পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: २ क४, s छाण . ২১৪ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা l ছুটিতেছে, কখনও কখনও কল্পনার বৃক্ষে হিমালয়ে ব্ৰহ্মপূজা | বসিতে যাই, জিজ্ঞাসা আমাকে তথায় এই সমস্ত বিষয় চিন্তা ও ধ্যান করিলে | এক তিলও তিষ্ঠিতে দেয় না, আবার সং शन श्ब्रि, शैौन्न ७ गंडौज़ रुझेश cन हे ठानন্তের দিকেই যাইতে চায়। তাই আমি ভাবিতেছি, ঈশ্বর আর কত দিন পরে তাহার অনন্ত সভার মধ্যে আমাকে ডুবাইবেন। ধৰ্ম্মের আশ্চৰ্য্য শক্তি ও বিমোহন প্রকৃতি, ধাৰ্ম্মিকের গভীর শোভা ও ভূমিষ্ট জীবনী কি মধুময়। প্রেমিক প্রেমে বিভোর ও আত্মহারা, আপনাকে যেন তিনি ভাগ ভাগ, খণ্ড খণ্ড করিয়া ইহকাল, পরকাল, ভূলোক, ছ্যলোকের সঙ্গে মিশাইয়া দিয়াছেন, তাই তাহার আত্ম ও পর পার্থক্য নাই, পাপী ও পুণ্যবান ভেদ নাই, জড়ে ও চেতনে ভিন্নতা নাই,যাহা দেখেন, তাহাই আপনার বলিয়া মনে করেন, যাহাকে দেখেন, তাহাকেই আলিঙ্গন করিয়া অমৃতাভিষিক্ত হন, তাই পরদুঃখে অতি কাতর ও পরপাপে অধীর । প্রেমিক চক্ষের জলে বক্ষ ভাসান ও সময়ে সময়ে কাতরোক্তি করিয়া নিজে কাদেন ও অপরকে কাদান । বিশ্বাসী সংসাররূপ বিশাল মরুর মধ্যে আশ্রয়হীন বিস্তৃত প্রান্তরের মধ্যে একটী অলড় ও আশাপ্রদ বৃক্ষ পাইয়। প্রফুল্লতার সহিত, ক্লান্তি দূর করিতেছেন, ব্যাকুল মাতৃহার শিশুর ন্যায় বাজ-তাড়িত উডডীন শুক পক্ষীর ন্যায় সত্রেীসে ও প্রাণের দায়ে আশ্রয় বৃথা অন্বেষণ করিতেছেন । যোগী গভীর জলবিহারী মীনের ন্যায়, পৃথিবী-বিহারী রসের ন্যায় নীরবে মহান ঈশ্বরের অনন্ত সত্তায় ডুবিয়া নিরাপদ হইতেছেন । ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আমি ক্ষুদ্র শুক হইতেও শিশু, তাহাতে আবার আমার প্রাণবিনাশের জন্য অবিশ্বাসবাদ আমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ সার মরুর ভাবময় আকাশে উড্ডীন হই, বহুদিন হইতে এ আকাশে উড়িতে উড়িতে ডান দুইটী শিথিল হইয়াছে, আর উড়িতে পারি না, কিন্তু নিম্নে সংসার-মরু দিন রাত অগ্নি উদগীরণ করিতে করিতে ঐ স্থানটুকু যাতনাময় করিয়া রাখিয়াছেন, | একবার পড়িলেই মারা পড়িব, এখন কি করি ? ইতিপূর্বে শুনিয়াছি ধাৰ্ম্মিকদিগের হৃদয়ে নাকি গভীর শোভা, প্রেমিকের নাকি অতীব স্থমিষ্ট, বিশ্বাসীরা নাকি নিরাপদ, তবে যাই একবার তাহাদের হৃদয়াকাশে ভ্রমণ করিয়া আসি, এই মনে করিয়া তাহাদের হৃদয়াকাশে যাইয়৷ উড়িতে লাগিলাম, কিন্তু বসিবার স্থান পাইলাম না, উড়িবার শক্তি বাড়িল কিন্তু আড়ম্বরের ঢঙ্কাতে কর্ণ বধির হইয়া গেল, সার কথা, কিছুই কর্ণে প্রবেশ করিল না ! ইহারা বসিবার জন্য ধৰ্ম্মমতের আসন পাতিয়া দিল, আমি পক্ষী জাতি, ব্রহ্ম-রূপ বৃক্ষকোটরে জন্ম, বৃক্ষে লালিত ও পালিত, বৃক্ষের সঙ্গে আমার প্রাণের টান, সেই প্রাণের বৃক্ষ মহাসত্তা সত্য স্বরূপ ঈশ্বর ভিন্ন কোথাও বসিতে প্রবৃত্তি হইল না ; কিন্তু দেখিলাম ইছাদের মধ্যে কেহ কেহ নিরাপদ বৃক্ষ পাইয়াছেন, কিন্তু কাহারই পাওয়াইবার শক্তি নাই। তারপর উড়িত্ত্বে উড়িতে উড়িতে একটি পরম সম্পদ ঋষিকল্প আড়ম্বরশুন্য তাপস হৃদয়ে যাইয়। উড়িতে লাগিলাম, তিনি আমার কাতরতা s নিরাশ্রয়তা পরিদর্শন করিয়া সস্নেহে বলিলেন, আসিয়াছ, বেশ ভালই ! তাহার সস্নেহ সম্ভাষণে আমার চক্ষে জল অtসিল, তাহার অমায়িক ভাব দর্শনে আমি