পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* رده و res মানুষ হয় না ; সে ধাত্রী কে ? না পুরুষপরম্পরাগত পৈতৃক সংস্কার । निक्लठे জীবদিগের যত কিছু সংস্কার আছে সমস্তই নৈসর্গিক সংস্কার। মনুষেরই মধ্যে কেবল এইরূপ দেখিতে পাওয়া যায় যে, যে যেমন কার্য্য করে তাহার তেমনি সংস্কার জন্মে— আর, সেই সংস্কার ক্রমে ক্রমে মনুষ্যের । প্রাণের আভ্যন্তরে বদ্ধমুল হইয়া দ্বিতীয় প্রাণ হইয়া দাড়ায় । সংস্কার শব্দের অর্থ আর কিছু নয়—অভ্যাসের গুণে কাৰ্য্যর প্রবৃত্তি । প্রাণের সচিত মিলিয়া মিশিয়া একীভূত হইয়া গেলে তাছাকেই আমরা বলি— | সংস্কার। চিরাভ্যস্ত সংস্কারকে ছাড়িয়া থাক প্রশ্বাস যেমন মনুয্যের প্রাণেরই ব্যাপার – অভ্যস্ত সংস্কার অনুসারে চলা ও তেমনি মনুয্যের প্রাণেরই ব্যাপার । শরীরের প্রাণ কি ? না জীবন ;—মনের প্রাণ কি ? ন৷ সংস্কার ; দুইই প্রাণ । মনুষ্যের সেই যে মনের প্রাণ (শরীরের প্রাণ নহে) মনের প্রাণ —কিনা অভ্যস্ত সংস্কার, তাছা দুইটি অবয়বের সংঘাত ; একটি অবয়ব পৈতৃক সংস্কার, আর একটি অবয়ব সোপার্জিত সহস্কার। পৈতৃক সংস্কারটিই মুল ধন ;– স্কোপার্জিত সংস্কারটি সেই মূল ধনের উপস্বত্ব ; তাছার মধ্যে প্রধান একটি বিবেচ্য এই যে, মুলধনটি অমনি পাওয়া যায়, উপস্বত্ত্বটি ফলাইয়। তুলিতে হয়—কাজেই ইহাতে স্বাধীন চেষ্টা অপেক্ষিত হয়। কেবল-মাত্র স্বাধীন-চেষ্টাতে কিছুই হয় না-মূল ধনের উপর স্বাধীন-চেষ্ট্র। খাটাইলে তবেই তাতাতে ফলোৎপত্তি হয় । বন-মানুষদিগের মধ্যে আজন্ম-কাল বাস করিলে, মনুযোর স্বাধীন-চেষ্ট্র ব্যর্থ হয় কেন ? না যেহেতু জন্মিয় অবধি সে তাহার পৈতৃক সম্পত্তির মুখাবলোকন করিতে পায় নাই-পূৰ্ব্ব ষষ্টি তম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ఏవ | o ജ്ജ് .س-or--مسجيله= arams =s = args-- পুরুষদিগের প্রবর্তিত সংস্কার তাছার প্রাণের অভ্যন্তরে মুল গাড়িতে পায় নাই—তাই তাহার স্বাধীন চেষ্টার, এরূপ শোচনীয় অবস্থ। অতএব ইহাতে আর সংশয়-মাত্র নাই ষে, মনুষ্যের চিরাগত পৈতৃক সংস্কার তাহার স্কোপার্জিত সংস্কারের ভিত্তি-ভূমি । মনুষ্য সেই চিরাগত পৈতৃক সংস্কারের হাত ধরিয়াই ধৰ্ম্ম-পথে চলিতে আরম্ভ করে— প্রাণের হাত ধরিয়াই জ্ঞানের পথে চলিতে আরম্ভ করে ;–পৈতৃক সংস্কারই মনুষোর প্রাণের অভ্যন্তরে মিশিয়া প্রাণ হইয়া দাড়ায় ; এবং সেই সংস্কার-রূপী প্রাণই নব প্রসূত জ্ঞানের ধাত্রী । মনুষ্য যদি প্রথমে আর প্রাণকে ছাড়িয়া থাকা—একই । নিশ্বাস । ধাত্রীর হস্ত ধরিয়া চলিতে না শেখে, তবে সে ক্রমাগতই হামাগুড়ি দেয়। পৈতৃক ংস্কার মনুষ্যের কর্তব্য কার্য্যের ভিত্তিমুল তাহাতে আর সন্দেহ মাত্র নাই ; কিন্তু শুধু ভিত্তিমূলে কিছুই হয় না। পৈতৃক সংস্কারের ভিত্তি-মুলের উপরে স্বোপার্জিত সং- , স্বারের গৃহ-প্রতিষ্ঠা করা কর্তব্য। পৈতৃক সম্পত্তিও এককালে কাহারো না কাহারে। স্বোপার্জিত সম্পত্তি ছিল ;–তাহ আমার । স্কোপার্জিত না হউক, আমার পিতার স্বো পার্জিত—পিতার স্বোপার্জিত না হউক্‌ পিতামহের স্বোপার্জিত—কাহারো না কাহারো স্কোপার্জিত তাহাতে আর ভুল নাই ; সৰ্ব্বাংশে না হউক—অন্ততঃ কতক অংশে স্বোপার্জিত। ধাত্রী যখন বালককে মানুষ করিয়৷ তুলিয়াছে, তখনও কি সে ধাত্রীর হাত ধরিয়া চলিবে ? তাহা হইতেই পারে না। ধাত্রীর কার্য ধাত্রী করিয়া চুকিয়াছে— এখন নিজের কার্যা নিজে করিতে হইবে । বালক কোকিলের ন্যায় পরভৃত ; তাছাকে অন্যে মনুষ করে । কিন্তু তাহার বয়স পাকিয়া উঠিলে ধাত্রীর কার্য্যটি তাহাকে নিজের হাতে টানিয়া লইতে হইবে—আপ