পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د د چاډ :RIng যষ্টিতম সাৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ১১৩ ജ= বলিয়া যে একটা দেশ আছে—তাছার মধ্যে যে আবার মনুষ্য আছে—আর সেই সব মনুষোর ভাণ্ডারে যে পুরুষপরম্পরাগত, অমূল্য জ্ঞানরত্ব আছে—অধুনাতন প্রবল জাতিরা তাহ ধর্তব্যের মধ্যেই ধরেন না । , এমন এই যে পৃথিবী মাতার ত্যজ্য পুত্র হতভাগ্য বঙ্গভূমি—এই শুষ্ক মরুভূমির অভ্যন্তরে—নান। প্রকার বিভ্রান্তি-জনক মরী চিকার অভ্যস্তরে—পতিতপাবন বিশ্ববিধাতা অনুপম স্নেহ বর্ষণ করিয়া ব্রাহ্মধর্ণের শান্তিপ্রদ ছায়া ত্রু অল্পে অল্পে বৰ্দ্ধিত করিয়া তুলিতেছেন ; কিছুই ছিল না—অঙ্কর দেখা দিল ; শাখা প্রশাখা ছিল না—শাখা প্রশাখা দেখা দিল ; ফল পুষ্প কি যথা সময়ে দেখা দিবে না? অরুণ যখন দেখা দিয়াছে— তখন কি সূৰ্য্য দেখা দিবে না ? সুর্য্য কুজবটিকায় সমাচ্ছন্ন থাকিলেও তাহ৷ সূৰ্য্য—ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ক্ষুদ্র প্রাণী বঙ্গ হৃদয়ের মোহ-মেঘে কলুষিত হইলেও তাহা বিশ্ববিধাতা মহান পুরুষের প্রেরিত মহান ধৰ্ম্ম । এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ছায়াতরু তলে—কোলাহল সমুদ্রের মধ্যস্থিত শান্তির দ্বীপে – আমরা আজ সবাস্কবে মিলিত হইয়া পতিতপাবন পরমেশ্বরের অমোঘ প্রসাদবারি যাদ্ধা করিতেছি । হে পরম মঙ্গলালয় বিশ্ববিধাতা নিখিল চরাচরের জনক জননী ! তোমার প্রেমপীযুষ পান করিয়া কঠোর সংসারের সমস্ত জ্বাল যন্ত্রণা হইতে নিস্কৃতি পাইবার জন্য আমরা এখানে অদ্য সবান্ধবে মিলিত হইয়াছি । তোমার অভয় ক্রোড় সৰ্ব্ব জগতে প্রসারিত রহিয়াছে—তোমার এই দীন হীন বঙ্গ সন্তানগণের প্রতি তুমি কি উদাসীন থাকিতে পার ? আমরা তোমার প্রতি বিমুখ হইয়া শত সহস্র অপরাধী হইলেও তুমি আমাদের প্রতি বিমুখ হুইও না ; কখন তোমার পথে ফিরিয়া আসিব—কখন তুমি আমাদের অশুজল মার্জন করিয়া আমা দিগকে ক্রোড়ে লইবে—সেইরূপ পস্থাম্বেষী তোমার বিশ্বব্যাপী মঙ্গল-চক্ষু আমাদের উপর চিরদিন নিপতিত রহিয়াছে; সে চক্ষু যদি আমরা ক্ষণ-মাত্রও দেখিতে পাইতাম, তবে তোমা ভিন্ন জার স্বামরা কিছুই চাহিতাম না। পাছে আমরা সে তোমার প্রেমদৃষ্টির আকর্ষণ সামলাইতে না পারিয়া সংসারের সমস্ত কৰ্ম্ম কার্ষ্যে জলাঞ্জলি দিয়া একেবারেই তোমাতে বিলীন হইয়। যাই— এই জন্য তুমি আমাদিগকে তাহা স্পষ্ট ভাবে দেখিতে দেও না—ধীরে ধীরে তুমি তোমার সৰ্ব্বসন্তাপহারী অমৃত আমাদের 'তৃষিত আত্মাতে বর্ষণ কর । আমাদিগকে অন্ধকার ংসারে অসহায় ফেলিয়া দিয়া লুকাইয়। থাকিও না—আমাদের অন্তশচক্ষে তোমার প্রেমপূর্ণ অভয় মূৰ্ত্তি প্রকাশিত কর এই আমাদের প্রার্থনা । তোমার প্রীতি তো মার স্নেহ তোমার করুণাই অদ্য আমাদের পরম মহোৎসব । রাত্রিকাল । শ্ৰীমৎ প্রধান আচার্য মহাশয়ের গৃহ পত্র পুম্পে সুসজ্জিত ও আলোকমালায় উদ্ভাসিত হইয়াছিল । এবার বঙ্গদেশের সর্বপ্রধান এমন অনেক লোক তথায় উপস্থিত ছিলেন। স্বপ্রশস্ত গৃহ লোকে লোকারণ । যথাসময়ে আচার্যেরা বেদি গ্রহণ করিলে শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সভাস্থলে দণ্ডায়মান হইয়া এইরূপ বক্ততা করিলেন । “অদ্যকার এই শুভ মাসে—শুভ দিবসে —ব্রাহ্মধর্মের অভিনব সূর্য উদয়াচলে সমুথান করিয়াছেন। আদ্যকার সূর্য্যের অভু্যথানে আমরা ব্রাহ্মধর্মের অভু্যত্থানের জীবন্ত প্রতিমূৰ্ত্তি অবলোকন করিয়া, সকল মঙ্গ