পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गिनन्...डबाबानूत्वज्ञझ्जरब्रजाश्रजङ्गकडाक्नशङ्ग স্বপক্ষে শোভন সঙ্কল্পে অভিমান উপস্থিত হইল । তিনিও ঐরূপে নষ্ট হইলেন । বৃহদারণ্যকের এই রূপক আলোচনা করিলে বুঝা যায় যে অভিমান ও আসক্তিই জীবের বিনাশের নিদান। যতকাল এই দুইটী থাকিবে তাবৎ জীবের বৈরাগ্য ও उब्रिबक्रने ভগবদ্ভক্তির উদয় হয় না । এবং তদভাবে তাহার মুক্তিও দুর্লভ হইয়া থাকে । কিন্তু পরম কারুণিক ঋলিয়া এই অভিমান ও আসক্তি ত্যাগ হইবার | জন্য অধিকারভেদে নানা উপায় নির্দেশ করিয়া গিয়ছেন । এ বিষয়ে প্রধানত দর্শনের অভিপ্রায় কিরূপ তাহার আলো চনা আবশ্যক । এই সংসার ভ্রমকল্পিত, ইহার বাস্তবিক সত্তা নাই । ব্রহ্ম, পারমার্থিক সত্ত্বা কেবল র্তাহারই । যাহা সত্য প্রকৃত পক্ষে তাহারই সত্তা, তিনিই ব্রহ্ম। আর এই নামরূপাত্মক বিকার অসত্য, ইহার সমস্ত ব্যবহার যথাযথ নিম্পত্তি হইলেও জ্ঞানোদয়ে অর্থাৎ অবিদ্যার নাশে ইহার সন্তা তোমার নিকট লোপ পাইবে । বেদান্তের এই যে সংসার সম্বন্ধে পারমার্থিক সভার লোপ ও ব্যবহারিক সভা স্বীকার ইহার হেতু এই যে জীবের ইন্দ্রিয়ের সহিত বিষয়ের সম্বন্ধ এত প্রবল যে সংসারের অমুমাত্র বীজ থাকিলে তাহার ভোক্তভোগ্য ব্যবহার অঙ্কুরিত হইয় তাহাকে সংসারী করিয়া ফেলিবে এবং তাহার বৈরাগ্য দুর্ঘট হইয়া পড়িবে। ফলত বৈরাগ্য সহজ হইবার নিমিত্তই সংসারের পারমার্থিক সত্তার লোপ স্বীকৃত হইয়াছে। নতুবা আমার অজ্ঞান নাশ ও জ্ঞানোদয় হইলে সংসারের যথাযথ ব্যবহার সম্পন্ন হইবে কিন্তু ইহার বাস্তবিক সত্তা আমার চক্ষে বেদান্ত দর্শন কহিলেন । সৰ্ব্বং খল্লিদং ব্রহ্ম । সমস্তই | (S অার নাই এ কথার কোন আর অর্থ থাকে না । কঠ শ্রীতিতে কথিত হইয়াছে ঈশ্বর ইন্দ্রিয়কে বহির্বিময় প্রকাশের নিমিত্তই স্বষ্টি করিয়াছেন । সুতরাং বিষয়ে বিচরণ তাহার স্বভাব কিন্তু এই স্বভাবই তাহার তত্ত্বদৃষ্টির ব্যাঘাতক, অর্থাৎ তত্ত্বদৃষ্টি তাহার পক্ষে কুচ্ছ সাধ্য। বিষয়ের গুরুতর ৩াকর্ষণ বিনা আয়াসে তাহাকে তত্ত্বজ্ঞানে উপনীত হইতে দেয় না । সুতরাং যাহা কুচ্ছ সাধ্য তাহাতে জীবের সহজে মতি হইবে না। অথচ তাহার মুক্তি চাই । আবার মুক্তি বৈরাগ্যকে সম্পূর্ণ অপেক্ষা করে। এই জন্য বৈদান্তিক বলিলেন এই যে সম্মুখে বিশাল সংসার দেখিতেছ ইহা মায়া মরীচিকা । একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্ম ভিন্ন দ্বিতীয় আর কোন পদার্থ নাই। যাই এই জ্ঞানাগ্নি জীবে প্রবেশ করে তখন সে সৰ্ব্বত্র একমাত্র ব্রহ্মেরই স্ফক্তি দেখিতে পায়। বিষয় তো তখন তাহার সম্মুখ হইতে চলিয়া গিয়াছে আর তাহার অাকর্ষণ কোথায় ? তখন সে পরম বৈরাগ্যে বিভোর হইয়া বলিয়া উঠে তদেতং প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়োবিত্তাং প্রেযোন্য স্মাৎ সৰ্ব্বস্মাৎ অন্তর তরং যদযমা স্থা । বেদান্তজ্ঞান আবার কহিলেন যখন এক ব্রহ্ম ভিন্ন দ্বিতীয় কিছু নাই তখন কি তুমি জ্ঞানে আর তোমার স্বতন্ত্র সত্তা স্বীকার করিতে পার? এই স্থানে জীবের অহঙ্কার এককালে চূর্ণ হইয়া যায়। তখন সে, যে কোন কার্য্য করে রূপকে প্রদর্শিত বাগাদি ইন্দ্রিয়ের ন্যায় সেই সকল কার্য্যে আর তাহার অভিমান ও আসক্তি থাকে না । বাস্তবিকই সে তখন জ্ঞানে আপনার অনস্তিত্ব অনুভব করে । এ অনস্তিত্ব কিরূপ ? যেমন জ্যোতিঃ