পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দ্বাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্তন ०९ कन्न, २ उण পুঞ্জ সুৰ্য্যের নিকট একটা খদ্যোতের অস্তিত্ব। এই অস্তিত্ব একপ্রকার অনস্তিত্বই বলিতে হইবে। ফলত যত সূক্ষানুসূক্ষা অনুসন্ধান করা যায় ততই বোধ হয় যে জীবের বিষয়ে অনাসক্তি ও অভিমান ত্যাগের জন্যই এই বৈদান্তিক মায়াবাদের স্বষ্টি । বাস্তবিক পক্ষে এই জীব সর্বজ্ঞত্বাদি ধৰ্ম্মবিশিষ্ট ব্রহ্মও হন না এবং এই সংসারও একটা অলীক পদার্থ নয় । অভিমান নষ্ট করিয়া পর বৈরাগ্যে আনয়ন এই আসক্তিশূন্যতাই বৈরাগ্য । এই পরম জ্ঞানের গৃঢ় উদ্দেশ্য। বিষয় । বৈরাগ্য ব্যতীত ব্রহ্মে ভক্তি হয় না, আবার । লোপ করাইয়া মনে একটা প্রবল বৈরা ভক্তি ব্যতীত মুক্তি নাই স্তুতরাং জ্ঞানই মুক্তির নিদান । বেদান্ত সেই জ্ঞানের উপদেশ করিয়াছেন । আবার গীতার আলোচনায় এই কথা- ৷ রই প্রতিধ্বনি প্রাপ্ত হওয়া যায়। গীত৷ কহিলেন কৰ্ম্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেয়ু কদাচন। কৰ্ম্মে তোমার আধিকার ফলে । অধিকার নাই। এইটা গীতার নিস্কাম কৰ্ম্মের উপদেশ । যে ঘোর সংসারী তাহারই কামনা হয় কিন্তু যে ত্ৰিবিধ তাপে উত্তপ্ত হইয়া তত্ত্বালোচনায় সংসারের অলাকত্ব প্রতিপন্ন করিয়াছে তাহার আর সং সার ভোগের কামনা থাকে না । ফলত | নিস্কাম কৰ্ম্মাচরণ দ্বারাই জীবের বৈরাগ্য । সিদ্ধি হয় । ইন্দ্রিয় মন বুদ্ধিই কামনার অধিষ্ঠান। যতক্ষণ অভিমান থাকে তাবৎ কামনাও থাকে। এই অভিমান নাশের উপায় ইন্দ্রিয়দমন অর্থাৎ অনাসক্ত ভাবে ইন্দ্রিয়ের বিষয় সঞ্চরণ। এই অনাসক্তি বৈরাগ্য ব্যতীত সম্ভবে না। ইন্দ্রিয়াণি মনোবুদ্ধিরগ্যাধিষ্ঠানমুচ্যতে এতৈৰ্ব্বিমোহয়ত্যেয জ্ঞানমাবৃত্য দেহিনং। তস্মাত্ৰং ইন্দ্রিয়াণ্যাদে নিয়ম্য ভরতর্ষভ পাপানং প্ৰজহি হ্যেনং জ্ঞানবিজ্ঞাননাশনং। হইবে না। | প্রত্যেক কার্য্যে আমরা আপনাকে কেন এই সমস্ত ও অন্যান্য শ্লোকে জ্ঞান, বিজ্ঞান নাশক কামনা ত্যাগের কথা গীতায় পুনঃ পুনঃ কথিত হইয়াছে। গীতার মুখ্য কথা এই তোমার ইন্দ্রিয় বিষয়ে বিচরণ করুক কিন্তু বিষয়ে আসক্তি যাহা তোমার তত্ত্বজ্ঞানের বিশেষ ব্যাঘাতক সেই টুকু তোমাকে ত্যাগ করিতে হইবে । অর্থাৎ তুমি যদি নিস্কাম হইয়া কৰ্ম্ম কর তাহা হইলে তুমি আসক্তিশূন্য হইলে । দশনকার সংসারের নাস্তিত্ব দেখাইয়া এবং জীবের অহঙ্কার বা আমি ও আমার বুদ্ধি গ্যের উদয় করিয়া দিতেছেন। স্মৃতিকার এক নি স্কাম কৰ্ম্মের উপদেশে তাহাই করিতেছেন । ফলত ইন্দ্রিয়দিগকে বিষয়ে অনাসক্ত করাই ব্ৰহ্মলাভের পূর্বসোপান । উপনিষদ, দর্শন ও গাত বেদান্তের এই ত্রিবিধ প্রস্থানই ব্ৰহ্মলাভের জন্য এক বাক্যে ইন্দ্রিয়ের এই বিষয়ে অনাসক্তি বা বৈরাগ্যের উপদেশ করিয়াছেন । ব্রাহ্মগণ, ব্রহ্মলাভ আমাদের লক্ষ্য । কিন্তু আমাদের অন্তরে নিরন্তর দেবাসুরের দ্বন্দ চলিতেছে । শাস্ত্রালোচনায় আমর এইটুকু বুঝিল্লাম যে এই অস্ত্রর নিপাত করিতে না পারিলে আমাদের লক্ষ্য সিদ্ধি যতক্ষণ অভিমান ও আসক্তি না যায় তাবৎ অসুরের জয় । ঈশ্বর আমাদের ইন্দ্রিয় মন বুদ্ধি ও তাহার বিষয় দিয়াছেন। অভিমানশূন্য হইয়া অনাসক্ত ভাবে বিষয়ে বিচরণ কর আস্থর নিপাত হইবে । দেখ আমরা স্বাধীন নহি । ভূত্য যেমন প্রভুর আদেশে কাৰ্য্য করে সেই রূপ আমরা ঈশ্বরের আদেশে তার সংসারে র্তাহারই কাৰ্য্য করিতে আসিয়াছি। তবে