পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় ১৮১০ আত্মা এবং পরমাত্মা \లిన) - - -mqـمـہصد۔-مے শেষে পান এই যে, তাড়িত-পদার্থে সকলই হয়—তাহারই শক্তি-মাছাত্ম্যে অন্ধকার হইতে আলোক পরিস্ফুট হয়, জড় হইতে প্রাণ পরিস্ফুট হয়, अञ्जॉन इड्रेटङ জ্ঞান পরিস্ফুট হয় : জগতে এমন কোন অসাধ্য ব্যাপার নাই যাহা তাহার কর্তৃত্বের সীমা-বর্হিভূত ;—বা স্তবিকই যেন র্তাহারা তাড়িত পদার্থের সর্ব-কর্তৃত্ব দিবাচক্ষে অবলোকন করিয়াছেন ! এই অন্ধ শক্তিটিই জড়বাদী প্রভৃতি শুষ্ক বৈজ্ঞানিক- | দিগের স্পর্শমণি ; এবং ইহার উপার্জনে থাকেন । কিন্তু জ্ঞান এমন ক্ৰে তলভ ধন, তাচা কি অন্ধ-শক্তি ক্রয় করিলার জন্যই জগতে । তবে হীরক দিয়া । কাচ ক্রয় করা কি দোম করিল ? যাহারা ; কোনটি বা জাগ্রত,—যেমন শক্রর দশন জ্ঞান দিয়া জ্ঞান-স্বরূপকে ক্ৰয করেন, মাত্রে মনোমধ্যে তাহার অনিষ্ট-কামনা তাহারাই জ্ঞানের সথার্থ সদ্ব য় করেন ; ; জন্ম গ্রহণ করিয়াছে ? র্তাহার। “সম্প্রাণৈানমুযায়। জ্ঞান গুপ্ত; ক'ত স্থানে বীত ৷ লাভের জন্য, সুতরাং উপস্বত্ত্ব-কামনা মুখ্য পরমাত্মাকে প্রাপ্ত হইয়া জ্ঞানতৃপ্ত কৃ- ; কামনা সুখ-সাধনের জন্য, সুতরাং সুখ l কামনা রাগ, প্রশান্ত৷ ৷ ” তাত্মা বাত-রাগ এবং প্রশান্ত হ’ন । জীবাত্মা প্রকৃতি দ্বারা পরিচ্ছিন্ন, পরমা হ্লা জীবায়। এবং প্রকৃতি সমস্ত ব্যাপিয়া সকলের অত্যন্তরে বর্তমান । জীবাত্ম। এলং প্রকৃতি উভয়ে পরম্পরের প্রতিদ্বন্দী; পরমাত্মা দ্বন্দীতাত অটল প্রশান্ত নিরঞ্জন । সংসার, সত্য এবং মিথ্যার, আলোক এবং । অন্ধকারের, জীবন এবং মৃত্যুর, দ্বন্দ্ব-ক্ষেত্ৰ ; ক্রমে সেই সকল দ্বন্দ্বের হস্ত হইতে নিস্কৃতি লাভ করে,~—ক্রমে অসত্য হইতে সত্যে উপনীত হয়, অন্ধকার হইতে আলোকে উপনীত হয়, মৃত্যু হইতে অমৃতে কিয়ং পরিমাণে দমন করিয়া জীবা স্ত্রা পরমাত্মাকে অবলম্বন করিয়া ক্রমে | উপনীত হয়, এইরূপে শান্তি হইতে শান্তিতে পদনিক্ষেপ করে। জীবাত্মা পৃথিবার গৰ্ব-নিহিত বাজ-স্বরূপ, পরমাত্মা সূৰ্য্য স্বরূপ ; সেই সূর্স্যেরই প্রভাবে সেই বীজ মৃত্তিকা ভেদ করিয়া ত্যাকাশে পযু থিান করে—এবং সেই সূর্য্যেরই আলোক আত্মসাৎ করিয়া নবজীবন হইতে নবতর জীবন লাভ কfরতে থাকে। এরূপ জীবনলাভের অন্ত নাই, যেহেতু পরমাত্মা-রূপ সূৰ্য্য অনন্ত জীবনের অক্ষয় ভাণ্ডার । জীবাত্মা যখন আপনার জন্য কাৰ্য্য তাহারা অশেষ বিদ্যা-বুদ্ধি ব্যয় করিয়া করে, তখন তাহার সেরূপ কাৰ্য্যকে স্বার্থ কহে; আর,যখন সে পরমাত্মার জন্য কার্য্য

করে তখন তাহার সেরূপ কার্স্যকে পর

মার্থ কহে । আমাদের মন নন। প্রকার কামনার আশয় ; কোনটি বা প্রস্থ প্ত, জাগ্রত হইয়া উঠে, শক্রর অদর্শনে তাহা প্রস্তুগু থাকে ; কোনটি বা মুখ্য, কোনটি বা গৌণ,—যেমন ভূমি-কামনা উপস্বত্ত্ব —ভূমি-কামনা গৌণ ; আবার, উপস্বত্ত্ব মুখ্য—-উপস্বত্ত্ব-কামনা গৌণ ; কোনটি বা বৈধ কোনটি বা অবৈধ— কামন-সকল এইরূপ বিচিত্র ভাবাপন্ন ; সেই সকল কামন। উপযুক্ত রূপে চরিতার্থ করিবার জন্যই মনুষ্য প্রথমতঃ বুদ্ধিকে নিয়োগ করে । বুদ্ধি উপস্থিত কামনাকে কামনাচরিতার্থতার সাধারণ নিয়ম-সকল আলধারণ করে ; ইহাতে বুদ্ধির কর্তৃত্ব অভিমান জন্মে – অহংকার জন্মে ; অতঃপর বুদ্ধির অহঙ্কার এবং মনের বিময়-কামনা দুয়ের মধ্যে তুমুল দ্বন্দ উপস্থিত হয়। যেই,