পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ল’ ” হিন্দুশাস্ত্রানুসারিণী মুক্তি ও তৎসাধন । ఫిషిని উচ্চারণ করিলে আমরা ফল প্রাপ্ত হই না। অনেক দিন ঐরূপ বলা ও তদনুসারে কার্য্য অভ্যাস করিতে হয় অর্থাৎ ঐ মন্ত্রের সাধন করিতে হয় তাহা হইলে উহার ফল স্পষ্ট । অনুভূত হয় । দুঃখ ক্লেশ ঝাড়িয়া ফেলিয়া প্রেমরূপ নিকেতনে উত্থিত হইতে হয় তাহা হইলে ; আমরা বাকৃপথাতীত আনন্দ প্রাপ্ত হই । ঐ প্রেমরূপ নিকেতন স্বৰ্গলোকে নিত্য- | কাল অবস্থিত। উহা মনুষ্য-হস্ত দ্বারা নিৰ্ম্মিত নহে। ঐ প্রেমরূপ নিকেতন চৌতালা । সৰ্ব্বোচ্চ অর্থাৎ চতুর্থ তল ঈশ্বরপ্রেম, তৃতীয়তল পরলোকগ্রেম, দ্বিতীয় তল প্রকৃতিপ্রেম, ও প্রথম তল মনুষ্যপ্রেম । আরোহণ করিবার সময় যেমন ক্রমে ক্রমে উঠিতে হয় সেইরূপ প্রণালী বর্তমান কার্য্যে অবলম্বন করিলে হইবে না। অা তুার এমন ক্ষমতা আছে যে সে একেবারে চতুর্থ তলে উঠিতে পারে। চতুর্থ তলে উঠিয়া তথাকার বর্ণনাতীত ঐশ্বৰ্য্য উপভোগ করিয়া ক্রমে ক্রমে তৃতীয় দ্বিতীয় ও প্রথম তলে নামিলে যাহার পর নাই অানন্দ পাওয়া যায় । ঈশ্বরের প্রতি প্রীতি ও মনুষ্যের প্রতি প্রীতি বিষয়ে এই পত্রিকায় অনেক লেখা হইয়াছে অতএব এই স্থলে সে বিষয়ে লিখিবার প্রয়োজন রাখে না। আর দুইটি প্রীতির কথা আবশ্যক। এই দুঃখময় সংসারে পারলৌকিক স্তখের অাশা আত্মার নঙ্গর স্বরূপ । ধৰ্ম্মের এক অঙ্গ ঈশ্বরে বিশ্বাস, আর এক অঙ্গ পরকালে বিশ্বাস । অমৃত লাভের নিশ্চয়তা মনকে যেমন সুখী করে এমন অন্য কিছু নহে। প্রকৃতি দেবী অাপনার মুখশ্ৰী পুনঃ পুনঃ পরিবর্তন করিতেছেন কিন্তু প্রত্যেক পরিবর্তনই বিশেষ সামান্য চারিতালা বাটীতে । 6छ् न । সৌন্দর্য্য ধারণ করে । মনুষ্যের হৃদয় পরিবর্তিত হইতে পারে কিন্তু প্রকৃতির সোঁন্দর্য্য কখনই হইতে পারে না। প্রথমতঃ ঈশ্বরে মনকে উঠাইয়া যদি পরলোকের শোভা ও সৌন্দর্য্যের ছবি মনে চিত্রিত করি, তৎপরে চতুর্দিকস্থ প্রকৃতির বর্তমান শোভা কবিত্ত্বোস্থল নয়নে নিরীক্ষণ করি এবং তৎপরে সকল মনুষ্যের প্রতি প্রীতি ভাবের উদ্রেক করিয়া সকল মনুষ্যকে প্রীতির নয়নে দেখি ও তাহাদিগের হিতকর কার্য্যে প্রবৃত্ত হই তাহা হইলে আনন্দের আর অবধি থাকে না । অভ্যাস দ্বারা অতি শীঘ্র শীঘ্র এই আরোহণ অবরোহণ কাৰ্য্য সম্পাদন করা যাইতে পারে। . শেম কালে অভ্যাস দ্বারা এমন হইয়া যায় যে উক্ত আরোহণ ও অবরোহণ কাৰ্য্য এক কালে সম্পাদিত হয় । ইহার নাম সৰ্ব্বযোগ ৷ ধন্য সেই ব্যক্তি যাহার এই কয়টি মন্ত্রসাধন ও এই অতুল্য সর্বযোগ অভ্যন্ত হইয়াছে। جھے نہیے۔ হিন্দুশাস্ত্রানুনারিণী মুক্তি ও তই সাধন । মনুষ্যের সৰ্ব্বোচ্চ কার্য্য শ্রদ্ধা ভক্তি ও প্রীতি দ্বারা ঈশ্বরকে লাভ করা । জীব পরমেশ্বরে ভক্তিযুক্ত হইয়া জ্ঞানযোগে র্তাহাকে দর্শন করিলে সংসার-পাশ (মায়ার বন্ধন) হইতে মুক্ত হয় । গীতার টীকা সমাপন কালে শ্ৰীধর স্বামী বলিয়া

  • ভগবদ্ভক্তিযুক্তস তং প্রসাদাত্মবোধ তঃ । , সুখং বন্ধবিমুক্তি: স্যাদিতিগীতাৰ্থসংগ্ৰহ ।”

“গীতার সংক্ষেপ অর্থ এই যে ਭਗবস্তুক্তিযুক্ত জীব তাহার প্রসাদজাত আত্ম