পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(?२ চরণ স্পর্শ করতে পারে না । ফলত মহত্তম ব্যক্তির অনুগ্রহ ব্যতীত তত্ত্বজ্ঞান ও তজনিত মোক্ষ ও হয় না । এই বলিয়া প্ৰহলাদ তুষ্ণাস্তাব অবলম্বন করিলেন । তখন দৈত্যপতি হিরণ্যকশিপু ক্রোধে । অন্ধপ্রায় হইয়া তাহাকে ক্রোড় দেশ হইতে ভূতলে বলপূর্বক ফেলিয়া দিলেন এবং রোমরক্ত লোচনে কহিতে লাগিলেন, ঘাতকগণ শীঘ্ৰ ইহাকে বাহিরে লইয়া যা ও এবং শীঘ্রই ইহার প্রাণসংহার কর । যখন এই দূরাত্মা আত্মীয় স্বজন সকলকে পরিত্যাগ করিয়া দাসবৎ বিষ্ণুর পদসেবা করিতেছে তখন এ অবশ্যই অামার বধ্য । যদি একজন পর ও ঔষধের ন্যায় হিতকারী হয় তবে সেইই পুত্র, আর ঔরস পুত্রও যদি ব্যাধির ন্যায় অহিতকারা হয় তবে তাহাকে পরই বলিয়। জানিবে । ইহা ও তো দূরের কথা সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে একটা যদি আপনার আনিস্টকর হয় তবে তাহ ছেদন করিয়। - - --তত্ত্ববোধনা-পত্রিকা-– । ফেলিবে, কারণ উহ। ছিন্ন হইলে অপর । তোমার এই রূপ দুশ্চিন্তার বিষয় আমরা গুলি সুখে জীবিত থাকিতে পারে । মুনির পক্ষে দুষ্ট ইন্দ্রিয় যেমন শত্র সেইরূপ এই দুর ত্ত আমার ছদ্মবেশী শত্ৰু, অতএব যে কোন ও উপায়ে হউক ইহাকে বধ কর । - দৈত্যপতির আদেশমাত্র তাম্রশাশ্র্য তাত্মকেশ বিকটদ ও বিকটমুখ ঘাতকের মার মার রবে শূলহস্তে উপস্থিত হইল । এবং প্রহ্নাদের মৰ্ম্মস্থলে সুতীক্ষ শূল বিদ্ধ করিতে লাগিল । তখন তাহার চিত্তনিবিবকার অনির্দেশ্য বিশ্বাত্মা ব্রহ্মে সমাহিত । ব্রহ্মতেজে শূলপ্রহার ব্যর্থ হইয়। গেল । তখন দৈত্যপতি অত্যন্ত শঙ্কিত হইলেন এবং অন্যান্য উপায়ে প্ৰহলাদকে ”-- र”१” ?” ?” श्वन्छु अिन নষ্ট করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু তাহার সকল প্রযত্বই বিফল হইল । এইরূপে যখন তিনি সেই নিষ্পাপ পুত্রের প্রাণবধে কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিলেন না তখন অত্যন্ত চিন্তিত হইয়া কহিতে লাগিলেন আমি ইহাকে অনেক অসাধু বাক্যে ভৎসনা করিয়াছি, বিবিধ উপায়ে বধের চেষ্টা করিয়াছি কিন্তু এ স্বতেজে তাহা হইতে অব্যাহতি পাইয়াছে । এই বালক আমার অদূরে দণ্ডায়মান কিন্তু নির্ভর । কিছুতেই ইহার ভাসঞ্চার হইতেছে না। আশ্চৰ্য্য, মৃত্যু ও ইহার ত্রিসীমায় যাইতে সাহসী নয় । ইহার প্রভাব নিতান্ত অপরিময় । এই বালকের সহিত বিরোধ করিয়া নিশ্চয় আমাকেই মরিতে হইবে । এইরূপ দুশ্চিন্তায় তিনি অধোমুখে নেন সমস্ত অন্ধকার দেখিতে লাগিলেন । এই অবসরে দৈত্য গুরু শুক্রের পুত্র নির্জনে তাহাকে কহিলেন দানবরাজ, তুমি সর্বববিজয়ী, তোমার ভ্রভঙ্গীতে ভয় না করে এমন কেহই নাই । সুতরা কিছুই দেখি না । আর দেখুন বালকদিগের কার্য্যে গুণ দোস গ্রহণ করা উচিত নয়। এক্ষণে তুমি প্রহ্নাদকে গৃহে বদ্ধ করিয়া রাগ । যেন কোনরূপে কোপা ও পলাইয়া না যায়। দেখ পুরুষের বুদ্ধি বয়সে ও সাধুসঙ্গে সমীচীন হইয়। থাকে । তখন দৈত্যপতি গুরুপুত্রের কথায় সম্মত হইয়া কহিলেন ভালই; তবে তোমরা ও ইহাকে গৃহী রাজার ধৰ্ম্ম শিক্ষা দে ও । অনন্তর প্রহলাদ ধৰ্ম্মার্থকাম এই ত্রিবর্গে উপদিষ্ট হইতে লাগিলেন কিন্তু যাহার রাগদ্বেষের বশীভূত হইয়া বিষয়ে বিচরণ করেন ঐ সমস্ত শিক্ষা তাহাদের