পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Շ57II Ֆեwծ 3 মোহিত হইলাম, তাহার বিশ্বাস, ও প্রেমের চিহ্নে আমি আশ্বস্ত হইলাম, মনে করিলাম, এখানেই বসি । এই ভা বিয়া বসিবার উপক্রম করিতেছি, এমন সময় প্রাণ বলিয়া উঠিল, না এখানে না । আর তিনি ও বলিলেন, আত্মাতে আত্মাকে দেখ, সেই প্রাণের প্রাণ আত্মার মূলে অবস্থিতি করিতেছেন, একমাত্র তাহাকেই অন্বেষণ কর । তবে এই ধৰ্ম্মরাজ্য ও ধাৰ্ম্মিকদিগের হৃদয়ধামে তোমার উপযোগী ও পরম উপাদেয় বিশ্বাস, জ্ঞান, প্রেম ব্যাকুলতা ও ভক্তি প্রভৃতি মহামূল্য রত্বগুলি ছিন্ন বিছিন্ন ভাবে ছড়াইয়া রহিয়াছে, যদি পার এই মহামূল্য বস্তু গুলি সংগ্ৰহ করিয়া লও, কিন্তু দেখি ও সাবধান! অপরের বস্তু নিজের বলিয়া মনে করি ও না, অপরের ভাব আপনার বলিয়া হৃদয়ে স্থান দিওনা, অপর সাধকের ভাবে নিজে ভাসিয়া ষাইও না । বিশ্বাস প্রভৃতি প্রত্যেক গুণগুলিই অল্পাধিক পরিমাণে সকলের মধ্যেই আছে, আর তোমার মধ্যেও আছে, যখন আত্মার মধ্যে সেই আত্মাকে দেখিতে পাইবে, তখনই বিশ্বা সাদি প্রবল হইয়া উঠিবে, যে সম্পদপূর্ণ রাজ্যে তুমি যাইতেছ সে রাজ্যের পথ অনেকেই বলিয়া দিতে পারেন, কিন্তু যাওয়াইতে কেহই পারেন না, তাহার কৃপাই তাহার রাজ্যে লইয়া যাইবে, তুমি একমাত্র তাহার কৃপার উপর নির্ভর কর, অনুসন্ধান কর, প্রার্থনা কর, নিরাপদ স্থান পাইবেঃ– "ব্রহ্মকুপাহি কেবলম্। r পাশনাশহেতুর্যে নতু বিচারবাগলম্।” তবে এখন তুমি যাও, আত্মাতে আত্ম। অনুসন্ধান কর। আমি বড় ক্লান্ত হইয়। পড়িয়াছি, আর আমার শত্রুদিগের আশ অনুরাগ & ব্ৰহ্মপূজা . . s > { | झाग्न बड़ उँौड इ३ब्राझि, कि २५¢ স্তু করি কি ? আশ্রয়বৃক্ষ ভিন্ন ভাবের আকাশে কত কাল উড়িয়া বেড়াই ? তাই আবার আমার পুরাতন গৃহে আসিয়া উপনীত হইলাম, আর আত্মার মূলে আত্মাকে দেখিতে কৃতসঙ্কল্প হইলাম । - জড়-রাজ্য স্থ।ধ স্নাধ অমিয়-সুধLজড়িত বিভোর, প্রস্ফটিত হই_হই_করিতেছে, কার অনুরাগের ঠানে যেন ফুটিয়াও ফুটিতে পাইল না, প্রাণের কথা খুলিয়া বিস্ময়ময় জগতের প্রকৃত অর্থ বলিতে প্রয়াস পাইতেছে, আর কে যেন মুখ চাপিয়া ধরিতেছে, কার ডাকে যেন যাই যাই করিয়াই


- - --4 - د - مسیحr= = صے ۔ --> مدد سے بہ تق=

--ബ=അമ്മ- -

ছুটিতেছে, আর কে যেন পশ্চাৎদিক হইতে তাহার গতিরোধ করিতেছে, এই রূপ আকাঙক্ষাবিহীন ভাব, স্বাধীন-চিন্তাবিহীন জ্ঞান, উচ্ছাসবিহীন প্রেম, আর ইচ্ছা-বিহীন শোভার আধার হইয়া অনন্ত অভিপ্রায়ের সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। জড় জগৎ পরমাণুতে পরমাণুতে জ্ঞান, শোভায় শোভায় অনিৰ্ব্বচনীয়তা, সৌরভে প্রীতি, বিচিত্রতায় নিপুণতা, শৃঙ্খলায় উপযোগিতা এবং উপযোগিতায় দয়া, মঙ্গল ও ন্যায়ের চিহ্নে চিহ্নিত হইয়া স্বষ্টিকৰ্ত্তার মঙ্গলময় অভিপ্রায় প্রকাশ করিতেছে। জড়-জগতের বিশেষ চিহ্ন সে অপরের অভিপ্রায় । সে যেন কার সৌন্দর্য্যে ডুবিয়া আত্মহার হইয়াছে আর কার অভিপ্রায়ের মধ্যে এমন ভাবে আত্ম-সমৰ্পণ করিয়াছে ষে, সে নিজের জন্য অণুমাত্রও রাখে নাই, তাই জড়-জগতের বিশেষ চিহ্ন স্বষ্টিকর্তার অভিপ্রায় । মানবের জীবন আকাঙ্ক্ষাময় জিজ্ঞাসাপূর্ণ। মুখ থাকুক আর না থাকুক,স্বখের বাৎসল্য আছে। জ্ঞান থাকুক আর না,