পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4ο তত্ত্ববোধনী পত্রিকা ' =ംബ - তির কার্য্য-পর্যালোচনা করিবে, ঈশ্বরের চিন্তা করিবে, তাহার উপর আমরা কত দূর নির্ভর করি তাহ উপলব্ধি করিবে, দুই । সন্ধ্যা প্রার্থনা করিবে এবং যখনই ভক্তিভাব হৃদয়ে আবিভূত হইবে তখনই তাহার উপাসনা করিবে । ঈশ্বরের নিকট আমরা সুখ চাহি না তথাপি তিনি আমাদিগকে সুখ প্রেরণ করিতেছেন এবং তিনি আমাদিগের হৃদয়গ ত নিৰ্ম্মল নিঃস্বার্থ প্রার্থনা সকল পূর্ণ করিতেছেন, ইহা উপলব্ধি করিয়া তাহার প্রতি কৃতজ্ঞ হইবে । কল্পনা হইতে ইন্দ্রিয়চরিতার্থতা সম্বন্ধীয় অপবিত্র চিন্তা সকল দূর করিবে । দ্বিতীয়তঃ, মানসিক উন্নতি সাধন নিমিত্ত এই নিয়ম পালন করিবে সে যখন মে বিময় জানিবার জন্য কৌতুহল হইবে তখনই সেই বিসরের সমস্ত তত্ত্ব জানিবার জন্য উপায় অবলম্বন করিলে । ইহার জন্য কেবল গ্রন্থ অধ্যয়ন করিবে না, নিজে গাঢ় রূপে তদ্বিষয়ে চিন্ত৷ করিয়া তৎসম্বন্ধে জ্ঞান বৃদ্ধি করিবে । শান্তিবারি দিয়া শোকে বিহবল, পাপে । মলিন, দীন হীন সন্তানকে তোমার মহাসিংহাসনের পার্শ্বে দাড়াইবার উপযুক্ত কর । আমাদের বল নাই, আশা নাই, ভরসা নাই। তুমি যে বল দিয়াছিলে i ন্তির সমাধি রচনা করিয়াছি । ক্ৰন্দন মাত্র সম্বল । তৃতীয়তঃ শারীরিক উন্নতি সাধন জন্য তা- ৷ হার ও পানে অপরিমিতাচার বর্জন করিলে, ' প্রত্যহ অন্ততঃ তিন ঘণ্ট। বিশুদ্ধ বায়ু সেবন ও শারীরিক পরিশ্রম করিবে, প্রত্যহ ছয় ঘণ্টাকাল বা যতক্ষণ তোমার পক্ষে স্বাস্থ্যকর ততক্ষণ নিদ্র। যাইবে । এইরূপে শরীর মন ও তা হার এককালীন উ:তি সাধন করিবে । এই উন্নতি সাধনই প্রকৃত ঈশ্বরোপাসনা । كي প্রার্থনা । সংসারের পাপ তাপ মোহে জরজর হইয়া—সদায়ের নিদারুণ যন্ত্রণা সহিতে ন। পারিয়। — প্রাণের ক্রন্দন জানাইবার জন্য আমরা তোমার চির-উদঘাটিত ভূয়ারের সম্মুখে উপস্থিত হইয়াছি ; একবিন্দু আলোক নিভাইয়। সংসারের ছলনা-অন্ধকারে মুগ্ধ হইয়া সে বল কোথায় হারাইয়া ফেলিয়াছি । এখন অবসন্নহীদয়ে কাতর প্রাণে করুণামৃত লাভ করিবার জন্য ভিখারী-বেশে তোমার দুয়ারে দাড়াইয়া আছি । অবনত মস্তক উন্নত করিয়৷ তুলিবার আর সামর্থ্য নাই— পঙ্কিল কার্য্যক্ষেত্রের মধ্যে জালনের শা এখন মৃত্যু ধীরে ধীরে আমাদিগকে সত্য হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়৷ মিথ্যার পামাণ স্ত,পে আবদ্ধ করিয়াছে। সেই চির-ধ্রুব অটল আশ্রয় छ्ॉक्लिब्ब|ভূলোক ছালোকের প্রতিষ্ঠাভূমি ছাড়িয়—সেই ভূমানন্দ পরিপূর্ণপ্রেম ছাড়িয়া—বালক আমরা বুঝিবার দোষে হলাহল-সাগরে ডুবিয়াছি ; দয়াময় ! আমাদের কি উদ্ধার নাই ? হৃদয়ে সত্যের দিয়া আমরা এই বিশাল স্বষ্টির মধ্যে আশ্রয় খুজিয়। বেড়াইতেছি—প্রাণের মধ্যে, তাত্মার মধ্যে সতত যে মহান আশ্রয় রহিয়াছে অন্ধ l | কারে তাহ দেখিতে পাই না । হতাশচিত্তে মৃতু্যকে আশ্রয় বলিয়া আলিঙ্গন করি—তাহার তাপরেীষ্ঠের সাদর-সম্ভাষণী হাসিতে একেবারে মুগ্ধ হইয়া পড়ি । তখন পাপকেই সুখ বলিয়া ভ্রম হয়— মিথ্যার চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিয়া মনে করি, তোমারই প্রিয় কাৰ্য্য সাধিত হইল । এখন দেখিতেছি মৃত্যু আমাদিগকে তাহার পদসেবায় নিযুক্ত করিয়াছে—হিম মৃত্যুর সম্পর্শে আমরা জরজর ।