পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(b তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

  • २ कग्न, २ छात्र

S SAAAS AAAASSMSASACCTMMSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS SHH ভক্তি করেন, যেহেতু র্তাহার প্রতি ভক্তিযোগ “অনর্থোপশমমৃ,” সকল অনর্থের প্রশমন, সে ভক্তি থাকিলে আর সংসারে প্রতিনিবৃত্ত হইতে হয় না। অতএব যাহাদিগের গতি মতি ঈশ্বরে দৃঢ় হয় নাই, বিষয়-কামনা হইতে পাপ প্রলোভন হইতে যাহারদিগের চিত্ত এখনও বিমুক্ত হয় নাই, তাহারা একান্তে র্তাহার শরণাপন্ন --w , ജ=- -- - -- - - ■ হইতে, তাহার পথের পথিক হইতে, কায়মনে উদ্‌যুক্ত হউন, তদৃভিন্ন শ্রেয়োলাভের আর সম্ভাবনা নাই | ঈশ্বর এমনি দয়াময় যে পাপ তাপে তাপিত ব্যক্তি যদি পাপ জন্য অনুতাপ করিয়া তাহার নিকট ক্রন্দন করে, তিনি তাহার পাপভার হরণ করেন, তাহাকে শুভমতি প্রদান করেন, তাহাকে নব জীবন দিয়া কৃতার্থ করেন। তিনি সাধু অসাধু সকলকেই আপনার মঙ্গল ছায়া দান করিবার জন্য ব্যগ্র রহিয়াছেন। অতএব আইস, মঙ্গল যাহার নাম, মঙ্গল যাহার কার্য্য, র্যাহার উপাসনা অশেষ মঙ্গলের নিদান, সেই উপাসনাতে আমরা এক্ষণে প্রবৃত্ত হই। ng mgA উপদেশ । পরাঞ্চি খানি ব্যতৃণং স্বয়স্তৃস্তস্মাৎ পরাঙ পশুতি নান্তরাত্মন । ঈশ্বর ইন্দ্রিয় সকলকে শব্দাদি বহিবিষয় প্রকাশের নিমিত্ত স্বষ্টি করিয়াছেন, এই জন্য ইন্দ্রিয় সকল অনাত্মা শব্দাদি বিষয়ই দেখে, অন্তরাত্মাকে দেখিতে পায় না । এই কাঠশ্রুতিতে ইন্দ্রিয়ের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ও ঈশ্বরে নিবৃত্তির কথা বর্ণিত হইয়াছে। বৃহদারণ্যক ইন্দ্রিয়ের এই দুই প্রকার প্রবৃত্তিকে রূপকচ্ছলে দে জয় হইয়া থাকে। বতা ও অস্থররূপে নির্দেশ করিয়াছেন। | বাক চক্ষু মন প্রভৃতির শাস্ত্রনিয়মিত কৰ্ম্ম ও জ্ঞান বিষয়ে যে প্রবৃত্তি তাহা দেবতা এবং উহাদের স্বাভাবিক কৰ্ম্ম ও জ্ঞান বিষয়ে যে প্রবৃত্তি তাহা অসুর। এই দেবাস্থর যুদ্ধে অস্থরের দেবতাকে পরাভব করে, অর্থাৎ স্বাভাবিক প্রবৃত্তির উদ্ভবে অস্থরের জয়লাভ হয় । অস্থরের জয়ে জীবের পাপে প্রবৃত্তি ও নরকাদি দুৰ্গতি হইয়া থাকে। আবার যখন শাস্ত্ৰবিহিত কৰ্ম্ম ও জ্ঞানে ইন্দ্রিয়ের প্রবৃত্তি হয় তখন স্বাভাবিক অস্থিরী বৃত্তির অভিভবে দেবতার ইহাতে জীবের শুভ কৰ্ম্মের বাহুল্য ও সদগতি হয়। কিন্তু এই উভয়ের মধ্যে একটা অযত্নসিদ্ধ ও অপরটা যত্নসিদ্ধ, সুতরাং অস্থরেরই জয় অবশ্যভাবী হইয়া উঠিল । পরে দেবতারা পরস্পর পরামর্শ করিয়া একটী যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন। ঐ যজ্ঞে তাহারা পক্ষপাত ও অভিমানাদি শূন্য উদগাতা ও ঋত্বিককে আশ্রয় করিয়৷ অস্থরগণকে পরাভব করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন এবং সর্বপ্রথমে বাগিন্দ্রিয়কে ঐ কাৰ্য্যে নিযুক্ত করিলেন । কিন্তু ঐ ইন্দ্রিয় উদগাতৃকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়া বাক্যকথনরূপ কাৰ্য্য দ্বার। ইন্দ্রিয়গণের সাধারণ উপকার নিম্পন্ন করিল বটে কিন্তু যাহা তাহার অসাধারণ ধৰ্ম্ম অর্থাৎ উৎকৃষ্টরূপে বর্ণে চ্চারণ তাহা স্বপক্ষে সম্পন্ন হওয়াতে সে তদ্বিষয়ে অভিমানী ও আসক্ত হইল । ফলত এই অভিমান ও আসক্তি দ্বারা আস্থরেরা তাহাকে জানিতে পারিয়া তাহাকে নষ্ট করিল। এইরূপে অভিমান ও অাসক্তি-দোষে ক্রমে ক্রমে অন্যান্য সমস্ত ইন্দ্রিয়ই নষ্ট হইয়া গেল। পরিশেষে সৰ্ব্বেন্দ্রিয়সাধারণ মন আসিয়া ঋত্বিকের কার্য্যে ব্রতী হইলেন। কিন্তু তাহারও