পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कङ्कम ७w33 _ এবং বিশৃঙ্খলা কেবল ব্রাহ্মমণ্ডলীর অভ্যস্তরেই আবদ্ধ, তাহার বাহিরে সকলই শান্তির আলয়—সকলই শোভার ভাণ্ডার--সকলই জ্ঞানের জ্যোতি, র্তাহারা চক্ষু থাকিতেও অন্ধ । তাহারা কি জানেন না যে, সমগ্র ভারত-ভূমি বিচ্ছেদ বিরোধ এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলাদলির উত্তপ্ত মরুভূমি ? তাহার: জামুন বা না জানুন—আমাদের ইহা চক্ষে দেখা কথা যে, চতুর্দিকস্থ জ্বলন্ত দাবানলের মধ্যে (শুষ্ক জ্ঞান অন্ধভক্তি এবং শূন্য আড়স্বরের কঠোর সংঘর্ষ-জাত সুবিস্তীর্ণ দাবানলের মধ্যে) ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সরস উপদ্বীপ হইয়। জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । এ অবস্থায় উপদ্বীপটির গাত্রে হুতাসনের একবিন্দুও আঁচ লাগিবে না এরূপ প্রত্যাশা করাই অন্যায় । এ তো জানাই আছে যে, জ্বলন্ত হুতাশনের শত সহস্র ভুজঙ্গ-ফণা তাহাকে শত সহস্ৰ দিক হইতে তাড়াইয়া আসিয়া আক্রমণ ক রিবে । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কিছু আর তুলারাশি নহে । ষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ । যে, তাহা অগ্নিকে ভয় করিবে ? ব্রাহ্মধৰ্ম্ম । সমুজ্জ্বল সুবর্ণ—অগ্নিতেই তাহার বিশিষ্ট্ররূপে গুণ-পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে তাহার মুখ কত না উজ্জ্বল হইবে । মহান প্রভু পরমেশ্বর আমাদের ধ্রুব- | তারা ইহা না দেখিয়া অনেকে এই ভাবিয়া সারা হন যে, “ব্রাহ্মধৰ্ম্মের কুল-কিনার কোথায় । কেবলি ঘূর্ণার ঘোর। সম্মুখে নূতন অপরিচিত পথ । এক আবর্ভ ছাড়াইলে আর এক আবর্ত। নিম্নে রসাতল মুখ साiशॉन कब्रिटऊ८छ् ! উত্তঙ্গ তরঙ্গ পশ্চাৎ হইতে সম্মুখে এবং সন্মুখ হইতে পশ্চাতে তাড়াইয়া লইয়া যাইতেছে—কোথায় যাইতেছি তাহার কিছুই ঠিকানা নাই।” এইরূপ মনে করিয়া যাহারা ছাল ছাড়িয়া দিয়া বলিয়া থাকেন, তাহাদের নিজেরই কাৰ্য্য উাছাদের নিজের বিরুদ্ধে এইরূপ সাক্ষ্য ఎగి .Emi ş پلیے یہی ہے۔یہ ماہ ====- = قصیدہ = = ہے sä سكصتساق প্রদান করে যে, তাহারা ঈশ্বরের অটল মুখজ্যোতি জ্ঞানেও নিরীক্ষণ করেন না এবং র্তাহার অমৃত প্রসাদ-বারি প্রাণেও অনুভব করেন না। র্তাহাদের জ্ঞানাভ্যন্তরে লাভা লাভ গণনা এবং প্রাপাভ্যস্তরে লোকভয় এই দুই প্রতাপাৰিত প্ৰভু সৰ্ব্বোচ্চ দেবসিংহাসনে উপবিষ্ট । এইটি তাছাদের বিশেষরূপে হৃদয়ঙ্গম করা কর্তব্য যে, স্বর্থশাস্তির মুবাতাস ঈশ্বরের হস্তে-কর্তব্য সাধনের হাল এবং দাড় আমাদের প্রতিজনের নিজের হস্তে । বায়ু যেমনই বহুক । না কেন—যে দিকেই বছক না কেন, কাণ্ডারীগণকে কুলের দিকে নৌকার মুখ ফিরাইয়া দৃঢ় রূপে হাল ধরিয়া থাকিতেই হইবে, এবং দাড়িদিগকে দাড় টানিতেই হইবে— তাহাতে একটুও শৈথিল করিলে চলিবে না। একই সময়ে আমাদিগকে দুইটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি স্থির রাখিতে হইবে—ঈশ্বরের দান এবং আমাদের নিজের নিজের কর্তব্য । ঈশ্বরের দান ঈশ্বরের হস্তে এবং আমাদের নিজের কর্তব্য আমাদের নিজের হস্তে । আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক সকল প্রকার কার্য্যের অভ্যন্তরেই দুই হস্ত বর্তমান রছিয়াছে – এক হস্ত আমাদের নিজের এবং আর এক হস্ত ঈশ্বরের । চক্ষু দ্বারা বস্তুদর্শন যাহা আমরা প্রতি নিয়তই করিতেছি— তাহারো অভ্যস্তরে দুই হাত যুগপৎ কার্ষ্য করিতেছে ; চক্ষুরুন্মীলন করা আমাদের আপনাদের হাত এবং সুর্য্যালোক প্রেরণ করা ঈশ্বরের হাত । আমরা সাধক, ঈশ্বর সিদ্ধিদাতা বিধাতা ; সাধন আমাদের হস্তে— সিদ্ধি ঈশ্বরের হস্তে,-এই কথাটি যেন আমাদের মনোমধ্যে অবিনশ্বর অক্ষরে মুদ্রিত থাকে । ■ কর্তব্য সাধনের মধ্যেও দুই হাত-বালকের হাত এবং ধাত্রীর হাত । বালক কে ?”