবের স্বশৃঙ্খল দেখা যাইবে । দ্বিতীয়তঃ–মানব আত্মার মধ্যে র্তাহার প্রেম, দয়া, জ্ঞান ও ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসাদির স্বম্পষ্ট চিহ্ন লক্ষিত হ ইবে। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, জগতকবির । কবিতা গ্রন্থের ভূমিকা জড় জগত, মনপাত্মা য়তা পাইতে পারি। یاحت পাওয়া যায়। এই জড়-প্রকৃতি অবলম্বন | স্বরূপ উপলব্ধি কর। বহু আয়াসসাধ্য। তবে করিয়া বিজ্ঞান ও দর্শনাদি রচিত হইয়াছে। । কত কবি জড়-প্রকৃতিকে অবলম্বন করিয়া । হাসাইয়াছেন, কাদাইয়াছেন ও গাম্ভীর্য্যের । এই পৃথিবীতে যাহারা জ্ঞান, ধৰ্ম্ম, প্রেম ও পবিত্রতা চিন্ত করিয়া গিয়াছেন, তাহদের । জীবনী পাঠে তাহীদের জীবনগত ও উপার্জিত সত্য সমূহ আয়ন্ত করিয়া ঈশ্বরের অনন্ত ভাষার দুই একটী অক্ষর বুঝিয়াই আমরা আনন্তের পথে প্রবেশ করিবার সহাচৈতন্যের প্রেযে বঙ্গদেশ ভূবিয়া গিয়াছিল। চৈতন্য কি ? ন, ভগবানের অনন্ত ভাষার একটী অক্ষর । বুদ্ধের তাগঙ্গীকার, ধৰ্ম্মানুরাগ, একনিষ্ঠা ও গভীর জ্ঞানের তেজ ও শক্তিতে পৃথিবী কম্পি ত হইয়াছিল । বুদ্ধ কি ? না, ভগবানের অনন্ত ভাষার একটী অক্ষর । কবিরের জ্ঞান ও প্রেম, শঙ্করাচার্ষোর জ্ঞান ও তেজ, নানকের ভক্তি ও ব্যাকুলতা, মহম্মদ ও খাষ্ট্রের বিশ্বাসের বলে নিদ্রিত জগৎ জাগরিত, অচেতন জগৎ চেতনা পাইয়া জীবনের চিকু দেখাইয়াছে, ইহারাও অনন্ত কবির অনন্ত ভাষার এক একটী অক্ষর মাত্র । এখন ভাবিয়া দেখ যাহার ভাষার একটা অক্ষরের তেজ, শক্তি ও প্রতিভাতে জগৎ কম্পিত, তিনি কত মহৎ, তিনি কত প্রতিভা সম্পন্ন ; এখন ভাবিয়া দেখ, যাহার একটী যাত্র অক্ষরের শোভায় জগৎ আকৃষ্ট, তাহার কত শোভা ! কত সৌন্দর্য । ক্রমশঃ । পরমহংস শিবনারায়ণ দেবের এক একটা অক্ষর । ইহার এক একটা অক্ষর । হইতে অনন্ত শোভার বীজ, অসীম প্রীতির । উৎস, গভীর জ্ঞানের জ্যোতি উদারিত | (পূর্বের অনুবৃত্তি) হঈয়, জগৎকে স্তম্ভিত ও বিস্মিত করি- শিবনারায়ণ মনে মনে এই বলিয়া ঐ তেছে । লোকমণ্ডলী অসংখ্য । এই অ- স্থান হইতে নেপাল রাজ্যে চলিয়া গেলেন। সংখা অক্ষরে ভগবানের ভাষা। এই ভাষা ( নেপালে যাইতে নেপালের লোকেরা শিবশিক্ষা না করিতে পারিলে, ঈশ্বরের অনন্ত । নারায়ণকে বলিল যে বিনা পাশে তোমাকে জীবন চরিত্র।
