পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮

88 গতির্ভর্তা প্রভু; সাক্ষী নিবাসং শরণং সুহৃৎ । প্রভবঃ প্রলয়স্থানং নিধানং বীজ মব্যয়ং ॥ তিনিই এক মাত্র পরম প্রীতির আস্পদ অপর কেহ নহে । অতএব বিশেষ সাবধানতার সহিত কুসংস্কার হাতব্য । যাহারা এই সর্বসম্মত ও সর্বোৎকৃষ্ট তত্ত্ববোধিনী পত্রিক প্রণালী ক্রমে ব্রহ্মোপাসনায় প্রবৃত্ত তা- , ছেন তাহারা ধন্য । সৰ্ব্ব জগতের একমাত্র ঈশ্বর, সৰ্ব্ব মনুষ্যের একমাত্র পিত! মাতা আমাদের হৃদয়কে নিজাভিমুখে অাকর্ষণ করুন যাহাতে আমরা সৰ্ব্ব বাসনাত্যাগ করিয়া তাহাকে প্রাপ্তিরূপ চির শান্তি ও অক্ষয় সুখ ভোগ করিতে পারি ইহাই একাগ্রচিত্তের প্রার্থনা । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ॥ বৈদান্তিক-ব্রহ্মজ্ঞান । বেদান্তরা প্রথমে শিঘ্যদিগকে নৈত্যিক (মাহ। প্রতিক্ষণে হইতেছে) বৈষয়িকজ্ঞানের প্রণালী উপদেশ করেন, বুঝান, পশ্চাৎ ব্রহ্মজ্ঞান করেন বা বু ব্যান । তাহাদিগের অভিপ্রায় এই যে, তঃসিদ্ধ মানবীয় জ্ঞান কিম্বিধ প্রণালীতে ৎপন্ন হয়, উপদেশ কত প্রকার, এ সকল না জানিলে, না বু {. १२ कब्र, २ टाँन . বেদান্ত মতে মানবীয় জ্ঞানের প্রথমতঃ । দুই মুখ্য বিভাগ প্রদর্শিত আছে। অনুভূতি ও স্মৃতি। অনুভূতি ও অনুভব তুল্য কথ। এবং স্মৃতি ও স্মরণ তুল্য কথা । এই छूझे মুখ্য বিভাগের অবান্তর বিভাগ ভ্রম ও প্রমা। এই দুই মুখ্য বিভাগ লৌকিক ভাষায় ক্রমান্বয়ে মিথ্যা ও সত্য নামে ব্যবহৃত বা উল্লিখিত হইয়া থাকে । বস্তুতঃ তাহার অবস্থা বা বিভাগ । বিলে, বিচারোৎপাদ্য ব্রহ্মজ্ঞান আয়ত্ত । ও উৎপাদন করা যায় না। যে ব্যক্তি স্বতঃ সিদ্ধ নৈত্যিক বিষয়িক জ্ঞানের প্রণালী ও গতি বুঝে না, জানে না, সে ব্যক্তি বিচারোৎপাদ্য ব্রহ্ম-জ্ঞানের অনধিকারী । বেদান্তাদিগের এই অভিপ্রায় বজায় রাখিয়া, বৈদান্তিক ব্রহ্মজ্ঞান বুঝাইবার পূর্বে, প্রথমতঃ আমরা বেদান্তমতের নৈত্যিক জ্ঞানের বা নিত্যানুভূত বিষয়িক..জ্ঞানের প্রণালী ও বিভাগ বর্ণন করিব । মানবগণের ভ্ৰমাত্মক অনুভব, প্রমাত্মক অনুভব, ভ্ৰমাত্মক স্মৃতি ও প্রমাত্মক স্মৃতি হইতে দেখা যায়। এই দুই বিভাগ সমান সমালোচ্য ও সমান অনুসন্ধেয় হইলে ও বেদান্তারা প্রথমে প্রমা জ্ঞানেরই স্বরূপ অনুসন্ধান ও নির্ণয় করিয়া থাকেন । তাহাদের অভিপ্রায় এই যে, প্রমা কি ? কিম্বিধ জ্ঞানের নাম প্রমা ? এতথ্য নিশিচত হইলে বা l -f. _ an o- ニュー 4-3 تک ــ ـ، ت=ڈ۔ مة التخييم = a তাপন৷ হইতেই নিশ্চিত বা স্থির হইবে । ـه ضجه صعصصك তা প্রম। ご *l সুতরাং সকাগ্রে প্রমান্তোমই বিবেচ্য । স্মৃতি বিভাগ বাদ রাখিয়া, কেবল মাত্র আলুভব বিভাগীয় প্রমা বুঝিতে হইলে, এইরূপে বুবিবে। — “যে জ্ঞান অনধিগত ও অবাধিত বস্তু অবগাহন করে, বা তানগাহন পূৰ্ব্বক উৎপন্ন হয়, সেই জ্ঞানই অনুভব বিভাগীয় প্রমা ।” আর স্মৃতি ও অনুভব, উভয় সাধারণ | প্রমা বুবিতে হইলে, “যে জ্ঞান অবাধিত বস্তু অবগাহন করে, সেই জ্ঞানই প্রমা,” এইরূপে বু ঝিতে হইবে । অর্থাৎ “অনধিগত” বিশে যণটা ত্যাগ করিলেই প্রমাসামান্তের আকার স্থির হইবে । বিবরণ—উপরোক্ত সূত্রভূত কথার বিবরণ এইরূপ—জ্ঞান-নির্দোষ-ইন্দ্রিয়-সংযুক্ত বস্তু যৎস্বরূপ, ঠিক তৎস্বরূপ বা তদা কার মনোবৃত্তি (মনে ইন্দ্রিয় সংযুক্ত বস্তুর ছবি হওয়া) অনধিগত-যাহ পূৰ্ব্বানুভূত