পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२० তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १२ कन्न, ७ छात्र বোধ হইতে সুখে বন্ধন বিমুক্ত হয়” এই শ্লোকের অর্থের দ্বারা এইরূপ বুঝা যাইতেছে যে, জীব ভগবানে ভক্তিযুক্ত হইলে তাহার প্রসাদে আত্মজ্ঞান লাভে মায়ার বন্ধম হইতে সুখে মুক্ত হয়। যতকাল জীব ঈশ্বরকে ভক্তি পূর্বক ভজনা করিয়া জ্ঞানযোগে তাহাকে দর্শন করিতে না পারিবে, ততকাল তাহার মুক্তি নাই । অতএব মুক্তির জন্য ব্রহ্মজ্ঞানের আবশ্যক তদ্ভিন্ন মুক্তির অন্য পথ নাই । এই সম্বন্ধে পূজনীয় আর্য্য ঋষিগণ এইরূপ বলিয়াছেন, "সংসারোত্তরণে জন্তোরুপায়ে জ্ঞানমেব হি। তপোদানং তথ তীর্থমনুপায়াঃ প্রকীৰ্ত্তিতাঃ ॥ С (যোগবাসিষ্ঠ ) “একমাত্র জ্ঞানই (ব্রহ্মজ্ঞান) জীবের সংসার হইতে মুক্তি প্রাপ্তির মহোপায় । তপস্যা, দান, তীর্থাদি পৰ্য্যটন ইহার প্রকৃত পথ নহে।” ' * মুক্তির কথা বলিতে গিয়া শ্রীতি এই রূপ বলিয়াছেন 屿中 যশ্চায়মস্মিন্নাকাশে তেজোময়োহমুতময়ঃ পুরুষঃ সৰ্ব্বানুভূ: যশ্চায়মস্মিন্নাত্মনি , তেজোময়োহুমুতময়ঃ পুরুষঃ সৰ্ব্বানুভূঃ । তমেব বিদিত্বাতিমৃত্যুমেতি নান্যঃ পস্থা বিদ্যতে হয়নায় ।” “এই অসীম আকাশে যে অমৃতময় জ্যোতিৰ্ম্ময় পুরুষ যিনি সকলি জানিতে- | ছেন ; এই আত্মাতে যে অমৃতময় তেজোময় পুরুষ, যিনি সকলি জানিতেছেন ; সাধক কেবল র্তাহাকেই জানিয়া মৃত্যুকে অতিক্রম করেন—তদ্ভিন্ন মুক্তি প্রাপ্তির আর অন্য পথ নাই।” W. গীতায় আছে— w তেষাং সততযুক্তানাং ভজতাং প্রীতি পূৰ্ব্বকং | দদামি বুদ্ধিযোগং তং যেন মামুপযান্তিতে | “যাহার নিত্য যুক্ত হইয় প্রীতি পূর্বক আমায় (ঈশ্বরকে) ভজনা , করে, h. | করিবার জন্য আর্য্য নহে । তাহাদিগকে আমি (ঈশ্বর) সেইরূপ বুদ্ধি । যোগ দান করি যাহা দ্বারা আমাকে (ঈশ্বরকে) প্রাপ্ত হয় ।” মুক্তি সম্বন্ধে শ্রুতিস্মৃতিমূলক এইৰূপ অনেক উপদেশ আছে। র্যাহারা শ্রদ্ধা পূর্বক আর্য্যধৰ্ম্মশাস্ত্র পাঠ করেন, তাহারা তাহা দেখিতে পান । ঈশ্বরকে লাভ জাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্রে যেরূপ উপদেশ আছে, তদ্রুপ উপদেশ অন্য কোন জাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্রেতে নাই । ফলত ভগবানকে নিত্য প্রীতি পূৰ্ব্বক ভজনা করিলে সাধক ভগবৎকৃপায় সম্বুদ্ধি প্রাপ্ত হইয়৷ তদ্বারা তাহাকে লাভ করিতে পারে। সেই জন্য মনুষ্যের নিত্য ঈশ্বরোপাসনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন ও কর্তব্য । বেদে কথিত আছে যে “উপাসনা ব্যতীত মুক্তির আর অন্য পথ নাই।” এই উপাসনা পরাৎপর পরমেশ্বরকেই করিতে হইবে । “আত্মানমেব প্রিয়মুপাসীত” । শ্রীতি বলিতেছেন যে, পরমাত্মাকেই প্রিয় রূপে উপাসনা করিবে । এই যে ঈশ্বরোপাসনা তাহা কেবল মুখের কথা অন্তরে প্রেম ভক্তির টান না থাকিলে ঈশ্বরোপাসনা হয় না । এবং তদ্বারা ভগবানকে পাওয়া যায় না । ভক্তির লক্ষণ এই “অত্যন্তানুরক্তিরীশ্বরে ভক্তিঃ” অর্থাৎ যদ্বারা পরমাত্মাতে মনের একাগ্রতা জন্মে তাহার নাম ভক্তিযোগ । “যা প্রীতিরবিবেকানাং বিষয়েম্বনপায়িনী। স্বামনুস্মরতঃ সা মে হৃদয়ান্নাপসৰ্পতু ” হে ঈশ্বর ! অজ্ঞানী ব্যক্তিদিগের | অনিত্য বিষয়ে যেরূপ অনপায়িনী প্রীতি জন্মে,তোমাকে স্মরণ করিতেছি যে আমি, আমার যেন তোমার প্রতি সেইরূপ : অচলা প্রীতি থাকে, কখনও যেন অন্তঃ