পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

י לשא אסן או যষ্টিতম সান্ধৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ షిప్పి পৈতৃক বিত্ত দখল করিতে চান। সোঁ ভাগ্যক্রমে তাহাই হইয়াছে। ব্রাহ্মের ব্ৰহ্মধনে অধিকারী হইয়াছেন । তাহাদের ভাগে ব্রহ্ম পড়িয়াছেন। অনেকের মুখে শুনা যায় রত্ন প্রসূ ভারতভূমির প্রধান ও উৎকৃষ্ট রত্ন কহিনুর আর ভারতে নাই। ভারত নির্ধন, দরিদ্র, রত্বহীন, কিন্তু আমরা দেখিতেছি, তাহাদের বড়ই ভ্ৰম । ভারত রত্বহীন হয় নাই । ভারতের কহিনুর ভারতেই আছে । ভারতের রত্বে আজও ভারত গৌরবান্বিত । সেই কহিমুর কি না ব্রহ্ম । এই কহিনুর উপার্জন করিবার জন্য প্রাচীন ঋষিগণ সর্বত্যাগী হইয়া পার্থিব বিত্তকে আসার মনে করি তেন এবং সারতত্ত্ব সাররত্ন সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্মকে কহিনুর বলিয়া গলায় পরিতেন। সেই কহিনুর আমাদের আছে। আমরা হারাই নাই। শত দরিদ্রতায় নিষ্পেষণ করুক, চারিদিকে বিঘ্ন বিপত্তির অগ্নি প্রজ্বলিত হউক, অত্যাচার, অনাদরের শৃঙ্খলে শৃঙ্খলে আবদ্ধ হই, তবু দুঃখ করিব না। কারণ অামাদের অাছে । cनब्रड्रे यां८छन । উৎসব করিব, তিনি আমাদের কণ্ঠের হার হইবেন । তাই বলিতেছি মাঘের একাদশ দিবসে এই রত্নের উত্তরাধিকার সত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। যে দিন আমরা ব্রহ্মরূপ কহিনুর হস্তগত করিয়াছি সেই দিন আমাদের আজ, এই মাঘের একাদশ দিবস । তাই আমাদের এত আনন্দ এত সুখ। এই দিবস যে কেবল আমাদের উৎসব তাহ s নহে। এমন দিন আসিবে সমস্ত ভারতবালী এই এগারই মাঘে উৎসবে মত্ত হইয়া রত্বোৎসব করিবেন, ব্রহ্মকহিনুর আমাদের কহিনুর য়োজন হইতেছে। অামাদের ব্রহ্ম অামা- ' ব্রহ্মকে লইয়া আমরা পরিবারের মঙ্গল এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রেরণ করিয়াছেন । κλημα পুনঃপ্রাপ্তির উৎসব ঘরে ঘরে হইবে । ঈশ্বর করুন এই কহিনুর ভারতের প্রত্যেক নরনারীর শিরোভূষণ হউক। ঈশ্বর করুন তিনি আমাদের হৃদ্য ও পূজনীয় হউন, তাহার ইচ্ছা জয়যুক্ত হউক ৷” । পরে স্বাধ্যায়াম্ভ উপাসনা সমাপ্ত হুইলে ভক্তিভাজন আচার্য্য শ্রীমৎ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় উৎসাহে উত্তেজিত হইয়া মধুর গম্ভীর স্বরে বেদি হইতে এই উপদেশ দিলেন । আমাদের প্রিয়তম ব্রাহ্মসমাজ পরম মঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার আদেশ মন্তকে করিয়া আর এক বৎসর পৃথিবীতে মঙ্গল-রশ্মি বিতরণ করিয়া সেই মহান প্রভুর পদতলে প্রীতি ভক্তি কৃতজ্ঞতা সমপণ করিবার জন্য আবার আজ র্তাহার দ্বারে আসিয়া করজোড়ে দণ্ডায়মান হইয়াছে । তাছারই অমৃত ভাণ্ডার হইতে পাথেয় সঙ্গ হ করিয়া ব্রাহ্মসমাজ দ্বিগুণ উৎসাহের সহিত মঙ্গল কার্যো প্রবৃত্ত হইবে—তাহারই আজ অtব্রাহ্মসমাজেরই মঙ্গলের উপর আমাদের দেশের মঙ্গল—প্রতি আমাদের প্রতি জনের ঐহিক পারত্রিক মঙ্গল সমস্তই নির্ভর করিতেছে । ঈশ্বর আমাদের অমঙ্গল দেখিতে পারেন না—তিনি আমাদের মঙ্গল দেখিতে চান—তাই তিনি আমাদের জন্য তিনি যাহ। আমাদিগকে ভাল বাসিয়া প্রদান করিয়াছেন, তাহার প্রতি আমরা কোন প্রাণে বিমুখ হইব ? প্রকৃতির মুলস্থিত সৰ্ব্বাধ্যক্ষ পরমেশ্বর আমাদের পরম পিতা, প্রকৃতির অভ্যন্তরে তিনি আমাদের পরম-মাতা এবং র্তাহার স্নেহের দান ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আমাদের প্রাণের বন্ধু—এ ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে কিরূপে আমরা