পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:న)c তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १२ कक. ● छाश করিয়াছেন । তাই বালক বৃদ্ধ যুবক শান্ত- ধৰ্ম্মবিজ্ঞান সকলি বর্তমান ছিল, কিন্তু হৃদয়ে গম্ভীর ভাবে বসিয়া বিশ্বপতির অর্চনার আয়োজন করিতেছেন । দিবস আমাদের প্রাণ প্রীতিপ্রদ কেন ? না, এই দিবসের মধ্য দিয়া প্রথম ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম ভারতে পদার্পণ করেন। প্রাতঃকাল— । সময়, ঐ সময়ের মধ্য দিয়া প্রথম সূর্য্যের প্রকাশ হয় বলিয়া প্রাতঃকাল প্রীতিপ্রদ । ও মনোহর। সেইরূপ মাঘের একাদশ দিবসের মধ্য দিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারিত হয় । তাহার জন্য এই দিবস আমাদের প্রীতিপ্রদ। ভারত কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল । ভারতের পূর্বজ্ঞান গৌরব অজ্ঞানতার কুজৰাটিকায় ঢাকা ছিল। ভারতের স্থখ । সৌভাগ্য অধীনতার লৌহ শৃঙ্খলে বদ্ধ ! ভারতের ব্রহ্ম উপেক্ষিত পরি- | ত্যক্ত হইয়াছিলেন । ভারতের প্রাণ ছিল । সাধু মহাত্মারা ঐহিক মুখকে তুচ্ছ ও অপদার্থ মনে করিয়া পার্থিব অর্থকে অকি क्लिल । না । মাঘের একাদশ দিবসে এই প্রাণের সঞ্চার হয়। অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঘোষিত হয়, জ্ঞানধৰ্ম্মের প্রেম পত্রিতার দ্বার উদঘাটিত । হয় এবং প্রকৃত স্বাধীনতার প্রাণ পুনঃ- । সঞ্চারিত হয় । এক কথায় বলিতে গেলে । সূর্য্যের প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে যেমন জগৎ প্রকাশিত হইয়া থাকে, মানবগণ তখন । চক্ষুষ্মান হইয়া সমস্ত শোভা দেখিবার । অধিকারী হন ; সেই রূপ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সূর্যের স্যায় তেজস্বী হইয়া ভারত গগনে উদিত । হইলে পর ভারতবাসীগণ তাহীদের পূর্ব গৌরব রক্ষা করিতে যত্নবান হন এবং পূর্বসঞ্চিত জ্ঞানধৰ্ম্ম প্রেম পবিত্রতা দেথিতে পাইয়। সেই দিকে ছুটিতে থাকেন । বেদ ছিল, উপনিষদ ছিল, পুরাণ ছিল, যোগী ছিলেন, ঋষি ছিলেন, নীতিবিজ্ঞান থিত झझेल | ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারিত হইবার পূর্বে বেদের মাঘের | আদর করিত কে ? দর্শনের তত্ত্ব কয়জন একাদশ দিবসের এত সম্মান কেন ? এই ; দিবস আমাদের এত প্রিয়তম কেন ? এই ৷ লইতেন ? বিজ্ঞানের মৰ্ম্ম কয়জন বুঝিতেন ? নীতি ও ধৰ্ম্ম বলিয়া যে একটা জিনিস অাছে এই বিষয় কয়টা ভারতবাসী স্বীকার করিতেন ? কিন্তু যেই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রচার আরম্ভ হইল অমনি শাস্ত্রের আদর বাড়িল । সাধুদিগের সম্মান-প্রতিষ্ঠা হ ইল জ্ঞান বিজ্ঞান সমস্তই উজ্জ্বল রূপ ধারণ করিয়া ভারতবাসীর মন প্রাণ অধিকার করিতে লাগিল এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সঙ্গে ভারতের সর্বাঙ্গীন উন্নতি এক সূত্রে গ্রতাই আজ আমরা মাঘের একাদশ দিবসে এই উৎসব করিতেছি । ব্রহ্ম আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি । যোগী, ঋষি, ভক্ত, প্রেমিকদিগের স্বোপার্জিত সম্পত্তি। একমাত্র এই সম্পত্তি উপার্জন করিবার জন্য প্রাচীন যোগী ঋষি ঞ্চিৎকর ভাবিয়া একমাত্র অনন্ত মহান রকে হস্তামলকবৎ লাভ করিবার জন্য লালায়িত হইতেন । যত দিন ব্রহ্ম লাভ না হইত ততদিন তাহারা নিরস্ত থাকিতেন না। চিন্তার পর চিন্তা, গবেষণার পর গবে ষণা, ধ্যানের পর ধ্যান, প্রার্থনার পর প্রার্থনা করিয়া নিত্য নিরাকার পূর্ণব্ৰহ্মকে লাভ করিতেন । হৃদয় মাঝে, প্রাণ-সিংহাসনে বসাইতেন। প্রাণস্য প্রাণম্ বলিয়৷ পূজা করিতেন, তার পর তাহারা নিরস্ত হই তেন। আমরা তাহাদেরই উত্তরাধিকারী, আমরা তাহাদের সেই ব্ৰহ্মধনের উত্তরাসিকারী। ঋষিদিগের স্বোপার্জিত অনেক বিত্ত আছে কিন্তু ব্রাহ্মগণ ভাগে আর কিছু চান না। সেই ব্ৰহ্মকে চান, এই