পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه د لا قgrff বৈদান্তিক-ব্রহ্মজ্ঞান 8 - - r - - - -- -- স্বক্রিয়াবচ্ছিন্ন কালকেও গ্রহণ করে। “এখন ঘট আছে’ ইত্যাকার জ্ঞানের “এখন” অংশটুকু কালবিষয়ক ঐন্দ্রিয়ক জ্ঞান, ইহা অবশ্ব স্বীকার্য্য। যখনই তুমি চক্ষুঃ দ্বারা ঘট দেখিয়াছ, তখনই তৎসঙ্গে স্বক্রিয়াৰচ্ছিন্ন কালকেও দেখিয়াছ । যে পৰ্য্যন্ত ঘটে চক্ষুঃ সংযোগ বিদ্যমান থাকে, সে পৰ্য্যন্ত কাল স্বক্রিয়াবচ্ছিন্ন নামে খ্যাত । চক্ষুঃ যদি ঘটের সঙ্গে স্বক্রিয়াবচ্ছিন্ন কালকে না দেখিয়া থাকে, তাহা হইলে, *এখন” এতদ্রপ কালবোধক অংশ বা জ্ঞান কোথা হইতে আসিল ? কে উৎপা- ৷ জন্মিল, সে বৃত্তি, পটাকার অথবা অন্য দন করিয়া দিল ? অতএব, বিবেচনা করা উচিত, ঐ স্থলে চক্ষুই ঐ জ্ঞান উৎপাদন করিয়াছে, অন্য কেহ করে নাই । কালের রূপ নাই, রস নাই, শব্দ নাই, স্পর্শ নাই, তজ্ঞস্য কাল দেখা যায় না, শুনা যায় না, এ সকল প্রবাদ বা এ সকল নির্ণয় অস্বাতন্ত্র্যমূলক ভিন্ন অন্যমূলক নহে । অর্থাৎ কাল রূপে অনুভবগম্য হয় না । ইন্দ্রিয়গুহীত কালের উক্ত প্রকার ইন্দ্রিয়বেদ্যত অঙ্গীকার করিলে অবশ্যই ধারাবাহী জ্ঞানের আন্তর্গত দ্বিতীয়াদি জ্ঞানের বিষয় গুলিকে অর্থাৎ বিভিন্ন-ক্ষণ-বিশিষ্ট বিভিন্ন ঘট পর পর গুলিকে অনধিগত বলিয়া গণ্য বা অঙ্গীকার করিতে পার। কেন না, দ্বিতীয়ক্ষণাম্বিত ঘট দ্বিতীয় জ্ঞানেরই বিষয়, তাহ প্রথমে জ্ঞানে অধিগত হয় নাই। যে ঘট প্রথম জ্ঞানে অধিগত হইয়াছে, সে ঘট প্রথমক্ষণান্বিত ঘট, সুতরাং সে ঘট দ্বিতীয় জ্ঞানের অধিগত নহে। ঘট বস্তু এক হইলেও যেমন শ্বেতঘট পীতঘট এবস্তপ্রকারে রূপে ভিন্ন, তেমনি ঘট বস্তু এক হইলেও প্রথমাক্ষণান্বিত ঘট, দ্বিতীয়ক্ষণান্বিত ঘট, এবশুপ্রকারে বিভিন্ন । একই বৃত্তি ; নানা বা বহু নহে । মনোবৃত্তির স্থায়িত্ব সম্বন্ধে নিয়ম এই যে, যে পৰ্য্যন্ত স্ববিরোধ বৃত্তি অর্থাৎ অন্যরূপ পৰ্য্যন্ত বিনষ্ট হইবে না। অনুসারে ঘটধারাবাহি বুদ্ধি স্থলে যে সুদীর্ঘ ঘটাকারাবৃত্তি বিরাজিত থাকে, তাহা একই বৃত্তি ; তেমনি, তাবৎকালস্থায়ী তৎপ্রতিফলিত অনুস্বার বিসর্গের ন্যায় স্বতন্ত্ররূপে বা পৃথক । LL এই বিভিন্নতা অবলম্বন করিয়াই প্রদর্শিতপ্রকারে লক্ষণদোষ নিবারণ করা যাইতে পারে । এ সম্বন্ধে বেদান্ত সিদ্ধান্ত, ধারাবাহিক জ্ঞান একই জ্ঞান ; পর পর সংলগ্ন বহুজ্ঞান নহে। যে পৰ্য্যন্ত ঘটরাপ বিষয়ের স্ফুরণ থাকে সেই পর্য্যন্ত ঘটাকারা মনোরভি ংপন্ন বৃত্তি উৎপন্ন না হয়, সে বৃত্তি সেই পৰ্য্যন্ত বিরাজিত থাকে। ঘটাকারে মনোবৃত্তি কোন প্রকার মনোবৃত্তি উৎপন্ন না হওয়া এই নিয়ম বহু নহে । যেমন বৃত্তি এক, (ঘটাকার মনোবৃত্তিতে প্রতিবিম্বিত) চৈতন্য রূপ জ্ঞান ও এক , অর্থাৎ ধারাবাহিক জ্ঞান এক জ্ঞান ; বহুজ্ঞান নহে। এই সিদ্ধান্তই সৎসিদ্ধান্ত, এসিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে ধারাবাহিক জ্ঞানে অবশ্যই প্রমালক্ষণ লক্ষিত হইবেক সুতরাং অবাপ্তি দোষ নিবারিত থাকিবেক ঃ বলিতে পার, বেদান্ত মতে এসকল কিছুই সত্য নহে, ঘট পট, সমস্তই মিথ্যা । ঘট যদি মিথ্যাই হয়, তবে অবশ্যই তাহ বাধিত ; বাধিত হইলে, “যে জ্ঞান অবাধ ত পদার্থ অবগাহন করে, সেই জ্ঞানই প্রমা”

  • - -
  • লক্ষ্যে লক্ষণ না গেলে দ্যায় ভাষায় তাহাকে অব্যাপ্তি বলে। স্থল কথা এই যে লক্ষণ সমস্ত লক্ষ্যব্যাপক হওয়া চাই। ধারাবাহী জ্ঞান প্রমামধ্যে গণ্য তজ্জন্য তাহা লক্ষ্য, লক্ষণ তাহাকে স্পর্শ করিতেদিল না, কাযেই অব্যাপ্তি দোষ হইতে দিল । ".