পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SᎼ8 to - - - - - - লের অাকর পরম মঙ্গলময় বিশ্বের জনকজননীকে প্রাতঃকাল হইতে সায়ংকাল *र्षीख षनादान्न निघ्न-किछूएउई झनदग्नद्र গভীর আকাঙ্ক্ষণ তৃপ্তি মানিতেছে না। পৃথিবীর সূৰ্য্য অস্ত হইয়াছে কিন্তু ব্রাহ্মধর্মের সূৰ্য্য উদয়াচল হইতে এক পদও টলিবার নহে, মঙ্গলময়ের প্রেরিত মঙ্গলের সূর্য্য । জগতে একবার উদয় হইলে কোন কালেই তাহা অস্ত হয় না। পূৰ্ব্বদিকের মুখ-জোতি এখনো কুজঝটিকায় মান—ভারতের মুখজ্যোতি এখনো মোহাবরণে অবগুণ্ঠিত । তত্ত্ববোধিনী পত্রিক নবোদিত মঙ্গল-দুর্ঘ্য সেই কুজফটিকার আড়ালে সহস্ৰ কোটি কিরণ-জাল ধীরে ধীরে । প্রসারণ করিতেছে-কুজবটিক তাহা জানে না । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম মোহ-কোলাহলের মধ্য হইতে প্রেমভরা গম্ভীর আহবান-ধ্বনি উচ্চে উদ্‌ঘোষণ করিতেছেন—এখনো তাহা জনসাধারণের কর্ণ-কুহুরে প্রবিঃ হয় নাই । সময় উপস্থিত হইলেই মোহ-কুজঝটিকার দল-বল ছিন্ন ভিন্ন হইয়া দশদিকে বিদ্রাবিত হইলে—ব্রাহ্মধৰ্ম্মরূপ সূর্যের মধ্য দিয়া অনন্ত মহান পুরুষের শুভ্র মুখজ্যোতি দশদিকে বিকীর্ণ হইবে—কেহই তাহা নিবারণ করিতে পারিবে না । সেই তাহার সর্বসন্তাপ নাশন মুখ জ্যোতির কণামাত্র কিরণের প্র তাশায় বিমল প্রীতি-ভক্তির সাগরসঙ্গম হইয়া তাহার অভ্যন্তরে শত সহস্ৰ হৃদয়কমল আদা বিকসিত হইয়া উঠিয়াছে । অদাকার এই সুমঙ্গল দিবসে আমাদের পরম পিতা পরম মাতা পরম সুহৃৎ আমাদের প্রাণের শান্তির জন্য—ফুধিত আত্মার ক্ষুধা নিবারণের জন্য – আমাদিগকে অমৃত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রেরণ করিয়াছেন ; তাই আমরা তাহার চরণে আমাদের প্রীতি ভক্তি কৃতজ্ঞতার দ্বার উদঘাটন করিয়া সমস্ত হৃদয় ঢালিয়া দিবার জন্য অদ্য এখানে একত্র সমাগত | ७२ कन्न, ०'छान হইয়াছি । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বস্তুটা কি—তাহা একবার ভাবিয়া দেখ ! তাহ পরম পিতার কল্যাণের দান—পরম মাতার স্নেহের দান —পরম বন্ধুর প্রীতির দান—তাহার মুল্য .কিরূপে মুখে ব্যক্ত করিব ? তাহার মুল্য এক হৃদয়ে ধরে না—তাই শত সহস্ৰ হৃদয়হইতে আজ প্রীতি ভক্তি এবং কৃতজ্ঞতা উচ্ছসিত হইয়। উঠিতেছে ; পৃথিবীতে ধরে ন—তাই ভুভু বঃ স্বঃ সমস্ত জগতে মঙ্গলধ্বনি ধ্বনিত হইতেছে ; যাহার কর্ণ আছে তিনিই তাহা প্রাণের অভ্যন্তরে শুনিতে ছেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যে কি অমূল্য বস্তু এখনো আমরা তাহ। চিনিতে পারি নাই । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম চিরন্তন অথচ নূতন । ব্রাহ্মধৰ্ম্মেতেই আমাদের এই আর্যভূমির জন্ম ; ব্রাহ্মধৰ্ম্মেতেই আর্য্যজাতির মূল প্রতিষ্ঠিত ; ব্রাহ্মধৰ্ম্মই সমস্ত পৃথিবীর পুষ্পবিকাশ এবং ফলপরিণতি । আজিকের এই উজ্জ্বল শতাব্দীতে এ কথা কাহারে নিকটে গোপন থাকিতে পারে না যে, সনাতন আর্য্যধৰ্ম্ম আমাদের দেশে গোড়া হইতেই আছে ; মাঝে কেবল খণ্ড খণ্ড হইয়া এখানে ওখানে সেখানে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল । করুণাময় জগৎপিতার পরমাশচর্য্য মৃতসঞ্জীবনী কৃপায় সেই খণ্ডাংশগুলি একত্র সমানীত হইবামাত্র, তাহাতে নূতন জীবনের সঞ্চার হইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অভিনব শ্ৰীতে সমুথান করিল। আর্যধৰ্ম্মের নানা অঙ্গ আর কিছু নয়—আত্মার তিনটি মুখ্য অবয়ব—জ্ঞান প্রাণ এবং কৰ্ম্ম ; | প্রাণ-শব্দে এখানে শারীরিক প্রাণ নহে ;– চাই প্রাণ বলো—চাই হৃদয় বলে।–চাই প্রীতি বলো—চাই ভক্তি বলে,—কাণে শুনিলে নানা শব্দ– মনে বুঝিলে একই অর্থ। এ যাবৎকাল আর্য-ধর্শের তিন অঙ্গ— জ্ঞান প্রাণ এবং কৰ্ম্ম এই তিন অঙ্গ-তিন