পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • २ कन्न: ७ छां★

হইতে চেষ্টা করিব। এই সময়ে আমি নির্জনে বসিয়া অনন্ত আকাশের অনন্ত ক্রীড়া, সমুদ্রের গাম্ভীৰ্য্য ও হিমালয়ের অতুল সম্পদের বিষয় চিন্তা করিতেছিলাম। ইহার সকলেই আমাকে মুদিত নয়নে প্রাণপথে কি যেন দেখিতে বলিয়াছিল। আর তাহারা যেন বিরক্ত হইয়া অতি গাম্ভীর্য্যের সহিত বলিতেছিল, কি ছাই দেখিয়াছ ? যদি দেখিবে, তবে ঐ দেখ অন্তরে । কৃতি অনন্ত নয়ন বিস্তার করিয়া সতৃষ্ণ নয়নে আমার অন্তরের দিকে চাহিয়া র মাত্র । এদিকে আমার আকাঙক্ষণ অামাকে আমার ঘরে লইয়া আসিল, ব্রহ্মজিজ্ঞাসা দেখিলাম, তাহ বড় আশাপ্রদ নহে । απmυπ απημα মন্ত্র সাধন । মন্ত্র উচ্চারণ আমাদিগের পরম উপকারী। স্নান করিবার সময় যদি এই মন্ত্র আমরা উচ্চারণ করি যে “জলেতে অমৃত, জলেতে ভেষজ” তাহা হইলে সেই মন্ত্র মনের উপর প্রভাব নিয়োগ করিয়া স্নানের উপকারিত্ব বৃদ্ধি করে। অন্ন আহারের সময় যদি আমরা এই মন্ত্র উচ্চা রণ করি যে “অন্ন কি শুভ্র ও পবিত্র বস্তু । উহ ঈশ্বরের অনুগ্রহপ্রেরিত” , তাহ হইলে ঐ মন্ত্র মনের উপর প্রভাব নিয়োগ এই বলিয়া সমগ্র প্র- | করিয়া ক্ষুধা ও অন্নাহারের উপকারিত্ব বৃদ্ধি করে। যদি প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগের সময় আমরা এই মন্ত্র উচ্চারণ করি “কি সুনিপুণ তোমার লেখনী” তাহ। হইলে ঐ মন্ত্র উচ্চারণ প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগের স্থখ বৃদ্ধি করে। দুইটি মন্ত্র দ্বার। আমরা সকল দুঃখ ও ক্লেশ পরাজয় করিতে পারি কিন্তু প্রথম একবার মাত্র উচ্চারণ করিবার সময় আমরা উক্ত মন্ত্রদ্বয় হইতে উপকার পাই না । ঐ মন্ত্র ক্রমাগত সাধন না করিলে উহ। н হইতে উপকার পাই না। হিল। আর অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া ঐ ঐ ; বলিয়া দেখাইয়া দিল । এই যে প্রকৃ- | তির অস্ফুট ধ্বনি, ইহা তাহার অভিপ্রায় । অনেক দিন ক্রমাগত সাধন করিলে তাহার পর যখনই আমরা তাহা উচ্চারণ করিব তখনই তাহ। হইতে উপকার প্রাপ্ত হইব । সে মন্ত্রদ্বয় এই “ঝেড়ে ফেল,বেড়ে ফেল, শীঘ্র ঝেড়ে ফেল” আর “উঠ, উঠ, শীঘ্ৰ উঠ।” আত্মার গভীরতর প্রদেশ হইতে গভীরতম | প্রদেশে লইয়া চলিল, স্থতরাংই আমি । বাধ্য হইয়া আমার গৃহে আসিয়া পৌছি- ; উপর নামিয়াছে । লাম ও নিমীলিত নেত্রে আত্মার মধ্যে । প্রবেশ করিলাম, আমার আত্মাতে যাহা । যখন মনে দুঃখ উপস্থিত হয় তখন স্পষ্টই বোধ হয় যেন একটি ভার মনের যদি আমরা ঐ সময়ে “ঝেড়ে ফেল, ঝেড়ে ফেল, শীঘ্র ঝেড়ে ফেল” এই মন্ত্র উচ্চারণ করি তাহা হইলে ঐ দুঃখভার উন্মোচিত হয়—কিন্তু প্রথম বার উচ্চারণ মাত্র উহার ফল আমরা প্রাপ্ত হই না। অনেক দিন ঐরুপ বলা ও সেই অনুসারে কার্য্য অভ্যাস করিতে হয় অর্থাৎ ঐ মন্ত্রের সাধন করিতে হয় তাহা হইলে উহার ফল স্পষ্ট অনুভূত হয়। তাহ হইলে আমরা স্পষ্ট অনুভব করি যে মন যথার্থই দুঃখ ঝেড়ে ফেলিল ও লঘু হইল ও আরোগ্য লাভ করিল। দুঃখ ক্লেশ মন হইতে ঝাড়িয়া ফেলিলে তাহার পর যদি আমরা এই মন্ত্র উচ্চারণ করি যে “উঠ, উঠ, শীঘ্ৰ উঠ” তাহা হইলে আমা, । দ্বিগের মন যেখানে উঠা উচিত সেই খানে উঠিতে সমর্থ হয় কিন্তু প্রথমবার এই মন্ত্ৰ ,