পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০8 নিয়ম সকল যখন অভ্যাস-গুণে তোমার প্রাণের মধ্যে বসিয়া যাইবে, তখন দেখিতে পাইবে যে, এখনকার জ্ঞান তখনকার প্রাণ ; দেখিতে পাইবে যে, এখন যাহা তুমি नूव হইতে জ্ঞান-নেত্রে অবলোকন করিতেছ তখন তুমি তাহা হাত বাড়াইয়া মুষ্টির মধ্যে পাইয়াছ । এই জন্য, প্রথম মন্তব্য কথা এই যে, জ্ঞান এবং প্রাণকে একতানে মিলিত করিয়া কৰ্ত্তব্য-পথে অগ্রসর হইতে হইবে। দ্বিতীয় মন্তব্য কথা এই যে, সাধন আমাদের নিজের হস্তে, সিদ্ধি ঈশ্বরের হস্তে । আমাদের কর্তব্য আমরা সাধন করিলে ঈশ্বরের দান ঈশ্বর দিবেন—ইহা একটি যৎপরোনাস্তি ধ্রুব, তৃত্ব । ঈশ্বরের মতে ঐশ্বৰ্ষা এবং ক্ষমতা আর কাহারো নাই—সমস্ত জগৎই ঈশ্বরের আজ্ঞাবহ ; ভয়াদস্যাগ্নিস্তপতি ভয়াভপতি সূৰ্য্যঃ ; ই হার ভয়ে অগ্নি প্রজ্বলিত হইতেছে—সুৰ্য্য উত্তাপ দিতেছে। তিনি জগতের মঙ্গল চান বলিয়া জগৎ তাহাকে ভয় করে ; পাছে প্রাণের প্রাণ মঙ্গলময় পরম পিতা এবং পরম স্বহৃৎ কোনো কিছুর ক্রটি দেখোন—এই ভয় ; – এ ভয় শাসনের ভয় নহে—ভক্তির ভয় । সাধনের সঙ্গে সিদ্ধি যোগ করিয়া দিবার জন্য—র্তাহারই আজ্ঞায় সমস্ত জগৎ ব্যস্ত রহিয়াছে । যেমন সাধন তেমনি সিদ্ধি—এ কথাটি শুধু কেবল পরীক্ষার কথা নছে—ইহা পরীক্ষার মূলের কথা ; সহস্র পরীক্ষ। এ কথার তিলমাত্রও অন্যথা করিতে পারে না । আমরা যদি স্বচক্ষেও দেখি যে, এক ব্যক্তি কাজ করিল অতীব উত্তম –ফল হইল অতীব মদ, তবুও আমরা মুক্ত কণ্ঠে বলিব যে, ভাল কাজের ফল কখনই মন্দ হইতে পারে না ; আমর বলিব যে, হয় অনুষ্ঠিত কার্য্যটির গোড়ায় এরূপ কোনো দোষ প্রচ্ছন্ন আছে, যাহা আমরা দেখিতে পাইতেছি না ; নয় তাহার তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । | |

  • १ कछ, ७ छन ।

ফল ফলিবার সময় এখনো উপস্থিত হয় নাই—দুয়ের এক । জগতের সর্বত্রই আমরা এই যে একটি অব্যভিচার ধ্রুব নিয়ম দেখিতে পাই যে, যেমন ক্রিয়া তেমনি প্রতিক্রিয়া-যেমন ঘাত তেমনি প্রতিঘাত,এ নিয়মটি কেমন স্থবিচার-সঙ্গত—কেমন স্বযুক্তি ংগত—কেমন জ্ঞান-সঙ্গত ! নিৰ্ব্বোণ মমুষ্যের বিচারে কত শত স্থলে এরূপ দেখিতে পাওয়া যায় যে, একগুণ আঘাত—দশগুণ প্রতিঘাত, ইহাতে কেবল এইটিই প্রকাশ পায় যে, মনুষ্য-জ্ঞানের খদ্যোত-জ্যোতি মোহ-তিমিরে আচ্ছন্ন | সৰ্ব্বজগতের মুলে একই অদ্বিতীয় জ্ঞানস্বরূপ নিয়ন্ত অবিচলিতরূপে বর্তমান – মোহ-অন্ধকার তাহার ত্রিসীমা স্পর্শ করিতে পারে না ; তাই অন্ধ জড় জগৎও জ্ঞান-সঙ্গত যুক্তি-সঙ্গত বিচারসঙ্গত নিয়মে নিরস্তর নিয়মিত হইতেছে । সমস্ত জড়জগৎ একবাক্যে এই নিয়মটি উচ্চৈঃস্বরে ঘোষণা করিতেছে যে, যেমন ক্রিয়৷ তেমনি প্রতিক্রিয়া—যেমন ঘাত তেমনি প্রতিঘাত, তাহার এক চুলও বেশী নহে—এক চুলও কম নহে। জড় পদার্থেরাই কি কেবল জ্ঞান-সঙ্গত যুক্তি-সঙ্গত এবং বিচার-সঙ্গত নিয়মে নিয়মিত হইবে ; আর, জ্ঞানবান মনুষেরাই কি কেবল অযুক্তি-সঙ্গত এবং অবিচার-সঙ্গত নিয়মে নিয়মিত হইবে—তাহ হইতে ষ্ট পারে না । নিয়মের অর্থই হ’চ্চে জ্ঞান-সঙ্গত নিয়ম— যুক্তি-সঙ্গত নিয়ম । যে নিয়ম অজ্ঞান-সঙ্গত অযুক্তি-সঙ্গত অবিচার-সঙ্কৃত, তাহা তো নিয়ম নহে—তাহ ঘোরতর অনিয়ম । যদি এরূপ নিয়ম করা যায় যে, একগুণ আঘাত —তাহার শতগুণ বা সহস্ৰ-গুণ প্রতিঘাত, তবে সেরূপ নিয়ম কখনই নিয়ম-শব্দের বাচ্য হইতে পারে না ; তাহা অনিয়ম অপেক্ষাও श्रनिग्नब-उठांश निम्नगबक यनिग्नय । खांन