পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s . তত্ত্ববোধিনী পত্রিক 温 ساهه •२ कन्न, त्यो छोग ATTSMMMSMSMSAMMMMATATT AMSMS ee S AAASASASS - দেখা যায় যে, অযাচিত সুখ যাহা ঈশ্বরের হস্ত হইতে আইসে—তাহার আস্বাদ যেমন স্বমধুর এমন আর কোনো স্বখেরই নহে ; আর, ইহাও একটি কঠোর পরীক্ষার সিদ্ধান্ত যে, আত্ম-সুখের জন্য যে যত বেশী লালা য়িত সে ততই মুখে বঞ্চিত হয় । ... অতএব যদি সুখী হইতে ইচ্ছা কর তবে সুখের জন্য লালায়িত হইও না ; কর্তব্য কাৰ্য প্রাণপণে সাধন কর—উপযুক্ত সময়ে ঈশ্বর তোমার মস্তকে এরূপ পরমাশ্চর্যা সুখশান্তি বর্ষণ করিবেন যে, তোমার আত্মার অন্তরতম প্রদেশ হইতে আনন্দের সাগর উথলিয়া উঠিবে। ঈশ্বর আমাদের দেশে, জ্ঞান প্রাণ এবং কৰ্ম্মকে সৌহার্দ-সুত্রে গ্রথিত করিয়া আমাদের দেশের সকল দুৰ্গতি নিবারণের জন্য ব্রাহ্মধৰ্ম্ম রূপ স্বৰ্গীয় পথ উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন—সেই পথ অবলম্বন কর—সুখ দুঃখের জন্য চিন্তা করি ও না । সৰ্ব্বশক্তিমান প্রেমময় করুণাময় মাতা পিতা এবং সুহৃদের হস্তে তোমার চিরন্তন সুখ-সমৃদ্ধি । গচ্ছিত রহিয়াছে—তাহার জন্য কোনো চিন্তা নাই—কোন ভাবনা নাই । তাহার প্রবর্তিত ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পথ অবলম্বন করাই তোমার একমাত্র কার্য্য ; তাহাতে তোমার প্রাণ পরিতৃপ্ত হইবে, জ্ঞান পরিতৃপ্ত হইবে, এবং কার্য সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর হইবে ;–পরম পিত এবং পরম মাতার অমৃত ক্রোড় তোমার জন্য প্রসারিত রহিয়াছে ” _ جھی یہی لیے ہے পরে অতি শ্রদ্ধেয় উপাচার্য্য শ্ৰীমৎ প্রিয়নাথ শাস্ত্রী মহাশয় বেদী হইতে এই উপদেশ দিলেন । “মাঘোৎসবে সমাগত এই সকল সজ্জনগণের অনুরাগ ও আনন্দ পূর্ণ মুখস্ত্রীর মধ্যে এবং পত্র পুষ্প দীপোদগীর্ণ শূত্র আলোক அடி -_ _ _ாாயச_ ___ _ _ মালার মধ্যে এখন আমরা কাহার শ্ৰীসৌন্দর্ষ্য নিরীক্ষণ করিতেছি ? কাহার আনন্দ-জ্যোতি নিরীক্ষণ করিয়৷ এই উৎসব-ক্ষেত্র হাস্য ভরে ঢলিয়। পড়িতেছে এবং কাহার প্রেম-রস ভারে ভারাক্রান্ত হইয়া এই প্রাচীর মধ্যগত আকাশ টলমল করিয়া ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে ? তিনিই সেই জ্যোতিষাং জ্যোতিঃ র্যাহার জ্যোতিতে সমুদয় গ্ৰহ নক্ষত্র জ্যোতিৰ্ম্ময় এবং তিনিই সেই দেবতা যাহার প্রেম-রসে আর্দ্র হইয়া অনন্ত আকাশ ভারাক্রান্ত । ১১ মাঘের এই হাস্যময়ী রজনী সেই দেবতারই আরতির জন্য ধরণীতলে অরতীর্ণ । ইহার মহিম। যেমন দিগন্তব্যাপী ইহার আরাধ্য দেবতা তেমনিই অনন্ত বিশ্বের অধিপতি অনন্ত ব্রহ্ম। এই পৃথিবী স্বষ্টির আদি যুগে যখন অনন্ত ব্রহ্মের অনন্ত মহিমার বার্তা এখানে বিঘোষিত হয়, তখন পক্ষী ডাকিয়া উঠিল, নদী প্রবাহিত হইল, পুষ্প, চন্দ্র ও সূৰ্য্য চক্ষু মেলিল এবং যজ্ঞের অগ্নি গগন আচ্ছাদন করিল কিন্তু কেহই তাহাকে দেখিতে পাইল না । তবে তাহাকে দেখিল কে ? তাহাকে দেখিতে পাইল জ্ঞান প্র দে পরিশুদ্ধ সেই আরণ্যক ঋষিদিগের জাগ্রৎ আত্মা । এই ঋষিরা যখন হোম যজ্ঞাদি বাহ্য ক্রিয়াকলাপে আত্মার তৃপ্তিলাভ করিতে পারিলেন না ; যখন লোকপ্রদ দান ব্ৰতাদি ইষ্ট কৰ্ম্মের ফল অস্থায়ী বলিয়া তাহারা অনুভব করিতে পারিলেন ; যখন অগ্নি, বায়ু বরুণদেবতাকে এই অচেতন স্বষ্টির এক একটি প্রধান অঙ্গ বলিয়৷ হৃদয়ঙ্গম করিতে সক্ষম হইলেন; তখন সকল শক্তির মূল শক্তি, সকল কারণের মূল কারণ, এবং সকল জ্ঞানের মুল জ্ঞানের প্রতি র্তাহাদের অন্বেষণ পড়িয়া গেল । তাহাদের চিন্তাম্রোত গভীরতর অধ্যাত্ম প্রদেশে প্রধাবিত হইল। ধীবর যেমন গভীর সমুদ্র গর্ভে