পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" তত্ত্ববোধিনী প্ৰ ७२ कन्न, २ ७१ों ত্রিকা এলক্ষণ একবারে অসম্ভব হইয় পড়িল এবং ঘটজ্ঞান প্রমা না হইয় অপ্রমামধ্যে নিবিষ্ট হইল। ঘট জ্ঞান কেন, কোনও জ্ঞান প্রমা হইল না । ইহার প্রত্যুত্তর এই যে, ঐ সকল বাধিত সত্য ; ঘটও বাধিত সত্য ; কিন্তু সংসার দশায় বাধিত নহে । ব্ৰহ্মজ্ঞান না হওয়া পর্য্যন্ত, এ সমস্তই অবাধিত বলিয়া গণ্য । যখন ব্রহ্মতত্ত্ব বা আত্মতত্ত্ব সাক্ষাৎকার হইবে তখন এ সকল বাধিত বা মিথ্যা হইবে । ঐন্দ্রজালিক মায়ার ন্যায় অসত্য বলিয়া স্থির হইবে । ইহাই বেদান্ত সিদ্ধান্ত । এ সম্বন্ধে বেদান্তবাক্য যথা—“যখন এ সকল আত্মপৰ্য্যবসিত হয়, অর্থাৎ ব্রহ্মদশীর আত্মভূত হয়, তখন সে কি দিয়া কি দেখিবে ?” দ্বৈততুল্য হয় অর্থাৎ আমি, আমার, (6 যখ F ইত্যাদিবিধ কল্পিত ভেদবুদ্ধি থাকে, তখ- ; নই জীব অন্য হইয় পরিচ্ছিন্ন বুদ্ধির দ্বারা ভিন্ন প্রায় হইয়া, ভিন্ন ভিন্ন দর্শন বা আলুভব করে।” এই দুই শ্রীতি বলিতেছেন, আত্মঘাথার্থ্য সাক্ষাৎ-অনুভূত না হওয়৷ পর্য্যন্ত সংসার দশায় সমস্ত ব্যবহার্য্য তা বাধিত । অতএব সংসারা জাবের সংসার দশার প্রম। কিরূপ তাহ। বুঝাইবার জন্য । যে, প্রমা লক্ষণ বল হইয়ছে, তদগত আবাধিত শবেদর বিরক্ষিত অর্থ সংসারদশায় অবাধিত। ফলিতাৰ্থ অর্থ এই যে, সংসার দশার যে-জ্ঞোন, সংসারদশার তাবাধিত পদার্থ অবগাহন করে, সেই জ্ঞানই সংসারদশায় প্রমা। এই লক্ষণই সম্পূর্ণ লক্ষণ । এ লক্ষণ সৰ্ব্বত্র ব্যাপ্ত ; কোথাও অব্যাপ্ত নহে। যতকাল আত্মসাক্ষাৎকার না হইবে, | ততকালই এইরূপ প্রমা, প্রমার উৎপাদক প্রমাণ, তন্নিষ্ঠ প্রামাণ্য, এইরূপ এইরূপ সমস্তই ব্যবহার অলুপ্ত থাকিবেক, সত্য বলিয়া গৃহীত হইবেক, কোনও ব্যবহার না, ঈশ্বরই তাহার অাদর্শ। mu un মিথ্যা বা লোপপ্রাপ্ত হইবেক না। অর্থাৎ ইহা মিথ্যা হইলেও কেহ ঐ সকলকে মিথ্যা বলিয়া বুঝিবেক না । এ সম্বন্ধে তত্ত্বদশী আচার্য্য বলিয়াছেন, যতকাল অত্মনিশ্চয় না হয়, আমি কি, কিংস্বরূপ, তাহা স্থির না হয় ; ততকাল - দেহাত্ম জ্ঞানের ন্যায় এ সকল জ্ঞান প্রমাণ অর্থাৎ লৌকিক ঘট পটাদি জ্ঞান প্রমা বলিয়া গণ্য প্রমা বা সত্যজ্ঞান নিনীত হইল । এক্ষণে তাহার জনক বা উৎপাদক কে ইহা বলিতে হইবেক। কিরূপে উক্ত লক্ষণ প্রমা উৎপন্ন হয়, কে উৎপাদন করে ? উৎপাদক অনুসারে উহার কত প্রকার বিভাগ বা শ্রেণী নির্বাচিত হইতে পারে ? এক্ষণে এই সকল বর্ণিত হইবেক । ক্রম প্রকাশ্য । ব্রাহ্মের আদর্শ। প্রচলিত ধৰ্ম্মাবলম্বীগণের অাদর্শ কোন না কোন মালুম বা কাল্পনিক জাব, কিন্তু ব্রাহ্মের আদর্শ ব্রহ্ম । যদিও বাইবেলে উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে যে ঈশ্বরের ন্যায় পূর্ণতা লাভ করিতে চেষ্টা কর, তথাপি কাৰ্য্যতঃ খ্ৰীষ্টীয়ানগণ খ্ৰীষ্টকেই আদর্শ রূপে গ্রহণ করেন । মুসলমানগণ মহম্মদকে, বৌদ্ধগণ বুদ্ধদেবকে এবং প্রচলিত হিন্দু ধৰ্ম্মালম্বীগণ স্ব স্ব উপাস্য দেবতাকে আদর্শরূপে গ্রহণ করেন । ব্রাহ্ম কোন মানুষকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করেন পরকালে -== =ബ്

  • এখন অর্থাৎ সংসার দশায় দেহকে আমি বলিয়। জানিতেছি । ইহা আমাদের ভ্রম সত্য ; কিন্তু তাহা জানিয়াও জানিতেছি না, বুঝিয়াও বুঝিতেছি না। সুতরাং এ অবস্থায় দেহাত্মজ্ঞান আমাদের নিকট অপ্রমা বলিয়া গণ্য নহে ; প্রত্যুত প্রমা বলিয়া গণ্য। ঘটাদি জ্ঞানকে ও ঐরূপ জানিবে !