পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8N) তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २२ कन्न, २ टांग প্রণালী যথা—কালের কোন রূপ (রং) না থাকিলেও কাল ইন্দ্রিয়বেদ্য, ইহা অনেক পণ্ডিতের স্বীকার অাছে। সেই স্বীকার অনুসারে, ইন্দ্রিয়-জনিত-মনোবৃত্তিরূপ জ্ঞান যখন যে-বস্তু অবগাহন করে বা গ্রহণ করে, তখনই সে তদবচ্ছিন্ন বা তদ্বিশিষ্ট (তৎসঙ্গে) ক্ষণাদিরূপ সূক্ষ কালকেও অবগাহন করে, গ্রহণ করে। ইহাতে বেশ বুঝা যাইতেছে যে, ধারাবাহী জ্ঞানের প্রথম জ্ঞানটা প্রথম-ক্ষণ-বিশিষ্ট ঘটকে অবগাহন করিয়াছিল এবং দ্বিতীয়াদি জ্ঞানগুলি দ্বিতীয়াদিক্ষণবিশিষ্ট ঘট গ্রহণ করিয়াছিল। ঘট এক হইলেও যেমন শ্বেত ঘট, রক্ত ঘট, পীত ঘট, এইরূপে ভিন্ন, তেমনি, । প্রথমক্ষণান্বিত ঘট, দ্বিতীয়ক্ষণান্বিত ঘট, তৃতীয়ক্ষণান্বিত ঘট, যদি বিভিন্নই হইল, তাহা হইলে আর معام দ্বিতীয়াদি জ্ঞানের বিষয় (অবগাহ্য ঘট) । অধিগত বা পূৰ্ব্বানুভূত বলিয়া গণ্য হইল না, সুতরাং প্রথমোক্ত প্রমালক্ষণের তাব্যাপ্তি দোষও (লক্ষ্যে লক্ষণ না যাওয়া) হইল না । বিস্তার—উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত কথার বিস্তার এইরূপ—কখন কখন এমন হয়, কোন এক জ্ঞান দীর্ঘকাল ব্যাপিয়া বিরাজিত থাকে। সে দীর্ঘ জ্ঞান কখন আপন৷ ঐরূপে বিভিন্ন । । আছে । আপনি কখন বা ইচ্ছাবলে সেরূপ স্থায়ী । হয়। দেবচিন্তক, ঈশ্বরোপাসক, ভাবুক, শোকমগ্ন, প্রেমমগ্ন, এইরূপ এইরূপ লোককে প্রায়ই ইচ্ছা পূর্বক স্বীয় ভাব্য বিষয়ক জ্ঞানকে দীর্ঘ বা স্থায়ী করিয়া রাখিতে দেখা যায়। এইরূপ দীর্ঘ জ্ঞান সম্বন্ধে অনেকে অনেক প্রকার মত প্রচার করিয়া থাকেন। কেহ বলেন, তাদৃশ দীর্ঘ (লম্বা) বা স্থায়ী জ্ঞান এক জ্ঞান নহে, তাহা জ্ঞানপীরা । অর্থাৎ তাহা | W উত্তরোত্তর সংলগ্ন বহু জ্ঞান। ইহারই অন্য নাম ধারাবাহী জ্ঞান। ঘট বিষয়ক ধারাবাহিক জ্ঞানের আকার এইরূপ “ঘট ঘট ঘটু ঘট—।” এক প্রযত্নে অনেকগুলি ঘটজ্ঞান শীঘ্ৰ উৎপন্ন হইয়া শীঘ্ৰ সংলগ্ন হইয়া যায় বলিয়াই উহাদের মধ্যবৰ্ত্তিচ্ছেদ অনুভূত হয় না, সুতরাং একটীর ন্যায় দেখায় অর্থাৎ এক বলিয়া বোধ হয়। অতএব ধারাবাহি জ্ঞানের মধ্যে যে জ্ঞানটা প্রথম, সেইটী ভিন্ন অন্য সমস্ত গুলিই প্রমালক্ষণে অব্যাপ্ত অর্থাৎ প্রমা লক্ষণে লক্ষিত হয় না। ভাবিয়া দেখ, প্রথমোৎপন্ন জ্ঞান যে ঘট অবগাহন করিয়াছে, পুনর্বার সেই ঘটই দ্বিতীয়াদি জ্ঞানের বিময় হইতেছে সুতরাং দ্বিতীয়াদি জ্ঞান অধিগত বিষয়-বিষয়ক হইল, অনপিগত বিষয়-বিষয়ক হইল না । অনধিগতবিষয় বিষয়ক না হওয়াতেই তানধিগতঘটিত প্রমালক্ষণ দ্বিতীয়াদি জ্ঞানে থাকিল না । অথচ সে সকল জ্ঞান প্রমা মধ্যে গণ্য । এ সম্বন্ধে যে প্রণালী অবলম্বন করিতে হয় সে প্রণালী এই—ধারাবাহি জ্ঞান পরপর সংলগ্ন বহুজ্ঞান হইলেও তদন্তর্গত দ্বিতীয়াদি জ্ঞানে নিম্নলিখিত প্র কারে প্রথমোক্ত প্রমালক্ষণের সমন্বয় যথা—প্রথমতঃ কালের ইন্দ্রিয়বেদ্যতা স্বীকার কর । কোনরূপ রূপ না থাকিলেও কাল ইন্দ্রিয়-বেদ্য । ছয় ইন্দ্রিয়ের দ্বারাই কালজ্ঞান হইয়া থাকে । কেমন করিয়া ? তাহ বিবেচনা কর । অনুস্বার ও বিসর্গ যেমন পৃথক্ উচ্চারিত হয় না, কোন একটা বর্ণের যোগ ব্যতীত উচ্চারিত হয় না তেমনি, কালও ইন্দ্রিয়বেদ্য বস্তুর যোগ ব্যতীত পৃথক অনুভূত হয় না । যখন যে ইন্দ্রিয় যে-বস্তু গ্রহণ করে, তখন সেই ইন্দ্রিয় সেই বস্তুর সঙ্গে