পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

י ממשל איסוף ত্যাশা কর, বড়'র সহিত সেইরূপ ব্যবহার করিবে ; বড়'র নিকট হইতে যেরূপ প্রত্যাশা কর, ছোটো’র সহিত সেইরূপ ব্যবহার করিবে ; সমানের নিকট হইতে যেরূপ ব্যবহার প্রত্যাশা কর, সমানের সহিত সেই রূপ ব্যবহার করিবে । মৈত্রী করুণ এবং শ্রদ্ধ ভক্তি কৃতজ্ঞতা সমস্তেরই পাৱাপাত্র বিবেচনা ন্যায়ের উপরে নির্ভর করে ; এই জন্য সে সমস্ত সদগুণ ন্যায়েরই অভিব্যক্তি । ন্যায়কে অতিক্রম করিয়া মৈত্রীও ভাল নছে, করুণাও ভাল নহে, শ্রদ্ধা-ভক্তিও ভাল নহে । নায়ের আশ্রয় পরিত্যাগ করিলে মৈন্ত্রী অসৎসঙ্গে পরিণত হয়, করুণ অপাত্রে দান হইয়া দাড়ায়, আর, শ্রদ্ধা-ভক্তি এমন যে উৎকৃষ্ট সামগ্রী তাহাও গোড়ামি এবং অন্ধ ভক্তি হইয়া দাড়ায় । প্রকৃত করুণ। ন্যায়েরই প্রকার-ভেদ | পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি যে, জ্ঞান এবং প্রাণের মধ্যে কোনো অলজঘনীয় প্রাচীরের ব্যবধান নাই । এখন এইটি বুঝিয়া দেখা আবশ্যক যে, ন্যায় জ্ঞানেরই উচ্ছাস এলং করুণ। প্রাণেরই | উচ্ছস ; স্ব তরাং দুয়ের মধ্যে বাস্তবিক কোনো অলঙ্ঘনীয় প্রাচীর স্থান পাইতে পারে না । ঈশ্বরের নায় এবং করুণার উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করিয়া আমরা যদি | কর্তব্য-সাধনে সাধ্যানুসারে যত্নশীল হুই, তবে সিদ্ধিদাতা বিধাতা পুরুষ অবশ্যই আমাদিগকে সিদ্ধি প্রদান করিবেন ; তাহাতে আর সংশয়-মাত্র নাই । কিন্তু সে সিদ্ধি যে কিরূপ তাহা আমরা পূৰ্ব্ব হইতে অনুমান করিতে অধিকারীও নছি—অনুমান করিতে ইচ্ছাও করি না । কেহ হয় তো মনে করিতেছেন क्रेईद्र उँाझा:क शैद्रक क्रिrतन-त्रेश्वद्र उंছাকে স্থবৰ্ণ দিলেন ; কিসে যে, তিনি ষষ্টিতম সান্ধৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২s৭ ৷ স্থপর্ণ পাইবারই উপযুক্ত ও হীরক পাইবার অনুপযুক্ত, ক্রমে যত তাছার চক্ষু ফুটিবে ততই তিনি তাহা জানিতে পারিবেন। তাহার বিপরীতও হইতে পারে, এমনও হইতে পারে যে, তিনি মনে করিতেছেন ঈশ্বর তাহাকে সুবর্ণ দিৰেন—ঈশ্বর তাহাকে হীরক দিলেন । কোন ব্যক্তি যে কখন কিরূপ দানের উপযুক্ত, তাছা সে ব্যক্তি নিজে জানিতে না পারে—ঈশ্বর তাহ ধ্রুব-, রূপে জানিতেছেন । আবার এমনও হইতে পারে যে, আমরা ভাবিতেছি ঈশ্বর আমাদিগকে অমৃত দিবেন—তিনি আমাদিগকে হলাহল দিলেন ; রোগীর পক্ষে বিষবড়ি ষে কিরূপ মৃতসঞ্জীবনী স্বধ। তাছা রোগী ন৷ জানিতে পারে কিন্তু চিকিৎসকের তাহ। অবিদিত নাই । আমরা শুধু এইটি জানিয়াই নিশ্চিন্ত যে, আমাদের কৰ্ত্তব্য আমরা সাধন করিলে, ঈশ্বর যাহাই আমাদিগকে প্রেরণ করিবেন তাছাই আমাদের পরম মঙ্গল—ও তা হাই আমাদের একমাত্র মঙ্গল । ঈশ্বরের দান বলিয়াই সম্পদের যত কিছু মূল্য – নহলে সম্পদের মূল্য কি ? আমার একজন প্রিয়তম বন্ধু যদি আমাকে এত অধিক মণিরত্ন দান করেন যে, সেই বন্ধুর প্রেম অপেক্ষ। তাহার দান আমার নিকটে অধিকতর মূল্যবান হইয়া দাড়ায় তবে তাছার দান কি সমুলে ব্যর্থ হয় না ? ঈশ্বরের নিজের মূল্য তাছার দানের মূল্য অপেক্ষা অনন্ত গুণ অধিক—এ কথাটি যেন সৰ্ব্বদাই আমাদের মনে জাগরূক থাকে । তিনি— দিতেছেন বলিয়াই তাহার প্রদত্ত একটি ক্ষুদ্র বালুকণার মুলা সসাগর। পৃথিবীর ঐশ্বর্য অপেক্ষা ও অনস্তগুণ অধিক । তিনি দিতেছেন না—আমরা তাহার ভাণ্ডার হইতে চুরি করিয়া লইতেছি—এরূপ স্বোপার্জিত মুখ আগাগোড়াই দুঃখ । বাস্তবিকই