পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د لا۶اد sTخ ব্ৰহ্মপূজা ২১৭ থায় ? এই বিষাক্ত অস্ত্র মোক্ষণের অস্ত্রাগার কোথায় ? কেহ কেহ সাধু-হৃদয়কে শোক দুঃখ ও বিষাদের অস্ত্রমোক্ষণের অস্ত্রাগার বলিয়৷ স্বীকার করিল। আমার বোধ হয়, প্রথম অস্ত্রাগারে আগুন না লাগিলে অস্ত্রমোক্ষণের আর অন্য স্থান নাই। সে যাহা হউক, মনুষ্য হৃদ য়ের যে স্তরে যাই, প্রত্যেক স্তরই আ- । কাঙক্ষণ-উন্মুখ ও জিজ্ঞাসাময়। জড়ের বি- : শেষ চিজু, বিশেষ লক্ষ্য ও বিশেষ আবরণ অভিপ্রায়, আর চেতনের বিশেষ চিহ্ন, বিশেষ লক্ষ্য ও বিশেষ আবরণ অাকাঙক্ষ । এখন আমি করি কি ? আমার এক দিকে অভিপ্রায় আচরণ ও অভিপ্রায় প্রাণ প্রকৃতি, অপর দিকে আকাঙ্ক্ষা আবরণে আবৃত আকাঙক্ষাময় প্রাণ-মানব । শোভা আছে, সৌন্দর্য্য আছে, আর তাহার মধ্যে মনোমুগ্ধকারী রমণীয়তা আছে । এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে আমার মন টানে ও রমণীয়তায় আমাকে তাহার দিকে যাইতে ইঙ্গিত করে, কিন্তু ধরা ছোয়া দেয় না । যতই ধরিতে যাই, ততই যেন সে পশ্চাৎ দিকে ছুটিয়া পলায়, ডাকিয়া অদৃশ্য হয়, সে যেন আমার সঙ্গে বালকের মত ক্রীড়া করে। কিন্তু আমি তাহা বুঝিয়াও বুঝি না, জানিয়াও জানি না । শোভা ! তুমি কার দূর ? তুমি আমার কাছে আসিয়া উকি ঝুকি মার, আমি ছুইতে যাই আর তুমি পলায়ন কর। বিচিত্ৰত ! তুমি কোন রাজার জয়-পতাক ? এত চেষ্টা করিলাম, তোমার আদরনিহিত সন্দর্ভ পরিষ্কাররূপে পড়িতে পারিলাম না, যতই তোমার নিকটে যাই, ততই তুমি তোমার বিচিত্রতার মধ্যে বিলীন হও । অভিপ্রায় ! তুমি কার? তুমি অতি নিপুণতার সহিত বিচিত্রতার | কিন্তু । আদি সৌন্দর্য্য মসীতে নিস্তদ্ধতার ভাষায় শিব-সঙ্কল্প অখণ্ড ছন্দোবন্ধে কি বলিতেছ? কার সংবাদ আমার নিকট প্রচার করিতেছ ? অার কোন রাজভবনের তুমি ? আমি যাহা চাই, তাহাকে তুমি দিতে পার ? অার সাধ্য নাই। তুমি যে তোমার মধ্যেই ডুবিলে ! তবে ডুব, আমিও যাই । আমি তোমার মধ্যে ডুবিয়া অমূল্য রত্ন সংগ্ৰহ করিতে যাই, তোমার গর্ভনিহিত স্পর্শমণি স্পর্শ করিয়া কৃতকৃতাৰ্থ হইতে চাই, কিন্তু তুমি আমাকে তথায় যাইতে দেওনা । বিচিত্ৰতার চিরচঞ্চল বিচিত্ৰ-মালায় আমার প্রাণ কাড়িয়া লয়, আমি আত্মহারা হইয়া যাই, তুমি আমাকে ভাগ ভাগ, খণ্ড খণ্ড করিয়া প্রকৃতির । তোমার সৌন্দর্য্য মধ্যে মিশাইয় ফেল, আমার অস্তিত্ব বিলুপ্ত করিয়। ফেল, আমি দিশাহারা হইয়া যাই । সংসার আমাকে অকুল পাথরে ডুবাতে চায়। সে আমার মনুষ্যত্ব কাড়িয়া লইতে উদ্যোগ করে, তুমি আমাকে তোমার সৌন্দর্য্য-সাগরে ডুবাইতে চাও । এবার তোমাকেও ছাড়িব, সাংসারিকতাকেও ছাড়িব, তোমরা উভয়েই আমার পরম শক্র । সে চায় আমাকে তোমার পোষা পার্থী করিয়া রাখিতে । আমি সাংসারিকতারও বলের উপকরণ নই, তোমারও পোষাপার্থী নই, আমি সেই শোভার ভাণ্ডার পরম শোভায় যাইব, আমি আত্মস্থ হইয়া সেই বিশ্বময়কে দেখিব । ভাবিতে ভাবিতে দিন চলিয়া গেল, জ্ঞানালোচনাতে অনেক মস্তিষ্ক ব্যয় করিয়াছি। সাধুদিগের অনুসরণে অনেক সময় যাপন করিয়াছি, প্রকৃতির মধ্যে স্বাভাবিক শোভায় মুগ্ধ হইয়া অনেক দিন কাটাইয়াছি, আর না। এখন আত্মস্থ