পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-اے سے এখন আর প্রাণে উৎসাহ নাই—হৃদয়ে আশা নাই । মিথ্যার উপাসনা অামাদিগকে নরকের পথে টানিয়াছে। অামাদের পানে বিভীষিকা তীব্র দৃষ্টিতে তাকাইতেছে। তোমার প্রসন্ন মুখ পা পমলিন হৃদয় আর অনুভব করিতে পারে না । তোমার’ নামে সে অন্ধকারে লুকাইতে চায়—জানে না যে অন্ধকারের মধ্যে ও মাতার স্নেহ-তাখি জাগিয়া থাকে। এই ঘে মুক্ত আকাশ—এই যে প্রাণপূর্ণ বিশ্ব ইহা তাহার নিকট বিভাষিক । এতদূর নামিয়াছি যে মাতার নামে শিহরিয়া উঠি । কানা কানি, দ্বেষ, হিংসা ও পরনিন্দার মধ্য দিয়া আমরা পাপের রাজ্যে প্রবেশ করিয়াছি । কিন্তু তোমার সন্তান হইয়৷ পাপের পদসেবায় জীবন অতিকরিব কিরূপে ? তামাদের মঙ্গলের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া তুমি আমাদিগকে পাপের মধ্যে পুণ্য, বিমাদের মধ্যে শান্তি, উচ্ছ স্বলতার মধ্যে সংযম শিক্ষা দিয়াছ । আমাদের মঙ্গলের জন্যই পাপের রাজ্যে কণ্টক বন স্বষ্টি করিয়াছ । বনে ক্ষতবিক্ষ ত হইয়। এখন তোমার শরণাপন্ন হইয়াছি—নাথ ! তোমার পুণ্য স্পর্শে পবিত্র কর । সন্তান আজ ভিখারীবেশে মাতার দুয়ারে দাড়াইয়—মায়ের সম্মুখে ও জড়সড় সঙ্কুচিত ভাব। প্রসন্নমুখে তুমি আমাদিগকে ক্রোড়ে আহবান করিতেছ— মলিন হৃদয় লইয়া তোমার ক্রোড়ে যাইতে সাহস হইতেছে না। তুমি মার্জন করিয়া আমাদিগকে সাধু শিক্ষা দিবে জানি—জানি, কঠোর পীড়ন তোমার উদ্দেশ্য নহে—অমঙ্গলের ছায়ার মধ্য দিয়৷ তুমি মঙ্গলের পথে লইয়া যাও, কিন্তু ছদ্মবেশী মোহের ছলনায় এখনও ভুলিয়া Y বাহিত سرحد مت 1 ভক্তত্ৰহলাদ আমরা ; (oS আছি—এখনও জড়তা পরিত্যাগ করিয়া তোমার সন্নিধানে মুক্ত কণ্ঠে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে পারিতেছি না। পদে পদে দুর্বল হৃদয় চমকিয়া উঠে । তোমার শান্তিনিকেতনেও সে পৃথিবীর ধূলি বহিয়া আনে । দয়াময় ! রক্ষণ কর—নহিলে মোহ বন্ধনে জীবন অবসান হয় । পাপে মোতে আমরা ডুবিয়াছি। তামাদের উদ্ধাব করিবার কাহারও ক্ষমতা নাই তোমার করুণাই আমাদের জীবন | আমার তোমার আদেশ শতবার লঙ্ঘন করিয়াছি--মার্জনা করিয়া তুমি আমাদিগকে উন্নত শিক্ষা দিয়াছ। তুমিই অামাদিগকে রোগে, শোকে, সম্পদে, বি পদে চিরদিন রক্ষা তাই করিতেছ। আজ দিনান্তে পাপতাপে জরজর হইয়া তোমারই দুয়ারে তাশ্রয় লইতে আসিয়াছি—তুমি আমাদের কল্যাণ বিধান করিতেছ—তুমি আমাদের কল্যাণ বিধান সেই কণ্টক । রোগীকে : তাহীদেরই প্রাপ্য, যাহারা কর । ভক্ত প্ৰহলাদ । অক্সিতেই যাহাদের পুরুদার্থ ব্রহ্ম বহির্বিষয়ে নিমগ্ন সেই সমস্ত দুরাশয় তাহাকে কখন জানিতে পারে না । অন্য অন্ধ দ্বারা নীয়মান হইয়া যেমন গর্ভে প্রত্যুত এক অন্ধ পতিত হয় সেইরূপ এই সকল লোক বেদোক্ত কাম্য কৰ্ম্মে বদ্ধ হইয়া অন্ধকারে গমন করে । যাবৎ বিষয়াভিলাষশূন্য মহত্তম ব্যক্তিদিগের শরণাপন্ন না হয় তাবৎ এই সকল লোকের বুদ্ধি শ্রুতিবাক্য দ্বারা ব্রহ্ম জ্ঞাত হইলেও কখনও অসম্ভাবনা ও কখন বা বিপরীত ভাবনা দ্বার। বিহত হয় এবং ইহা কদাচ তাহার